ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্টিফিকেটের নাম বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করার নিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

সার্টিফিকেটে নাম সংশোধন করার নিয়ম

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রক্রিয়া আগের দিন গুলোর তুলনায় অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে। কারণ আপনি ঘরে বসেই আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। তারপর সেটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সেটি বোর্ড অফিসে জমা প্রদান করতে পারবেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য গুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আপনার যদি জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি কিংবা সমমান কোন সার্টিফিকেটের নাম বা অন্য কোন তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অনলাইন হতে ফরম প্রিন্ট করে আবেদন করতে পারবেন।

সার্টিফিকেটে নাম সংশোধন করার নিয়ম (certificate name correction)

শুধুমাত্র নামই নয় বরং জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদি তথ্য গুলো পরিবর্তনের নিয়ম অনেকটাই একই রকম। এর জন্য প্রথমে আপনাকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনি ওয়েবসাইট হতে একটি আবেদন ফরম প্রিন্ট করবেন।

সকল বোর্ডের ওয়েবসাইটের অপশন গুলি মোটামুটি একই ধরনের। আপনি খুব সহজেই এসকল সাইট গুলো হতে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

তারপর যথাযথ তথ্যগুলি দিয়ে সেটি পূরণ করুন। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, পাশের সন, রোল নাম্বার, সঠিক নাম, মোবাইল নম্বর, কেন্দ্রের নাম ইত্যাদি তথ্য গুলো দিন। সেই সাথে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানাও শুদ্ধ বানানে লিখুন।

সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন পত্র জমা প্রদান

সকল তথ্য গুলির সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে আপনাকে ৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এটি আপনি সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিতে পারবেন।

পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এফিডেফিট। এই এফিডেফিটের একটি কপিও আবেদনপত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে। এটি ২০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে করতে হবে। আর যদি শিক্ষার্থীর নিজের নাম হয় তাহলে এটি প্রয়োজন হবে না।

উপরিক্ত ধাপ গুলোর সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে (certificate correction)

• জেএসসি, এসএসসি কিংবা এইচএসসি যেই পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান সেটির সত্যায়িত কপি আর যদি সার্টিফিকেট না পেয়ে থাকেন তাহলে মার্কশিটের কপি জমা দিতে হবে।

• সেই সাথে উক্ত পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড অথবা প্রবেশপত্র।

• আপনি যেই স্কুল বা প্রতিষ্ঠান হতে পাশ করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

• শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির রেজিস্টারের সত্যায়িত কপি/ভাই বোনের সনদের সত্যায়িত কপি/নাগরিকত্ব প্রমানের কাগজপত্র/জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদির যে কোন একটি প্রদান করলেই হবে।

যখন আপনি আবেদনপত্রটির সাবমিট করবেন তখন সকল কাগজের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন। উপরিক্ত ডকুমেন্টস গুলো ছাড়াও আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। আপনি অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সময় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই সবচাইতে ভালো হয় সকল ধরনের কাগজপত্র আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা।

সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে করণীয়

সাধারণত নাম সংশোধন করতে খুব বেশি কাগজের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কেউ যদি বয়স সংশোধন করতে চায় তাহলে অবশ্যই আইনজীবীর মাধ্যমে এফিডেফিট বা হলফনামা সম্পন্ন করতে হয়।

সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের শেষ ধাপ

সকল কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে সরাসরি উপস্থিত হবেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে সকল কাগজের কপি গুলো জমা প্রদান করবেন। তিনি সেগুলো রেখে দেবে এবং আপনাকে পরবর্তী প্রক্রিয়া বা তথ্য সম্পর্কে অবহিত করবেন।

যদি আপনার তথ্য ও আবেদনপত্রের সকল কাগজ গুলো সঠিক হয় তাহলে নির্ধারিত তারিখ জানিয়ে দেওয়ার পর বোর্ডে উপস্থিত হয়ে মূল সার্টিফিকেটটি হাতে পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করতে চান তাহলে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে। আর যদি বয়স সংশোধন করতে যান সে ক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে শুরু করে ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও বর্তমানে এই প্রক্রিয়া গুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে তবুও হাতের কিছু সময় রাখা ভালো।

সার্টিফিকেট নষ্ট বা পুড়ে গেলে করণীয় কি

অনেক সময় অসচেতনতার কারণে আমাদের মূল্যবান সার্টিফিকেট নষ্ট হয়ে যায় কিংবা লেমিনেটিং করতে গিয়ে পুড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে জিডি করতে হবে না এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও প্রদান করতে হবে না। কারণ সেটা তো হারিয়ে যায়নি বরং আপনার কাছে রয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের তথ্য গুলি পূরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি বোর্ডে উপস্থিত হবেন।

তবে সরকারের নির্ধারিত ফি এবং ডকুমেন্টস গুলো ঠিকই প্রয়োজন হবে।

আমাদের শেষ কথা

একটি পরীক্ষার সনদপত্র আমাদের জীবনে অর্জিত কাগজপত্র গুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিবার রেজিস্ট্রেশন বা ফরম পূরণের সময় নামের বানান, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য গুলি বারবার রিভিশন দিয়ে নেওয়া উচিত। আর কোন কারণে যদি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব কাজের সম্পন্ন করে ফেলুন। কারণ বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি চাকরি এবং বিদেশ গমনের সময় সনদের তথ্য ভূলের কারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

