কোটিপতিদের জীবনধারা ও অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য
- আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে
বেশ কয়েক শতাব্দী আগেও কোটিপতি বা মিলিনিয়র শব্দটির প্রচলন ছিল না। এমনকি ১৭ দশকেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী ১৯১৭ সালে মিশিসিপি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার পর জন ল নামের একটি ব্যক্তি মিলিনিয়ার হিসেবে খেতাব পান। সেই সময় তিনি ১ মিলিয়ন ফ্রাঙ্কেরও বেশি অর্থের মালিক ছিলেন।
বর্তমান সময়ে যাদের অনেক বেশি অর্থ আছে এবং বিলাসবহুল জীবন যাপন করে তাদের কে মিলিনিয়ার বলা হয়ে থাকে। এটিকে একটি ব্র্যান্ড নেম বলতে পারেন। তবে পৃথিবীতে এই ধরনের মিলিনিয়ার কিংবা কোটিপতির সংখ্যা নেহাতই কম নয়। আবার প্রায় সব মিলিনিয়ারদের মধ্যেই কিছু মিল এবং অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি একটু এনালাইসিস করলেই এ বিষয় গুলো হয়তোবা খেয়াল করতে পারবেন।
তো চলুন কোটিপতিদের জীবনধারা এবং অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়। এটাকে আপনি কোটিপতি হওয়ার উপায় হিসেবেও দেখতে পারেন।
কোটিপতি হওয়ার উপায় হচ্ছে মিতব্যায়িতা ( How to be a rich man )
যেকোনো মিলেনিয়ারই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে পছন্দ করেন না। অর্থাৎ তারা অপ্রয়োজনে কোন টাকা ব্যয় করেন না। বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য তারা ডিসকাউন্ট এবং অফারের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। কারণ তারা মনে করেন এটি আয় করা অর্থ ধরে রাখার অন্যতম একটি উপায়।
চশমা ব্যবহার করা
অনেক মানুষই এই চশমা ব্যবহার করাকে নির্বোধ হওয়ার লক্ষণ হিসেবে দেখে থাকেন। তাইতো অনেক অনেক টাকা-পয়সার মালিক হওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ রয়েছে যারা কিনা চশমা ব্যবহার করতে চান না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পৃথিবীর ১০ জন শীর্ষ ধনী ব্যক্তির মধ্যে মাত্র দুজন ব্যক্তি চশমা ব্যবহার করেন।
যার মধ্যে একজন হলেন ওয়ারেন বাফেট এবং আরেকজন হলেন বিল গেটস।
কোটিপতিদের রাশি
যদিও এটার উপরে পুরোপুরি বিশ্বাস রাখা ঠিক হবে না বিভিন্ন জরিপে একটি বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। বেশিরভাগ মিলিনিয়ারেরই জন্ম ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্য। এবং অধিকাংশ কুম্ভ রাশির হয়ে থাকে।
বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি কুম্ভ রাশির।
অনেক বড় পরিবার
বর্তমানে চারিদিকে ছোট পরিবার গঠনের প্রবণতা বেশি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু যারা অনেক বেশি অর্থ সম্পদের মালিক তারা সাধারণত বড় পরিবার রাখতে বেশি পছন্দ করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রায় ১১ শতাংশ মিলিনিয়ারের ৩টির অধিক সন্তান রয়েছে।
কোটিপতিদের মধ্য মিল যে সকল বিষয়
আপনি যদি অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে অবশ্যই জানা জরুরি। তারা কিভাবে অর্থ ব্যয় করে, কিভাবে জীবন যাপন করে, কিভাবে অর্থের ভারসাম্য রাখে ইত্যাদি ভালোভাবে অনুসরণ করা উচিত।
এব্যাপারে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিন নানা ধরনের গবেষণা পাবলিশ করে থাকে। যেগুলো থেকে সংগৃহীত কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।
১। সকালকে কাজে লাগানো
ঘুম থেকে উঠার পরে আমরা যে সময়টাই পাই সেটি হচ্ছে সারাদিনের ভিত্তি। ধনীদের মধ্যে প্রায় সবাই এটি বিশ্বাস করে থাকেন। এরা সাধারণত আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা শরীরের ব্যায়াম করে থাকেন, সেই সাথে ব্রডকাস্ট কিংবা শিক্ষামূলক কোন অডিও শুনে থাকেন। এতে করে মন এবং শরীর দুটোই ভালো হয়ে যায়।
২। গুরুত্বপূর্ণ কাজ
ধনী ব্যক্তিদের কাছে সম্পদের পাশাপাশি সম্পর্ক গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে। তাইতো প্রিয়জনদেরকে নিয়ে কাটানোর জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখেন। এটি অন্যান্য কাজের মতই গুরুত্বপূর্ণ।
৩। অযথা সময় নষ্ট না করা
আমরা যারা বিভিন্ন চাকুরী কিন্তু ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত তাদের একটি নিয়মিত রুটিন হচ্ছে মিটিং করা। কিন্তু যারা কোটিপতি তাদের এই প্রবণতাটা কম। আপনি নিশ্চয় একটি স্টিভ জবস কিংবা মার্ক জাকারবার্গের মতো ব্যক্তিদের হাঁটতে হাঁটতে মিটিং এর কাজকর্ম সেরে নেওয়ার কথা শুনেছেন। অর্থাৎ এরা অযথা সময় নষ্ট করার জন্য মিটিংগুলো কেউ অল্প সময়ের মধ্যেই সেরে নেয়।
অন্যান্য বিষয়
আমরা সাধারণ ব্যক্তিরা বিনোদনের জন্য মোবাইলে রিলস দেখে থাকি এবং নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি যদি সময়কে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করতে চান কিংবা কোটিপতি হতে চান তাহলে এই ধরনের কাজে সময় ব্যয় করা যাবে না। প্রতিদিনের ছোট ছোট এই ত্যাগ এক সময় আপনাকে উচ্চতায় আসে করে নিয়ে যাবে।
আবার সারাদিন কর্মব্যস্ত জীবন পার করার পর বাসায় এসে টিভির সামনে বসে অথবা মুভি দেখা শুরু করি। কিন্তু যাদের স্বপ্ন অনেক বড় কিংবা কোটিপতি হতে চান তারা বাসায় এসেও কোন না কোন কিছু শিখতে থাকেন। যার কারণে তারা অন্য সবার থেকে এগিয়ে।
কম খরচে বিমানের টিকিট কাটার উপায় কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।