ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী গত ১২ অক্টোবর শনিবার আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে মুম্বাইয়ের খিলনগর এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনাটি ঘটার পর ওই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জড়িত থাকতে পারে লরেন্স বিষ্ণোই। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে স্পষ্ট হবে এবং জানা যাবে।

এদেরকে বাবা সিদ্দিকীর হওয়ার ঘটনা শুনে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেটি, সালমান খান সহ সহ প্রমুখ বলিউড অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। উল্লেখ্য বাবা সিদ্দিকী বলিউডের বিখ্যাত নায়ক সালমান খানের খুবই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। এমনকি সালমান খান যখন লরেন্স বিষ্ণোই এর কাছ থেকে হুমকির কথা শুনছিলেন তখনও তার পাশে ছিলেন বাবা সিদ্দিকী। লীলাবতী হাসপাতালের সামনে তার চোখমুখ বেশ থমথম ছিল।

লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয়

১৯৯৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের একটি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন হরিয়ানা পুলিশের কনস্টেবল। সেই পুলিশের চাকরি ছেড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি কৃষির কাজে মনোনিবেশ করেন।

লরেন্স বিষ্ণোই ২০১১ সালের যোগদান করেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট কাউন্সিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন এবং বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হতে থাকেন। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

২০১০ সাল থেকেই তিনি বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন যার মধ্যে ছিল ডাকাকি, হামলা, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতেও বেশ সরব ছিলো লরেন্স। এমনকি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে নিজের দলকে ভারি করার মত ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। আস্তে আস্তে অপরাধ জগতে বেশ নাম ডাক শুরু হয় তার।

সালমান খানের সাথে ঘটনা

ভারতের স্থানীয়দের মতে কালো হরিণ প্রজাতিকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় অনেক পবিত্র বলে মনে করে। ২০১৮ সালে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে সালমান খানের হরিণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে।

শেষ কথা

মুখে মুখে প্রচলিত আছে যে দাউদ ইব্রাহিম হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এই লরেন্স বিষ্ণোই। দাউদ দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মূলত যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট তিনি।

জেনে নিন ট্রাভেল পাস কি, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয়

আপডেট সময় : ০৮:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী গত ১২ অক্টোবর শনিবার আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে মুম্বাইয়ের খিলনগর এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনাটি ঘটার পর ওই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জড়িত থাকতে পারে লরেন্স বিষ্ণোই। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে স্পষ্ট হবে এবং জানা যাবে।

এদেরকে বাবা সিদ্দিকীর হওয়ার ঘটনা শুনে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেটি, সালমান খান সহ সহ প্রমুখ বলিউড অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। উল্লেখ্য বাবা সিদ্দিকী বলিউডের বিখ্যাত নায়ক সালমান খানের খুবই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। এমনকি সালমান খান যখন লরেন্স বিষ্ণোই এর কাছ থেকে হুমকির কথা শুনছিলেন তখনও তার পাশে ছিলেন বাবা সিদ্দিকী। লীলাবতী হাসপাতালের সামনে তার চোখমুখ বেশ থমথম ছিল।

লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয়

১৯৯৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের একটি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন হরিয়ানা পুলিশের কনস্টেবল। সেই পুলিশের চাকরি ছেড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি কৃষির কাজে মনোনিবেশ করেন।

লরেন্স বিষ্ণোই ২০১১ সালের যোগদান করেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট কাউন্সিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন এবং বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হতে থাকেন। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

২০১০ সাল থেকেই তিনি বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন যার মধ্যে ছিল ডাকাকি, হামলা, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতেও বেশ সরব ছিলো লরেন্স। এমনকি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে নিজের দলকে ভারি করার মত ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। আস্তে আস্তে অপরাধ জগতে বেশ নাম ডাক শুরু হয় তার।

সালমান খানের সাথে ঘটনা

ভারতের স্থানীয়দের মতে কালো হরিণ প্রজাতিকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় অনেক পবিত্র বলে মনে করে। ২০১৮ সালে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে সালমান খানের হরিণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে।

শেষ কথা

মুখে মুখে প্রচলিত আছে যে দাউদ ইব্রাহিম হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এই লরেন্স বিষ্ণোই। দাউদ দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মূলত যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট তিনি।

জেনে নিন ট্রাভেল পাস কি, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।