ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপের মধ্যে কোনটি কেনা উচিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম দুইটি অবদান হচ্ছে ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপ। যদিও দুটি ডিভাইস এর কার্যকলাপ এবং ব্যবহার একই ধরনের তবুও বেশ কিছু পার্থক্য আছে। ব্যবহারের ধরন, বাজেট, পছন্দ ইত্যাদি বিষয় গুলি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য কোনটি কেনা উচিত হবে সে বিষয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।

তবে শুরুতেই বলে রাখি, ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ উভয় ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম, ফিচার ইত্যাদি মোটামুটি একই রকম। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। নিচে বিস্তারিতভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ল্যাপটপের সুবিধা ও অসুবিধা

১। বহন করার সুবিধা

ল্যাপটপ ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি যেখানে সেখানে, যখন তখন বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। অন্যান্য কাপড়-চোপড়ের সাথে ছোট একটি ব্যাগেই এটি রাখা যায়।

২। যেখানে সেখানে ব্যবহার করা যায়

আকারে ছোট হওয়ায় এটি আপনি টেবিলে, বিছানায়, গাড়িতে কিংবা অন্যান্য স্থানেও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। বিদ্যুৎ ছাড়া চালানোর সুবিধা

যেহেতু প্রতিটি ল্যাপটপে একটি করে ব্যাটারি থাকে অনেকটা মোবাইলের মত করে তাই বিদ্যুতের সংযোগ ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। যাদের বাসা বাড়িতে লোডশেডিং এর পরিমাণ বেশি তাদের জন্য ল্যাপটপে সবচাইতে বেশি উপযোগী।

৪। বাড়তি যন্ত্রাংশের ঝামেলা নেই

কথা বলার জন্য স্পিকার, মাইক্রোফোন, টাচপ্যাড, কিবোর্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে প্রতিটি ল্যাপটপে। বাড়তি যন্ত্রাংশ কেনার বা লাগানোর কোন ঝামেলা নেই।

অফিসের সাধারণ কাজ, লেখাপড়ার কাজে, টুকটাক অফিস ওয়ার্ডের কাজ, মুভি দেখা ইত্যাদি কাজে ল্যাপটপ সবচাইতে বেশি উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক ল্যাপটপ গুলো পাওয়ার ব্যাংকের মাধ্যমেও চালানো যায় অনেকক্ষণ।

ল্যাপটপের অসুবিধা গুলো কি কি

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি আপনার জন্য কেন যেতে হবে সেটা জানার আগে আপনাকে এগুলো সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। সুবিধার পাশাপাশি ল্যাপটপ ব্যবহারের কিছু অসুবিধা রয়েছে।

১। একই বাজেটের ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ এর মধ্যেও সব সময়ই ডেক্সটপের পারফরম্যান্স ভালো হবে। কারণ মোবাইলের মত করেই ল্যাপটপের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ স্থায়ীভাবে সংযোগ করে দেওয়া হয়ে থাকে। যার কারণে এটাকে আপনি চাইলেই পরবর্তীতে আপডেট করতে পারবেন না। যদিও আপগ্রেড করা সম্ভব তবে নিজের চাহিদা মত সেটি করা অনেক কঠিন।

২। আমাদের হাতের স্মার্টফোন গুলো সাধারণত ৮ থেকে ১২ ঘন্টা কিংবা তার অধিক সময় ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনি ২ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে থাকবেন।

৩। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে ল্যাপটপ গরম হয়ে যায় এবং হ্রাস পায় এর পারফরম্যান্স।

এছাড়া মোবাইলের মতো ছোট ডিভাইস হওয়ায় হাতের আঘাত কিংবা পরে গিয়ে খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়ে যেতে পারে।

ডেস্কটপ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

আপনারা ইতিমধ্যে ল্যাপটপের সুবিধা গুলোর সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। এবার যদি ডেক্সটপ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোনটি কেনা আপনার জন্য ভালো হবে।

ডেস্কটপের সুবিধা গুলি কি কি

১। আমি আগেও একবার বলেছি ল্যাপটপের তুলনায় ডেক্সটপের গতি অনেক বেশি হয়। ভিডিও দেখা, গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং করা এবং যেকোনো কাজের জন্য এটি খুবই ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে।

২। আপনি চাইলে ডেক্সটপের যে কোন যন্ত্রাংশ যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি এতটাই সহজ যে বাজার থেকে যন্ত্র গুলি কিনে আপনি ঘরে বসেই সংযুক্ত করতে পারবেন।

৩। ল্যাপটপের সাথে একটি ফিক্সড মনিটর দেওয়া থাকে। যেটির আকার কখনোই বাড়ানো বা কমানো যায় না। কিন্তু আপনি ডেস্কটপের সাথে যে কোন সাইজের মনিটর কিংবা টিভিও সংযুক্ত করতে পারবেন। এমনকি একাধিক স্ক্রিনও যুক্তি করা যায়। যারা কিনা একই সাথে অনেক ধরনের কাজ করেন তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী।

