ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে খাঁটি সোনা যাচাই করতে পারবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে

খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পৃথিবীর মূল্যবান বস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোল্ড বা সোনা। এর প্রতি আকর্ষণ নেই এমন কোন নারী পুরুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই মূল্যবান বস্তুটিকে বিনিময়ের মাধ্যম, অলংকার তৈরি ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে আসছে। তবে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলি অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে হতে পারেন প্রতারিত।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব বাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম উঠা নামা করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর দাম সম্পর্কে প্রতিনিয়তই খবর পাওয়া যায়। অনেকেই এটা কিনে রাখেন এবং ভালো লাভ পেলে বিক্রি করে দেন।

খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় কি?

সাধারণত সোনা পরিমাপ করা হয় ক্যারেট এবং ভরিতে। আপনি দোকান থেকে কেনার সময় ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেটের আলাদা আলাদা গোল্ড দেখতে পারবেন। এই ক্যারেটের উপর নির্ভর করে গোল্ডের গুণগত মান।

হলমার্ক দেখে কিনুন

সোনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হলমার্ক দেখে কেনা উচিত। গহনার ক্ষেত্রে সাধারণত ভেতরের অংশে এই হলমার্ক চিহ্ন দেওয়া থাকে। যেখানে লেখা থাকে ক্যারেটের নম্বর। এক্ষেত্রে নম্বর যত বেশি হবে সোনার মান তত ভালো হবে।

অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করুন

খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এসিড দিয়ে যাচাই করা। খাঁটি সোনা চেনার ক্ষেত্রে সাধারণত নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি অন্যান্য ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করলেও সোনার সাথে বিক্রিয়া করে না।। এর জন্য আপনি সোনার উপরে কিছু পরিমাণ নাইট্রিক এসিড ড্রপার দিয়ে ফেলতে পারেন। যদি এর রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটি নকল কিংবা ভেজাল মেশানো আছে। আর যদি রং পরিবর্তন না হয় তাহলে অবশ্যই সেটি খাঁটি সোনা।

পানি দিয়ে পরীক্ষা

এজন্য বড় একটি গামলায় কিছু পরিমাণে পানি নিন। তারপর সোনার গহনা গুলি পানিতে ছেড়ে দিন। যদি সেটি ভাসতে থাকে তাহলে এটি নকল। কারণ আসল সোনা হলে অবশ্যই পানিতে ডুবে যেত।

চুম্বকের সাহায্য পরীক্ষা

আপনি ঘরে বসে বা যেখানে সেখানেই এই পদ্ধতিতে খাঁটি সোনা যাচাই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে খাঁটি সোনা কখনো চুম্বককে আকর্ষণ করে না কিংবা কাছে টানে না। তাই এটা যদি চুম্বকের সাথে লেগে যায় তাহলে ধরে নিন সেটি নকল।

সিরামিকের প্লেটের সাহায্যে পরীক্ষা

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এর জন্য প্রথমে একটি সিরামিকের প্লেট নিন। এর সাথে গোল্ডের গহনা গুলি আস্তে আস্তে ঘুষতে থাকুন। যদি প্লেটের মধ্য কালো দাগ পড়ে যায় তাহলে সোনা নকল। কারণ আসল সোনা এভাবে ঘষলে কখনোই দাগ পড়বে না।

বাজারে গোল্ড কেনাবেচার জন্য অনেক দোকান রয়েছে। সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি বিশ্বস্ত কারো কাছ থেকে এগুলো ক্রয় করেন। আর তা না হলে খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলো গুলি অবলম্বন করে তারপর ক্রয় করা উচিত। এতে করে প্রতারিত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যেভাবে খাঁটি সোনা যাচাই করতে পারবেন

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

পৃথিবীর মূল্যবান বস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোল্ড বা সোনা। এর প্রতি আকর্ষণ নেই এমন কোন নারী পুরুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই মূল্যবান বস্তুটিকে বিনিময়ের মাধ্যম, অলংকার তৈরি ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে আসছে। তবে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলি অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে হতে পারেন প্রতারিত।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব বাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম উঠা নামা করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর দাম সম্পর্কে প্রতিনিয়তই খবর পাওয়া যায়। অনেকেই এটা কিনে রাখেন এবং ভালো লাভ পেলে বিক্রি করে দেন।

খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় কি?

সাধারণত সোনা পরিমাপ করা হয় ক্যারেট এবং ভরিতে। আপনি দোকান থেকে কেনার সময় ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেটের আলাদা আলাদা গোল্ড দেখতে পারবেন। এই ক্যারেটের উপর নির্ভর করে গোল্ডের গুণগত মান।

হলমার্ক দেখে কিনুন

সোনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হলমার্ক দেখে কেনা উচিত। গহনার ক্ষেত্রে সাধারণত ভেতরের অংশে এই হলমার্ক চিহ্ন দেওয়া থাকে। যেখানে লেখা থাকে ক্যারেটের নম্বর। এক্ষেত্রে নম্বর যত বেশি হবে সোনার মান তত ভালো হবে।

অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করুন

খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এসিড দিয়ে যাচাই করা। খাঁটি সোনা চেনার ক্ষেত্রে সাধারণত নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি অন্যান্য ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করলেও সোনার সাথে বিক্রিয়া করে না।। এর জন্য আপনি সোনার উপরে কিছু পরিমাণ নাইট্রিক এসিড ড্রপার দিয়ে ফেলতে পারেন। যদি এর রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটি নকল কিংবা ভেজাল মেশানো আছে। আর যদি রং পরিবর্তন না হয় তাহলে অবশ্যই সেটি খাঁটি সোনা।

পানি দিয়ে পরীক্ষা

এজন্য বড় একটি গামলায় কিছু পরিমাণে পানি নিন। তারপর সোনার গহনা গুলি পানিতে ছেড়ে দিন। যদি সেটি ভাসতে থাকে তাহলে এটি নকল। কারণ আসল সোনা হলে অবশ্যই পানিতে ডুবে যেত।

চুম্বকের সাহায্য পরীক্ষা

আপনি ঘরে বসে বা যেখানে সেখানেই এই পদ্ধতিতে খাঁটি সোনা যাচাই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে খাঁটি সোনা কখনো চুম্বককে আকর্ষণ করে না কিংবা কাছে টানে না। তাই এটা যদি চুম্বকের সাথে লেগে যায় তাহলে ধরে নিন সেটি নকল।

সিরামিকের প্লেটের সাহায্যে পরীক্ষা

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এর জন্য প্রথমে একটি সিরামিকের প্লেট নিন। এর সাথে গোল্ডের গহনা গুলি আস্তে আস্তে ঘুষতে থাকুন। যদি প্লেটের মধ্য কালো দাগ পড়ে যায় তাহলে সোনা নকল। কারণ আসল সোনা এভাবে ঘষলে কখনোই দাগ পড়বে না।

বাজারে গোল্ড কেনাবেচার জন্য অনেক দোকান রয়েছে। সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি বিশ্বস্ত কারো কাছ থেকে এগুলো ক্রয় করেন। আর তা না হলে খাঁটি সোনা যাচাই করার উপায় গুলো গুলি অবলম্বন করে তারপর ক্রয় করা উচিত। এতে করে প্রতারিত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।