শখের বাজরিগার পাখির দাম কত ২০২৪
- আপডেট সময় : ০৬:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিড়াল, খরগোশ, কুকুর ইত্যাদির পাশাপাশি পাখিও পালন করে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম বাজরিগার পাখির দাম কত সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব। বাসা বাড়িতে শখের বসে কিংবা ব্যবসায়িক খামার করার উদ্দেশ্যেও মানুষ এই ধরনের সুন্দর সুন্দর পাখি লালন পালন করে। ঘরের সৌন্দর্য, শখ মেটানোর পাশাপাশি এধরনের বিজনেস থেকে আয় করা যায় প্রচুর টাকা। তাই পাখি লালন সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাজরিগার পাখির দাম ২০২৪
প্রায় প্রতিটি পাখির বিভিন্ন ভিন্ন জাত রয়েছে। সাধারণভাবে একটি বাজরিগার পাখির দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বাজার এবং জাত ভেদে এটি ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
ছোট একটি বাচ্চা বাজরিগার পাখির দাম হয় সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এই দাম গুলো সাধারণত প্রতি পিস।
আর যদি আপনি জোড়া হিসেবে কিনতে চান তাহলে ছোট গুলোর ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং মধ্যম বয়সের পাখির দাম প্রতি জোড়া ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
এছাড়াও মোটামুটি জাত ভেদে একজোড়া বাজরিগার পাখির দাম বর্তমান বাজার অনুযায়ী ১০০০ টাকা থেকে নিয়ে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় সাইজের পাখির জোড়া হয়ে থাকে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজরিগার পাখির খাবারের দাম কত (Bird Food Price)
শখের বসে বাসা বাড়িতে কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন আপনি পাখি লালন পালন করতে গেলে অবশ্যই এর খাবার সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। তা না হলে পাখির সঠিক বৃদ্ধি ঘটবে না এবং ডিমও ঠিকভাবে পাবেন না। তাই নিম্নে আপনাদের সুবিধার জন্য খাবারের তালিকা দেওয়া হল।
১. প্রতি কেজি চিনা খাবারের দাম ৩০ টাকা
২. প্রতিকে যে গাউন খাবারের দাম ৩৫ টাকা
৩. প্রতি কেজি তিশি খাবারের দাম ৮৫ টাকা।
৪. সূর্যমুখী প্রতি কেজি ৯০ টাকা
৫. ক্যানারি সিড প্রতি কেজি ১৩০ টাকা
৬. হ্যামস সিড প্রতি কেজি ২৭০ টাকা
৭. কুসুম ফুল প্রতি কেজি ৯০ টাকা
এধরনের খাবার গুলি আপনি যে কোন পশু পাখির খাদ্যের দোকান অথবা অনলাইন হতে অর্ডার করতে পারবেন। এধরনের প্যাকেট জাত খাবার ছাড়াও আপনি ডিমের খোসা, সমুদ্রের ফেনা,, পোড়ামাটির ইটের গুঁড়ো দূর্বা ঘাস, লালশাক, সজনে গাছের পাতা ইত্যাদি খাবার হিসেবে প্রদান করতে পারেন।
একটি বাজরিগার পাখি কতদিন পর পর ডিম দেয়
যারা পাখি পালন করেন তাদের মনে প্রথম প্রশ্ন এটি কোনদিন পরপর ডিম দিতে পারে। যারা খামার করছেন তাদের তো এটির সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে ধারণা থাকা দরকার। তা না হলে ব্যবসায়িকভাবে কখনোই লাভবান হতে পারবেন না। সাধারণত একটি বাজরিগার পাখি ২ মাস পর পর ধরে কয়েকটি করে ডিম দিয়ে থাকে। অর্থাৎ দুই মাসে আপনি সর্বমোট ৭ থেকে ৮ টি ডিম পেতে পারেন। তবে জাত ভেদে ডিম প্রদানের পরিমাণও ভিন্ন হতে পারে।
পাখির খামার করে টাকা আয় পদ্ধতি
বর্তমানে বিশেষ করে শহর এলাকায় খাঁচায় ব্যাপক হারে পাখি বিক্রি করা হয়ে থাকে। আপনি যেকোনো জেলা শহরে এই ধরনের দোকান পেয়ে যাবেন। বেশিরভাগই শখের বসে এগুলো কিনে থাকে। আবার অনেকেই প্রিয় জনকে উপহার দেওয়ার জন্য ক্রয় করে থাকে।