৪। প্রতিটি ডেস্কটপের ভেতরে কুলিং সিস্টেমের জন্য আলাদা ফ্যান বসানো থাকে। আপনি চাইলে এগুলো কে কে আবার নিজের মতো করে আপডেট করতে পারবেন। এর কারণে ডেস্কটপ সহজে গরম হয় না এবং পারফরম্যান্সও সব সময় ভালো থাকে।

৫। তুলনামূলকভাবে ডেক্সটপ কম মূল্যে পাওয়া যায়।

ডেক্সটপের অসুবিধা গুলি কি কি

১। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়া বেশ ঝামেলার কাজ। এর জন্য প্রতিটি যন্ত্রাংশকে আলাদা করে বহন করে নেয়ার পর পুনরায় সংযুক্ত করতে হয়। অর্থাৎ যে টেবিলে ডেক্সটপটিকে সেট করবেন সেখানে বসে আপনাকে সবসময় কাজ করতে হবে।

২। সরাসরি বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে একটি ডেস্কটপ চালিত হয়ে থাকে। ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি কিনবেন সেটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকলে ডেক্সটপ বন্ধ হয়ে যাবে। এটি একটি অসুবিধা। তবে ইদানিং সময় অনেকেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে বিদ্যুৎ ছাড়াও দীর্ঘ সময় ডেস্কটপ চালানো যায়।

৩। ডেস্কটপের জন্য প্রতিটি যন্ত্রাংশ আপনাকে আলাদা ভাবে কিনতে হবে। মাউস, কিবোর্ড, কথা বলার জন্য মাইক্রোফোন, স্পিকার, ক্যামেরা ইত্যাদি কিনে তারপরে সংযুক্ত করতে হবে।

ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি আপনার জন্য সেরা হবে

আশা করি আপনি এখন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আপনার যদি মাঝে মাঝেই কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ কিনতে হবে।

আর যদি আপনি ডেস্ক কিংবা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজকর্ম করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ডেক্সটপ ভালো হবে।

আবার আপনার যদি অনেক বেশি বাজেট থাকে তাহলে উচ্চ পারফরম্যান্সের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। যেগুলো দিয়ে আপনি অনেক ভারী কাজও করতে পারবেন। আশা করি ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি কেন ভালো হবে সে ব্যাপারে আপনারা এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

কখন পাইলসের অপারেশন করতে হয়? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপের মধ্যে কোনটি কেনা উচিত

আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম দুইটি অবদান হচ্ছে ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপ। যদিও দুটি ডিভাইস এর কার্যকলাপ এবং ব্যবহার একই ধরনের তবুও বেশ কিছু পার্থক্য আছে। ব্যবহারের ধরন, বাজেট, পছন্দ ইত্যাদি বিষয় গুলি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য কোনটি কেনা উচিত হবে সে বিষয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।

তবে শুরুতেই বলে রাখি, ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ উভয় ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম, ফিচার ইত্যাদি মোটামুটি একই রকম। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। নিচে বিস্তারিতভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ল্যাপটপের সুবিধা ও অসুবিধা

১। বহন করার সুবিধা

ল্যাপটপ ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি যেখানে সেখানে, যখন তখন বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। অন্যান্য কাপড়-চোপড়ের সাথে ছোট একটি ব্যাগেই এটি রাখা যায়।

২। যেখানে সেখানে ব্যবহার করা যায়

আকারে ছোট হওয়ায় এটি আপনি টেবিলে, বিছানায়, গাড়িতে কিংবা অন্যান্য স্থানেও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। বিদ্যুৎ ছাড়া চালানোর সুবিধা

যেহেতু প্রতিটি ল্যাপটপে একটি করে ব্যাটারি থাকে অনেকটা মোবাইলের মত করে তাই বিদ্যুতের সংযোগ ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। যাদের বাসা বাড়িতে লোডশেডিং এর পরিমাণ বেশি তাদের জন্য ল্যাপটপে সবচাইতে বেশি উপযোগী।

৪। বাড়তি যন্ত্রাংশের ঝামেলা নেই

কথা বলার জন্য স্পিকার, মাইক্রোফোন, টাচপ্যাড, কিবোর্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে প্রতিটি ল্যাপটপে। বাড়তি যন্ত্রাংশ কেনার বা লাগানোর কোন ঝামেলা নেই।

অফিসের সাধারণ কাজ, লেখাপড়ার কাজে, টুকটাক অফিস ওয়ার্ডের কাজ, মুভি দেখা ইত্যাদি কাজে ল্যাপটপ সবচাইতে বেশি উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক ল্যাপটপ গুলো পাওয়ার ব্যাংকের মাধ্যমেও চালানো যায় অনেকক্ষণ।

