ঘরে বসে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় কি
- আপডেট সময় : ০৯:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
মানুষের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যয় হয় অর্থ উপার্জনের পিছনে। কিন্তু সেই অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে অনেক সময় হিমশিম খেয়ে যাই আমরা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, হঠাৎ করে জরুরি প্রয়োজন ইত্যাদি কারণে মাঝে মাঝেই আমাদের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় রয়েছে। আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে লিখাটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
অনলাইন লোন কি?
এখন প্রায় সকল ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। টাকা জমা প্রদান, টাকা পাঠানো, বিভিন্ন সেবা গ্রহণ ইত্যাদি আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।
বিকাশ এবং রকেট অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি যেরকম ভাবে টাকা লেনদেন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবে ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় অনলাইন লোন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মোবাইলে আমরা যে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রয়োজনে সেটিকেও এই অনলাইন লোন বলা যায়। কারণ পরবর্তীতে নির্দিষ্ট ফি সাপেক্ষে আপনাকে সেই টাকা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় কি কি
পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে এই পদ্ধতি অনেক বেশি ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। তবে বাংলাদেশের এটি এখন পর্যন্ত অতটাও জনপ্রিয়তা পায় নি কিংবা বড় পরিসরে শুরু হয়নি। আজকে আমি আপনাদেরকে দুটি উপায় বলতে পারব যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই পেতে পারেন স্বল্প মেয়াদী কিছু ঋণ। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিকাশের মাধ্যমে লোন সুবিধা (Bkash Loan)
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসটির মাধ্যমে আপনি ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পেতে পারেন। তবে একজন গ্রাহক এই সার্ভিসটি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা নির্ধারণ করবে বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
মূলত বাংলাদেশের স্বনামধন্য এবং জনপ্রিয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি বেশি বেশি এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসটি ব্যবহার করেন, তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট করেন, সেই সাথে যাদের যাবতীয় সার্ভিস গুলো নিয়মিত ইউজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি তাদের অনলাইনের লোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই বিকাশ সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ তথ্য গুলি ভেরিফিকেশন করা থাকতে হবে। সেই সাথে নমিনীর তথ্য গুলিও সংযুক্ত করতে হবে।
যে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন লোন পাওয়ার উপায় (Credit Card Loan)
বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংকের তার গ্রাহকদের জন্য ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই ক্রেডিট কার্ডের বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আপনি যখন খুশি যেখানে খুশি ইনস্ট্যান্ট ঋণ গ্রহন করতে পারবেন এই কার্ডের মাধ্যমে।
ধরুন আপনি কোথাও কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, পকেটে টাকা নেই। আপনার ব্যাংক একাউন্টেও ফাঁকা। কিন্তু আপনার কাছে যদি একটি ক্রেডিট কার্ড থাকে সেটি দিয়ে লিমিট অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই অর্থ পরিশোধ করলে দিতে হবে না বাড়তি কোন চার্জ কিংবা ফি। পরিশোধের সময় সেটি সাধারণত ব্যাংক ভেদে ৫০ থেকে ৬০ দিন হয়ে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করতে পারলে ইন্টারেস্ট হিসেবে গুনতে হবে বেশ কিছু টাকা।
এই কার্ডের আরো কিছু সুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা। যদি আপনি অন্য সাধারণ ভিসা কিংবা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পাবেন না। তবে অনলাইনে লোন নেওয়ার উপায় থাকার কারণে মানুষ সবচাইতে বেশি এই কার্ডটি গ্রহণ করে থাকে। সেই সাথে এটি সারা পৃথিবী জুড়েই ঋণ সুবিধার জন্য জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি।
আমাদের শেষ কথা
উপরের তো ২ টি উপায় ছাড়া বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প মেয়াদে টাকা ঋণ প্রদান করে থাকে। কিন্তু সেগুলো গ্রহণ করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হবে। দরখাস্ত প্রদান, বিভিন্ন ধরনের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া, কাগজপত্র ইত্যাদি সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন কাঙ্খিত ঋণ। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ইনস্ট্যান্ট অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় হিসেবে বিকাশ এবং ক্রেডিট কার্ডের সবচাইতে বেশি সহজ ও জনপ্রিয়।
সুন্নত পদ্ধতিতে কিভাবে পানি পান করবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।