ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট এলো ঢাকায়
- আপডেট সময় : ০৯:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের boeing 789- ড্রিম লাইনার অবতরণ করেছে। আফ্রিকা থেকে প্রথমবার এই এয়ারলাইন্সের বিমান বাংলাদেশে প্রবেশ করলো। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের যোগাযোগ আরো অনেক বেশি জোরদার হল।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার শীর্ষ উড়োজাহাজ সংস্থা গুলোর মধ্যে একটি। প্রথমবার যখন এটি বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করল তখন একটি জলকামান দিয়ে ফ্লাইটটিকে স্বাগত জানানো হয়।
এমনকি ঢাকা থেকে ফিরতি ফ্লাইটটিও আদ্দিস আবাবার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বলে জানা গিয়েছে। সপ্তাহের ৩ দিন রবিবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে আদ্দিস আবাবার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট যাবে বলে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটির উদ্বোধন উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যাবতীয় তথ্য গুলোর সম্পর্কে জানানো হয়। সেখানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল করতে পক্ষের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট এলো ঢাকায় Ethiopian Airlines
এই উপলক্ষে এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মনজুর কবির ভূঁইয়া বক্তব্য প্রকাশ করেন যে, আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ার হিসেবে স্বীকৃত ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের প্রবেশ করে নতুন একটি আলো সঞ্চার করেছে। এতে করে বৃদ্ধি পাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটক ইত্যাদি। এমনকি ২ দেশের মধ্যেও এই অংশীদারিত্বের সুযোগ অর্থনীতিতেও ভূমিকা পালন করবে।
এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন ইথিওপিয়ান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ডিরেক্টর জেনারেল। তিনিও দুই দেশের মধ্যে এই সংযোগের সুফল সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি আরো উপস্থাপন করেন এই এয়ারলাইন্সের মধ্যে সরাসরি কেবল বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়া নয় বরং মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার সহ বেশ কিছু দেশেও যোগাযোগ অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
আফ্রিকার সবচাইতে বড় এয়ারলাইনস নেটওয়ার্ক ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের এই রুটে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিম লাইনার দিয়ে গ্রাহকদেরকে সার্ভিস প্রদান করবে।
বহির্বিশ্বের সাথে সংযোগের মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিমান চলাচল। বাংলাদেশের সাথে পৃথিবীর অনেক দেশেরই আকাশ পথে সংযোগ রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া, চাকরি, ব্যবসায় বাণিজ্য, বসবাস, ভ্রমণ ইত্যাদি কারণে বিমান পথে যাতায়াত করছে। এর কারণে একদিকে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে সময় এবং অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে টাকা।
আর কোন দেশের সাথে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ থাকার সুফল অনেক। এতে করে দুই দেশের মধ্যেও মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে বৃদ্ধি পায় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। বাংলাদেশের সাথে ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্সের নতুন এই যোগাযোগও ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন সম্পর্কে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।