ল্যাপটপের অসুবিধা গুলো কি কি

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি আপনার জন্য কেন যেতে হবে সেটা জানার আগে আপনাকে এগুলো সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। সুবিধার পাশাপাশি ল্যাপটপ ব্যবহারের কিছু অসুবিধা রয়েছে।

১। একই বাজেটের ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ এর মধ্যেও সব সময়ই ডেক্সটপের পারফরম্যান্স ভালো হবে। কারণ মোবাইলের মত করেই ল্যাপটপের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ স্থায়ীভাবে সংযোগ করে দেওয়া হয়ে থাকে। যার কারণে এটাকে আপনি চাইলেই পরবর্তীতে আপডেট করতে পারবেন না। যদিও আপগ্রেড করা সম্ভব তবে নিজের চাহিদা মত সেটি করা অনেক কঠিন।

২। আমাদের হাতের স্মার্টফোন গুলো সাধারণত ৮ থেকে ১২ ঘন্টা কিংবা তার অধিক সময় ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনি ২ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে থাকবেন।

৩। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে ল্যাপটপ গরম হয়ে যায় এবং হ্রাস পায় এর পারফরম্যান্স।

এছাড়া মোবাইলের মতো ছোট ডিভাইস হওয়ায় হাতের আঘাত কিংবা পরে গিয়ে খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়ে যেতে পারে।

ডেস্কটপ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

আপনারা ইতিমধ্যে ল্যাপটপের সুবিধা গুলোর সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। এবার যদি ডেক্সটপ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোনটি কেনা আপনার জন্য ভালো হবে।

ডেস্কটপের সুবিধা গুলি কি কি

১। আমি আগেও একবার বলেছি ল্যাপটপের তুলনায় ডেক্সটপের গতি অনেক বেশি হয়। ভিডিও দেখা, গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং করা এবং যেকোনো কাজের জন্য এটি খুবই ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে।

২। আপনি চাইলে ডেক্সটপের যে কোন যন্ত্রাংশ যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি এতটাই সহজ যে বাজার থেকে যন্ত্র গুলি কিনে আপনি ঘরে বসেই সংযুক্ত করতে পারবেন।

৩। ল্যাপটপের সাথে একটি ফিক্সড মনিটর দেওয়া থাকে। যেটির আকার কখনোই বাড়ানো বা কমানো যায় না। কিন্তু আপনি ডেস্কটপের সাথে যে কোন সাইজের মনিটর কিংবা টিভিও সংযুক্ত করতে পারবেন। এমনকি একাধিক স্ক্রিনও যুক্তি করা যায়। যারা কিনা একই সাথে অনেক ধরনের কাজ করেন তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী।

৪। প্রতিটি ডেস্কটপের ভেতরে কুলিং সিস্টেমের জন্য আলাদা ফ্যান বসানো থাকে। আপনি চাইলে এগুলো কে কে আবার নিজের মতো করে আপডেট করতে পারবেন। এর কারণে ডেস্কটপ সহজে গরম হয় না এবং পারফরম্যান্সও সব সময় ভালো থাকে।

৫। তুলনামূলকভাবে ডেক্সটপ কম মূল্যে পাওয়া যায়।

ডেক্সটপের অসুবিধা গুলি কি কি

১। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়া বেশ ঝামেলার কাজ। এর জন্য প্রতিটি যন্ত্রাংশকে আলাদা করে বহন করে নেয়ার পর পুনরায় সংযুক্ত করতে হয়। অর্থাৎ যে টেবিলে ডেক্সটপটিকে সেট করবেন সেখানে বসে আপনাকে সবসময় কাজ করতে হবে।

২। সরাসরি বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে একটি ডেস্কটপ চালিত হয়ে থাকে। ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি কিনবেন সেটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকলে ডেক্সটপ বন্ধ হয়ে যাবে। এটি একটি অসুবিধা। তবে ইদানিং সময় অনেকেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে বিদ্যুৎ ছাড়াও দীর্ঘ সময় ডেস্কটপ চালানো যায়।

৩। ডেস্কটপের জন্য প্রতিটি যন্ত্রাংশ আপনাকে আলাদা ভাবে কিনতে হবে। মাউস, কিবোর্ড, কথা বলার জন্য মাইক্রোফোন, স্পিকার, ক্যামেরা ইত্যাদি কিনে তারপরে সংযুক্ত করতে হবে।

ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি আপনার জন্য সেরা হবে

আশা করি আপনি এখন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আপনার যদি মাঝে মাঝেই কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ কিনতে হবে।

আর যদি আপনি ডেস্ক কিংবা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজকর্ম করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ডেক্সটপ ভালো হবে।

আবার আপনার যদি অনেক বেশি বাজেট থাকে তাহলে উচ্চ পারফরম্যান্সের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। যেগুলো দিয়ে আপনি অনেক ভারী কাজও করতে পারবেন। আশা করি ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি কেন ভালো হবে সে ব্যাপারে আপনারা এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

কখন পাইলসের অপারেশন করতে হয়? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।