ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগের পদ্ধতিতে নেয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এর আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে আবার নেওয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা। বাছাই করা এবং আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষাটিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এব্যাপারে কিছু তথ্য জানান। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা যেন শিক্ষার্থীদের উপরে চাপ সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ বর্তমানে শ্রেণি কার্যক্রমে যে পাঠ্য বই গুলো পড়ানো হচ্ছে সেগুলোর উপরেই মূল্যায়ন নেয়া হবে। তবে আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের বইয়ে পরিবর্তন আনা হবে।

পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবইয়েও বেশকিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। যতদূর সম্ভব ২০১২ সালের পাঠক্রমে অনুযায়ী এই পরিবর্তন গুলো সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রমে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম ছিল না এ সকল শ্রেণীতে। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠ্যবই পরিবর্তন না হলেও বছর শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষা ঠিকই হবে।

আগের পদ্ধতিতে নেয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা

একইভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত যে পাঠ্য বই গুলো রয়েছে শিক্ষার্থীরা সেগুলোই পড়বে। নতুন সংশোধিত এবং পরিমার্জিত বই পাবে ২০২৫ সালে। এ সকল শ্রেণীর অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা আটকে গিয়েছিল জুলাইয়ের আন্দোলনের কারণে। সেগুলো আর নেয়া হয়নি। এই বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরের নেওয়া হবে মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা।

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। মূলত পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বছর শেষে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত। ঠিক তখন থেকে বাতিল করা হয় পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা। কিন্তু তার আগের অনেক বছর ধরেই আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হতো এই শ্রেণীতে।

২০০৯ সাল থেকে সমাপনী বা পিএসসি পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হতো। তারপর ২০১০ সালে সর্বপ্রথম চালু হয় জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এক্ষেত্রেও বাতিল করা হয় বৃত্তি। কিন্তু ২০১০ সালের আগে যারা অষ্টম শ্রেণীতে পাঠ শেষ করত তারাই বছর শেষে আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতাম।

পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা পুরনো পদ্ধতিতে ফিরলেও জেএসসি বা অষ্টম শ্রেণীর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্লাস ফাইভের অন্যান্য পরীক্ষা বাদে আলাদাভাবে বৃদ্ধি পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এটি দেওয়ার সুযোগ পাবে।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট কোনটি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগের পদ্ধতিতে নেয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

এর আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে আবার নেওয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা। বাছাই করা এবং আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষাটিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এব্যাপারে কিছু তথ্য জানান। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা যেন শিক্ষার্থীদের উপরে চাপ সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ বর্তমানে শ্রেণি কার্যক্রমে যে পাঠ্য বই গুলো পড়ানো হচ্ছে সেগুলোর উপরেই মূল্যায়ন নেয়া হবে। তবে আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের বইয়ে পরিবর্তন আনা হবে।

পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবইয়েও বেশকিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। যতদূর সম্ভব ২০১২ সালের পাঠক্রমে অনুযায়ী এই পরিবর্তন গুলো সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রমে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম ছিল না এ সকল শ্রেণীতে। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠ্যবই পরিবর্তন না হলেও বছর শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষা ঠিকই হবে।

আগের পদ্ধতিতে নেয়া হবে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা

একইভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত যে পাঠ্য বই গুলো রয়েছে শিক্ষার্থীরা সেগুলোই পড়বে। নতুন সংশোধিত এবং পরিমার্জিত বই পাবে ২০২৫ সালে। এ সকল শ্রেণীর অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা আটকে গিয়েছিল জুলাইয়ের আন্দোলনের কারণে। সেগুলো আর নেয়া হয়নি। এই বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরের নেওয়া হবে মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা।

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। মূলত পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বছর শেষে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত। ঠিক তখন থেকে বাতিল করা হয় পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা। কিন্তু তার আগের অনেক বছর ধরেই আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হতো এই শ্রেণীতে।

২০০৯ সাল থেকে সমাপনী বা পিএসসি পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হতো। তারপর ২০১০ সালে সর্বপ্রথম চালু হয় জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এক্ষেত্রেও বাতিল করা হয় বৃত্তি। কিন্তু ২০১০ সালের আগে যারা অষ্টম শ্রেণীতে পাঠ শেষ করত তারাই বছর শেষে আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতাম।

পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা পুরনো পদ্ধতিতে ফিরলেও জেএসসি বা অষ্টম শ্রেণীর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্লাস ফাইভের অন্যান্য পরীক্ষা বাদে আলাদাভাবে বৃদ্ধি পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এটি দেওয়ার সুযোগ পাবে।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট কোনটি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।