আপনি একটি পাখির খামারের অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। যদি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং মোটামুটি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে বছরে কমপক্ষে দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
বাজরিগার পাখি ছেলে মেয়ে চেনার উপায়
বাসায় লালন পালন করার জন্য যে কোন পশু কিংবা পাখি কেনার আগে সেটা ছেলে না মেয়ে সেটা জানা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে পাখির ক্ষেত্রে। কারণ আপনি যদি ছেলে মেয়ে জোড়ায় জোড়ায় ঠিকভাবে রাখতে না পারেন তাহলে ভবিষ্যতে ডিম পাবেন না এবং পাখিও খাঁচায় থাকতে যাবে না। কারণ তারও সঙ্গে প্রয়োজন।
• একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাজরিগার পাখির নাকের ছিদ্রের চারপাশের নীল রঙের ঝিল্লী থাকে। এটা যদি থাকে বুঝতে পারবেন পাখিটি পুরুষ।
• আর একটি মেয়ে বাজরিগার পাখি নাকের চারপাশে বাদামী রঙের ঝিল্লি থাকে। এই বাদামী রঙের ঝিল্লি কপাল এবং ঠোঁট ছাড়াও নাকের চারপাশে ছিদ্রসহ বিস্তৃত থাকে।
• যেহেতু এটি বয়স কয়েক মাস পার হওয়ার পর হয় তাই ৩/৪ মাস বয়সী কোন বাজরিগার পাখি ছেলে নাকি মেয়ে সেটি জানার অনেকটাই কঠিন।
• যে সকল পাখির বয়স কম সেগুলোর চোখের মনি বেশ খান বড় হয়ে থাকে এবং চারপাশে কোন ধরনের রিং থাকে না। একটি পূর্ণবয়স্ক পাখির চোখ অনেকটাই ছোট হয়ে থাকে এবং চোখের চারপাশে এক ধরনের রিং তৈরি হয়।
বাজরিগার পাখি লালনে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
পৃথিবীর পোষা পাখি গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি। বাংলাদেশের ব্যাপক হারে এটি কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে আপনি খামার করেন কিংবা বাসায় পুষেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় অবশ্যই জানা থাকা উচিত।
এক জোড়া বাজরিগার পাখি লালনের জন্য অবশ্যই আপনার ১০ ফুট দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচা প্রয়োজন। বাসায় সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি পাখির বসবাসের উপযুক্ত স্থানের ব্যাপারেও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আপনার যদি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা খুবই কম থাকে তাহলে যারা ইতিমধ্য এগুলো লালন করছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। শুধুমাত্র পাখির দাম কত কিংবা অন্যান্য বিষয়ে জানলেই হবে না।
সর্বপ্রথম দুই জোড়া পাখি আমাদেরকে নিয়ে তাদের ছেলে এবং মেয়ে অনুসারে আলাদা আলাদা খাঁচায় রাখুন। যখন পাখির বয়স ৮ মাস হবে তখন ছেলে এবং মেয়ে পাখিকে একসাথে করে দিন। যদি আপনি সঠিক নিয়মে পাখি পালন না করতে পারেন তাহলে এটি ভবিষ্যতে সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণত ৮ মাস পর থেকে বাজরিগার পাখি ডিম প্রদান করা শুরু করে।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি বাজরিগার পাখির দাম কত এবং এই পাখি লালন-পালন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় গুলি সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক এবং সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি।।যেকোনো ধরনের পশু পাখি লালন করার আগে তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। এ সম্পর্কে আপনি কোন পশুপাখির ডাক্তার কিংবা ইন্টারনেট ঘেঁটে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এ ধরনের আরো প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও কত টাকা খরচ হয়, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।