হজে যাওয়ার নতুন প্যাকেজে খরচ কমলো। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সার্টিফিকেটের নাম বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করার নিয়ম

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রক্রিয়া আগের দিন গুলোর তুলনায় অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে। কারণ আপনি ঘরে বসেই আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। তারপর সেটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সেটি বোর্ড অফিসে জমা প্রদান করতে পারবেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য গুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আপনার যদি জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি কিংবা সমমান কোন সার্টিফিকেটের নাম বা অন্য কোন তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অনলাইন হতে ফরম প্রিন্ট করে আবেদন করতে পারবেন।

সার্টিফিকেটে নাম সংশোধন করার নিয়ম (certificate name correction)

শুধুমাত্র নামই নয় বরং জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদি তথ্য গুলো পরিবর্তনের নিয়ম অনেকটাই একই রকম। এর জন্য প্রথমে আপনাকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনি ওয়েবসাইট হতে একটি আবেদন ফরম প্রিন্ট করবেন।

সকল বোর্ডের ওয়েবসাইটের অপশন গুলি মোটামুটি একই ধরনের। আপনি খুব সহজেই এসকল সাইট গুলো হতে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

তারপর যথাযথ তথ্যগুলি দিয়ে সেটি পূরণ করুন। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, পাশের সন, রোল নাম্বার, সঠিক নাম, মোবাইল নম্বর, কেন্দ্রের নাম ইত্যাদি তথ্য গুলো দিন। সেই সাথে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানাও শুদ্ধ বানানে লিখুন।

সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন পত্র জমা প্রদান

সকল তথ্য গুলির সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে আপনাকে ৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এটি আপনি সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিতে পারবেন।

পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এফিডেফিট। এই এফিডেফিটের একটি কপিও আবেদনপত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে। এটি ২০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে করতে হবে। আর যদি শিক্ষার্থীর নিজের নাম হয় তাহলে এটি প্রয়োজন হবে না।

উপরিক্ত ধাপ গুলোর সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে (certificate correction)

• জেএসসি, এসএসসি কিংবা এইচএসসি যেই পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান সেটির সত্যায়িত কপি আর যদি সার্টিফিকেট না পেয়ে থাকেন তাহলে মার্কশিটের কপি জমা দিতে হবে।

• সেই সাথে উক্ত পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড অথবা প্রবেশপত্র।

• আপনি যেই স্কুল বা প্রতিষ্ঠান হতে পাশ করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

• শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির রেজিস্টারের সত্যায়িত কপি/ভাই বোনের সনদের সত্যায়িত কপি/নাগরিকত্ব প্রমানের কাগজপত্র/জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদির যে কোন একটি প্রদান করলেই হবে।

যখন আপনি আবেদনপত্রটির সাবমিট করবেন তখন সকল কাগজের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন। উপরিক্ত ডকুমেন্টস গুলো ছাড়াও আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। আপনি অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সময় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই সবচাইতে ভালো হয় সকল ধরনের কাগজপত্র আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা।

সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে করণীয়

সাধারণত নাম সংশোধন করতে খুব বেশি কাগজের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কেউ যদি বয়স সংশোধন করতে চায় তাহলে অবশ্যই আইনজীবীর মাধ্যমে এফিডেফিট বা হলফনামা সম্পন্ন করতে হয়।

সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের শেষ ধাপ

সকল কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে সরাসরি উপস্থিত হবেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে সকল কাগজের কপি গুলো জমা প্রদান করবেন। তিনি সেগুলো রেখে দেবে এবং আপনাকে পরবর্তী প্রক্রিয়া বা তথ্য সম্পর্কে অবহিত করবেন।

যদি আপনার তথ্য ও আবেদনপত্রের সকল কাগজ গুলো সঠিক হয় তাহলে নির্ধারিত তারিখ জানিয়ে দেওয়ার পর বোর্ডে উপস্থিত হয়ে মূল সার্টিফিকেটটি হাতে পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করতে চান তাহলে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে। আর যদি বয়স সংশোধন করতে যান সে ক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে শুরু করে ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও বর্তমানে এই প্রক্রিয়া গুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে তবুও হাতের কিছু সময় রাখা ভালো।

সার্টিফিকেট নষ্ট বা পুড়ে গেলে করণীয় কি

অনেক সময় অসচেতনতার কারণে আমাদের মূল্যবান সার্টিফিকেট নষ্ট হয়ে যায় কিংবা লেমিনেটিং করতে গিয়ে পুড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে জিডি করতে হবে না এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও প্রদান করতে হবে না। কারণ সেটা তো হারিয়ে যায়নি বরং আপনার কাছে রয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের তথ্য গুলি পূরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি বোর্ডে উপস্থিত হবেন।

তবে সরকারের নির্ধারিত ফি এবং ডকুমেন্টস গুলো ঠিকই প্রয়োজন হবে।

আমাদের শেষ কথা

একটি পরীক্ষার সনদপত্র আমাদের জীবনে অর্জিত কাগজপত্র গুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিবার রেজিস্ট্রেশন বা ফরম পূরণের সময় নামের বানান, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য গুলি বারবার রিভিশন দিয়ে নেওয়া উচিত। আর কোন কারণে যদি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব কাজের সম্পন্ন করে ফেলুন। কারণ বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি চাকরি এবং বিদেশ গমনের সময় সনদের তথ্য ভূলের কারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

হজে যাওয়ার নতুন প্যাকেজে খরচ কমলো। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।