ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে কত টাকা লাগে
- আপডেট সময় : ১২:২১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
ভোটার আইডি কার্ড একজন নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। এর মাধ্যমে আমরা নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারি। প্রত্যেকের জন্মস্থান বা নিজ বাসস্থানের ঠিকানায় এই আইডি কার্ডটি করতে হয়। অনেক সময় আবার সেটির ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে।
একজন ব্যক্তি ডে কোনো কারনে যদি অন্য কোথাও গিয়ে বাসস্থান শুরু করে কিংবা ঐ এলাকার স্থায়ী নাগরিক হয় তাহলে পরিবর্তন করতে হয় আইডি কার্ডের ঠিকানা। তবে কারণ যাই হোক না কেন ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর পদক্ষেপ গুলি নেওয়া উচিত।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে কত টাকা খরচ হয়
ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য সরাসরি আপনাকে কোন খরচ নেই। কিন্তু আপনাকে ২৩০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে পরিবর্তিত তথ্য অনুযায়ী নতুন কার্ড পাওয়ার জন্য। আর আপনার কার্ড যদি স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে অথবা জরুরি ভিত্তিতে কার্ড পেতে চান তাহলে ফি কিছুটা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে
যেকোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসের তথ্য পরিবর্তন করার জন্য অন্যান্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নোক্ত কাগজ গুলি আপনাকে জমা দিতে হবে।
১। আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
২। আপনি যে এলাকায় ঠিকানা স্থানান্তর করতে চাচ্ছেন সেই এলাকার নাগরিকত্বের সন।
৩। উক্ত এলাকার পানির বিল, জমির খতিয়ান, বিদ্যুৎ বিল, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির যে কোনো একটি জমা দিতে হবে।
৪। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসের চাহিদার মত অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
৫। উক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধির নাম, স্বাক্ষর ও সিলসহ ফরম ১৩ এর কপি।
কিভাবে পরিবর্তন করবেন ঠিকানা
প্রথমে আপনাকে এনআইডির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখানেই আপনি তথ্য পরিবর্তনের জন্য একটি ফর্ম পেয়ে যাবেন। ফরমের যাবতীয় তথ্যগুলি পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অ্যাপ্লিকেশনটির সাবমিট করতে হবে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই আপনার ফেস বা চেহারা ভেরিফিকেশন করা হবে।
আর যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সাবমিট করতে হবে সেগুলো অবশ্যই স্ক্যান করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন। যখন আপনার তথ্য গুলো পরিবর্তন হবে তখন সেটি আবার অনলাইন হতে আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রিন্ট করতে পারবেন।
অন্যান্য অসচেতনতা
যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজ তাই ফরম পূরণের সময় তথ্য গুলো সাবধানে প্রদান করা উচিত। যাতে করে কোন বানান ভুল না হয়। ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন খুবই সহজে একটি প্রক্রিয়া। আপনি নিজে চাইলেও ঘরে বসে কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের মাধ্যমেও এটি করতে পারবেন। অথবা দক্ষ কোন ব্যক্তিরও সহযোগিতা নিতে পারেন।
আলুর দাম ৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে নতুন রেকর্ড? পুরো খবর জানতে এখানে প্রবেশ করুন।