ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ পয়সা মিনিট কলরেটের সিটিসেল আবারো ফিরতে চায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে

২৫ পয়সা মিনিট কলরেটের সিটিসেল

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় ফোন অপারেটর সিটিসেল আবারও বাজারে ফিরতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিআরটিসিকে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমে জানা যায় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া থাকার কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিলো।

বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছিল যে কর্মচারীদের বকেয়া, ব্যাংক ঋণ, অবকাঠামোর ক্ষতি সবমিলিয়ে লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না থাকলে সরকারের রাজস্ব আয় হতো প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

সাম্প্রতিক সময়ে সিটিসেল তাদের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার চায়। এছাড়াও তারা যাতে ফাইভ-জি সেবা চালু করতে পারে সে ব্যাপারে অনুমোদন চেয়েছে। রাজস্ব আদায়ের পর তারা এসকল অর্থ গুলি পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় এই ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলা যেত ২৫ পয়সা প্রতি মিনিটে। এ প্রতিষ্ঠানটির সেবা ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই মোবাইল ফোন এবং সিম একসাথে কিনতে হতো। এমনকি সেই মোবাইলে অন্য কোন অপারেটরের সিম ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। তবুও জনপ্রিয়তার কোন কমতি ছিল না সেই সময়। কারণ তখন অন্যান্য ফোন অপারেটরে কলরেট অনেক বেশি থাকলেও সিটিসেলের কলরেট ছিলো ২৫ পয়সা এবং অন্যান্য অপারেটরেও কম খরচে যোগাযোগ করা যেতো। বাংলাদেশে সিডিএম প্রযুক্তি নির্ভর একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিল সিটিসেল।

২৫ পয়সা মিনিট কলরেটের সিটিসেল আবারো ফিরতে চায়

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি সর্ব প্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল।

সিটিসেল নম্বর গুলি শুরু হতো ০১১ দিয়ে। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে এটি অনেকটাই অচেনা মনে হতে পারে। এই অপারেটরে ডাটা প্ল্যানের নাম ছিল জুম ইন্টারনেট। তখনকার সময়ে বেশি গতি নিয়ে সিটিসেল জুম আলট্রা বাজারে এসেছিল। সারা বাংলাদেশ জুড়েই এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ছিল বেশ উন্নত।

বর্তমানে বিভিন্ন সিম অপারেটর তারবিহীন ওয়াইফাই সেবা প্রদান করছে। ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে জিপিফাই এবং রবিফাই। এমনকি জিপি, এয়ারটেল, রবি, টেলিটক সিমের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাচ্ছে আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যান। এতে করে গ্রাহকদের বেশ সুবিধাই হয়েছে। কারণ যাদের বাসায় ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেই তাদের জন্য লিমিটেড ডাটা প্ল্যান ব্যবহার করা বেশ অসুবিধাজনক। এসকল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সিটিসেল ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করতে চাচ্ছে।

নিয়মিত ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৫ পয়সা মিনিট কলরেটের সিটিসেল আবারো ফিরতে চায়

আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় ফোন অপারেটর সিটিসেল আবারও বাজারে ফিরতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিআরটিসিকে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমে জানা যায় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া থাকার কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিলো।

বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছিল যে কর্মচারীদের বকেয়া, ব্যাংক ঋণ, অবকাঠামোর ক্ষতি সবমিলিয়ে লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না থাকলে সরকারের রাজস্ব আয় হতো প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

সাম্প্রতিক সময়ে সিটিসেল তাদের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার চায়। এছাড়াও তারা যাতে ফাইভ-জি সেবা চালু করতে পারে সে ব্যাপারে অনুমোদন চেয়েছে। রাজস্ব আদায়ের পর তারা এসকল অর্থ গুলি পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় এই ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলা যেত ২৫ পয়সা প্রতি মিনিটে। এ প্রতিষ্ঠানটির সেবা ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই মোবাইল ফোন এবং সিম একসাথে কিনতে হতো। এমনকি সেই মোবাইলে অন্য কোন অপারেটরের সিম ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। তবুও জনপ্রিয়তার কোন কমতি ছিল না সেই সময়। কারণ তখন অন্যান্য ফোন অপারেটরে কলরেট অনেক বেশি থাকলেও সিটিসেলের কলরেট ছিলো ২৫ পয়সা এবং অন্যান্য অপারেটরেও কম খরচে যোগাযোগ করা যেতো। বাংলাদেশে সিডিএম প্রযুক্তি নির্ভর একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিল সিটিসেল।

২৫ পয়সা মিনিট কলরেটের সিটিসেল আবারো ফিরতে চায়

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি সর্ব প্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল।

সিটিসেল নম্বর গুলি শুরু হতো ০১১ দিয়ে। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে এটি অনেকটাই অচেনা মনে হতে পারে। এই অপারেটরে ডাটা প্ল্যানের নাম ছিল জুম ইন্টারনেট। তখনকার সময়ে বেশি গতি নিয়ে সিটিসেল জুম আলট্রা বাজারে এসেছিল। সারা বাংলাদেশ জুড়েই এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ছিল বেশ উন্নত।

বর্তমানে বিভিন্ন সিম অপারেটর তারবিহীন ওয়াইফাই সেবা প্রদান করছে। ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে জিপিফাই এবং রবিফাই। এমনকি জিপি, এয়ারটেল, রবি, টেলিটক সিমের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাচ্ছে আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যান। এতে করে গ্রাহকদের বেশ সুবিধাই হয়েছে। কারণ যাদের বাসায় ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেই তাদের জন্য লিমিটেড ডাটা প্ল্যান ব্যবহার করা বেশ অসুবিধাজনক। এসকল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সিটিসেল ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করতে চাচ্ছে।

নিয়মিত ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।