শীতের মৌসুমে ত্বকের যত্ন নিতে যে নিয়ম মেনে চলবেন
- আপডেট সময় : ১২:৩০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে হিমেল হাওয়া। এমনকি দিন ও রাতের তাপমাত্রাও অনেক কমেছে। আসছে শীতে ত্বকের যত্নে কি কি নিয়ম মেনে চলবেন সেটা জানাতেই আজকে আমি হাজির হয়েছি। আমাদের শরীরকে সবসময়ই আবহাওয়া সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। কারণ মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে শরীরেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়া, ঠোঁট ফাটা, চুলের রুক্ষতা ভাব ইত্যাদি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই ঘটে থাকে। তাই গরমের পাশাপাশি শীতে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন বাড়তি পদক্ষেপ। চলুন দেরি না করে সেগুলো জেনে নেই নেই।
শীতে ত্বকের যত্ন নিতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আমরা জানি এই মৌসুমের আবহাওয়া অনেকটাই শুষ্ক প্রকৃতির হয়। তাই ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। আবার অনেকেই অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বেশ কিছুদিন করে গোসল করা থেকে বিরত থাকেন। এটি একদমই উচিত নয়। সামান্য কুসুম কুসুম গরম পানিতে সেরে নিতে পারেন আপনার গোসল। তবে পানি অতিরিক্ত গরম হলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে পারে।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম ও লোশন ব্যবহার
আমি একবার উল্লেখ করেছি যে শীতের সময়কার বাতাস অনেক বেশি সুস্থ থাকে। যেটি আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা কে শোষণ করে নেয়। যার কারণে শুষ্ক হয়ে ঠোঁট এবং হাত পা ফেটে যেতে পারে। এমনকি হতে পারে চুলকানিও।
এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই পেট্রোলিয়াম জেলি, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, অলিভ অয়েল, বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবচাইতে ভালো এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে অলিভ অয়েল। কারণ এতে কোন ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না।
প্রতিদিন গোসল করার পর শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। তবে আপনি চাইলে নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
আবার এই মৌসুমে যেহেতু পানির ব্যবহার কমে যায় তাই শরীরে বিভিন্ন ধরনের চুলকানিও হতে পারে। যদি আপনার দেহে এ ধরনের কোন সমস্যা থাকে তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি ঠোঁটেরও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের লিপজেল বা ক্রিম। পায়ের যত্নে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন এবং সুতি মোজা ব্যবহার করলেও পা ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন।
শীতে ত্বকের যত্ন নিতে অন্যান্য সচেতনতা
অনেকেরই ঠান্ডা মৌসুমে এলার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যায়। তারা সুতি অথবা উলের কাপড়ের জামা পড়তে পারেন। সেই সাথে প্রয়োজনীয় ঠান্ডার পোশাকতো আছেই।
আমরা ছোটবেলায় বইতে পড়েছি শীতের সকালের রোদে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই সকাল বেলা কিছুক্ষণ রোদে বসে থাকতে পারেন। কারণ ভিটামিন টি ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে তোলা এবং বার্ধক্য রোধ করে।
শীতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি
আমরা যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছি তাদের পাশাপাশি শিশু বাচ্চাদেরও শীতে প্রয়োজন বাড়তে যত্নের। এজন্য নিম্নোক্ত উপায় গুলি মেনে চলুন।
• ছোট্ট সোনামনির যত্ন নেওয়ার জন্য মাথা ও বুক সবসময় ঢেকে রাখুন। সেই সাথে খেয়াল রাখতে হবে দেহের তাপমাত্রা যেন খুব বেশি বৃদ্ধি না পায়।
• শিশুরা যত বেশি খেলাধুলা করবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ততই বৃদ্ধি পাবে। তাই তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিন।। সবচাইতে ভালো হয় রোদ পরে এমন কোন জায়গায় ব্যবস্থা করে দেওয়া।
• বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের যত্নেও ঠান্ডা খাবার খেতে দেওয়া একদমই উচিত নয়। এসময় মৌসুমী শাকসবজি, ফলমূল, দুধ ইত্যাদি খাবার দিতে পারেন।
• শিশুদের শীতে ত্বকের যত্নে গায়ে অনেকেই তেল ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে আরো বেশি ময়লা আটকার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত শরীর পরিষ্কারের পাশাপাশি ভিটামিন সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করা সবচাইতে বেশি উত্তম।
অন্যান্য সচেতনতা
গরম কালের তুলনায় এই মৌসুমে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধি পায। তাই শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চেষ্টা করুন যথাসম্ভব সচেতন থাকার। অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ, অনিয়মিত গোসল, ফ্রিজের খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। সেই সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এবিষয় গুলো সম্পর্কে অবহিত করুন।
একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এবং কিভাবে খুলবেন? পুরো প্রক্রিয়া জানতে এখানে প্রবেশ করুন।