যেকোনো দেশের ভিসা করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে করতে হয়
- আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদেরকে বিদেশ যেতে হয়। আপনি যেকোন কাজ কিংবা উদ্দেশ্যেই বাইরের দেশে ভ্রমণ করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র লাগবে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিসা। আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা জানবো ভিসা করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে এটি পেতে পারেন। তাই এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পড়াশোনা করা, চাকরি করা, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি কারণে আমরা প্রতিনিয়তই দেশের বাইরে ভ্রমণ করে থাকি। আপনি পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া দেশের বাইরে কখনোই বৈধভাবে যেতে পারবেন না।
এটি করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেটি নির্ভর করে আপনি কোন দেশে এবং কি উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন। চলুন ভ্রমণের কারণ ভেদে আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেই।
যেকোনো দেশের ভিসা করতে কি কি লাগে
এমন কিছু কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট রয়েছে যেগুলো সব সময় আপনার দেশের বাইরে যেতে প্রয়োজন হবে। সেগুলোর তালিকা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
• কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট।
• ভিসার আবেদন পত্র
• সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
• লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হল ইউনিভার্সিটির এডমিশন লেটার।
• কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিটের ডকুমেন্টস।
• চিকিৎসা সেবার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে ডক্টর বা হাসপাতালের কাগজপত্র।
• জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড
• করোনার টিকা কার্ড
• জন্ম নিবন্ধন সনদ
• লেখাপড়া বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
উপরেরটা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি অবশ্যই লাগবে। আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে নন অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এর মানে হচ্ছে আপনি সরকারি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাদের কোন আপত্তি নেই আপনি দেশের বাইরে ভ্রমণ করলে।
আপনার সাথে যদি শিশু সন্তান থাকে তাহলে তাদের জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি কাগজপত্র দরকার হবে।
ভিসা কিভাবে করতে হয়
আপনি কি উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি জমাতে চান তার উপরে নির্ভর করে কিভাবে ভিসা করতে হয়। তবে উদ্দেশ্যে যাই হোক না কেন কিছু ধাপ আপনাকে অবশ্যই পার হতে হবে। যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
১। কোন দেশের যাবেন সেটি নির্ধারণ
ভিসা কিভাবে করতে হয় সেটি জানার আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন দেশে ভ্রমণ করবেন। কারণ একেক দেশের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া একক রকম।
২। ভ্রমণের উদ্দেশ্য
ঘুরতে যাওয়া, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে যাওয়া, শিক্ষা ইত্যাদির কারণে অস্থায়ী ভিসা প্রদান করা হয়। এছাড়া এগুলো জন্য ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। তবে আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি জমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট কিংবা রেসিডেন্স ভিসা নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার সংশ্লিষ্ট দেশের এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৩। ভিসা পেতে আবেদন
আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে দুইভাবেই এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন তাহলে যে কোম্পানিতে চাকুরী করতে যাবেন তারাই আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবে।
এছাড়া শিক্ষা কিংবা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার আবেদন করা খুবই সহজ। ভিসা সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
ভিসা হাতে পাবেন কিভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। অবশ্য ভিসার ক্যাটাগরির উপরে নির্ভর করে পুলিশ ভেরিফিকেশনও প্রয়োজন হবে। যদিও বর্তমান সময়ে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায়।
যথাযথ কর্তৃপক্ষে আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে জানিয়ে দিবে কবে এটি হাতে পাবেন। সাধারণত মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেই এই তথ্য গুলি প্রদান করা হয়ে থাকে।
অন্যান্য তথ্যাবলী
আপনি বিদেশে ভ্রমণ কিংবা চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে করে আপনার কাজ কিছুটা সহজ হয়ে যাবে। তবে কাজের ভিসা এবং লেখাপড়ার বিষের ক্ষেত্রে যতটক সম্ভব সর্তকতা অবলম্বন করবেন। এর জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেশ, ইউনিভার্সিটি এবং এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আশা করি ভিসা পেতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। যেকোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আগে সেটিকে বারবার যাচাই করে নিবেন। এতে করে প্রতারিত হবেন না।
২টি পদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। আবেদন করার নিয়ম জানতে এখানে প্রবেশ করুন।