জেনে নিন কখন পাইলসের অপারেশন করতে হয়
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
পায়ুপথের অন্যতম রোগ পাইলসের অপারেশন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। শুরুতেই অস্ত্র পাচার না করেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি আমাদের আশেপাশেও এ ধরনের অনেক রোগীকে দেখা যায় যাদের ৯০ ভাগই অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে যান।
পাইলস সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে এক্সটার্নাল এবং অপরটি হচ্ছে ইন্টার্নাল পাইলস। ধরন ভোদে চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অপারেশন নির্ভর করে।
পাইলসের লক্ষণ গুলো কি কি
নারী এবং পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে মলত্যাগের পর যদি র-ক্ত-পাত হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় পাইলসের সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিক স্তরে মলদ্বারে বাড়তি মাংস বৃদ্ধি পায় না এমনকি ব্যথা করে না।
দ্বিতীয় ধাপে পাইলসের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে মলত্যাগ করার সময় কিছু একটা বেরিয়ে আসন এবং ভেতরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। এক্ষেত্রেও খুব একটা ব্যথা অনুভব হয় না। তবে এটি পাইলসের অন্যতম লক্ষণ।
আর যারা মোটামুটি বেশ কিছুদিন ধরে এই সমস্যায় ভূগছেন তাদের ক্ষেত্রে মলত্যাগের পর বাড়তি মাংসের অংশটুকু বের হলেও এমনিতে ভিতরে ঢুকতে চায় না। এক্ষেত্রে চাপ দিয়ে ভেতর দিকে দিতে হয়। আর যদি সমস্যাটি গুরুতর পর্যায়ে গিয়ে থেকে তাহলে সেটি আর কোনোভাবেই ভেতরে ঢুকানো সম্ভব হয় না।
পাইলসের চিকিৎসা কি
রোগী কতদিন ধরে পাইলসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কি কি উপসর্গ রয়েছে তার উপরে নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অপারেশনের।
তবে প্রথম ধাপ অথবা প্রাথমিক লক্ষণ গুলি বোঝার সাথে সাথে যদি আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তাহলে কোন ধরনের অপারেশন প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে কিছু মেডিসিন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির মাধ্যমেই পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই অসুখটি। মেডিসিনে কাজ না হলে অনেক সময় ডাক্তাররা ইনজেকশন দিয়ে থাকেন।
আর যদি এরকম হয় পাইলসের মাংস বের হলে আর ভিতরে প্রবেশ করতে চায় না সে ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয়। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন ধরনের কাটা ছেঁড়া ছাড়াই এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। এমনকি ৭ দিন পর থেকেই রোগী সকল ধরনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন।
আমাদের দেশে নারী ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই পাইলসের অবহেলার করার কারণে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষেত্রে চিকিৎসার পদ্ধতি কিছুটা জটিল হতে পারে।
পাইলস রোগ দূর করার উপায় কি
সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে শাক সবজি খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, মৌসুমি ফলমূল খাওয়া ইত্যাদি।
দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই আমরা বাইরের ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত, চা কফি ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকে। যার কারণে নানা ধরনের অসুখ আমাদের শরীরের সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। পাইলসহ অন্যান্য যেকোনো ধরনের অসুখ প্রতিরোধের জন্য সুস্থ জীবন যাপন খুবই প্রয়োজনীয়। পাইলস হলে কখন অপারেশন করতে হয় এ ব্যাপারে পরামর্শ গুলি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎস প্রদান করেছেন।
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কতটা পালন করে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।