ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার নিয়ম

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্যস্ত জীবনে আমাদের সবারই প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব হয় না। তাইতো ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। এতে করে মাসে কিংবা সপ্তাহে একদিন সমস্ত বাজার সেটি দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা তো অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের দেওয়া পরামর্শ গুলো চলুন জেনে নেই।

মাছ-মাংস কিংবা সবজি যতটা সম্ভব তাজা খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচাইতে ভালো। অনেকদিন ফ্রিজে রাখা খাবার কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। তবে ডিপ ফ্রিজে মাছ মাংস বেশ কিছুদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে এদের পুষ্টিগুণ কিছুটা কমলেও প্রতিদিন বাজার করে ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার নিয়ম কি?

আপনি চাইলে কাঁচা কিংবা রান্না করার তরকারিও রাখতে পারেন ফ্রিজে। যদি রান্না করা খাবার হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ দিন রাখা যেতে পারে। আর যদি কাঁচা মাছ-মাংস রাখেন তাহলে সেগুলো ২০ দিনের অধিক সময়ও সংরক্ষণ করা যায়। খাবার যেমনি হোক ফ্রিজে রাখার জন্য নিম্নোক্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করুন।

১। ফ্রিজে কখনোই মাছ-মাংস একত্রিত করে রাখবেন না। বাজার থেকে কিনে আসার সাথে সাথে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে আলাদা আলাদা ভাবে পলিথিনে অথবা বাটিতে রাখুন।

২। পলিথিন এবং বাটি এমনভাবে প্যাকেট করুন যাদের ভিতরে বাতাস না থাকে। এতে করে খাবারের পুষ্টিগুণ ভালো থাকে।

৩। মাছ অথবা মাংসের টুকরা বড় করে কেটে রাখুন। এতে করে পরবর্তীতে যখন রান্না করবেন তখন স্বাদ ভালো থাকবে। আবার মাছ যদি ভাল করে পরিষ্কার করা না হয় তাহলে এর গায়ে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। যেগুলি মাছের স্বাদ কে নষ্ট করে এবং খাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪। ফ্রিজে খাবার রাখার জন্য বাজার থেকে বায়ুরোধী বক্স কিংবা প্যাকেট কিনতে পারেন। এভাবে সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত মাছ ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন।

৫। তবে প্যাকেট কিংবা বাটিতে মাছ-মাংস একসাথে মিশিয়ে রাখবেন না।

৬। ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার নিয়ম গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে একবার বের করে বরফ গলিয়ে পুনরায় সেগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

অন্যান্য সতর্কতা

যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কিংবা অপরিষ্কার খাবার ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে সেটি খেয়ে নানা ধরনের ফুড পয়জনিং এবং ইনফেকশনও হতে পারে। অনেক সময় হতে পারে বমি, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিকের, সমস্যা ইত্যাদি। আবার নিয়মিত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা খাবারও খাওয়া উচিত নয়। যখন সময় পাবেন তখনই চেষ্টা করবেন বাজার থেকে তাজা সবজি এবং অন্যান্য খাবার কিনে এনে খাওয়ার জন্য। আশা করি ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার নিয়ম গুলি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে।

ঘরে বসে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কি কি লাগে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি কি

আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

ব্যস্ত জীবনে আমাদের সবারই প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব হয় না। তাইতো ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। এতে করে মাসে কিংবা সপ্তাহে একদিন সমস্ত বাজার সেটি দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা তো অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের দেওয়া পরামর্শ গুলো চলুন জেনে নেই।

মাছ-মাংস কিংবা সবজি যতটা সম্ভব তাজা খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচাইতে ভালো। অনেকদিন ফ্রিজে রাখা খাবার কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। তবে ডিপ ফ্রিজে মাছ মাংস বেশ কিছুদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে এদের পুষ্টিগুণ কিছুটা কমলেও প্রতিদিন বাজার করে ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার নিয়ম কি?

আপনি চাইলে কাঁচা কিংবা রান্না করার তরকারিও রাখতে পারেন ফ্রিজে। যদি রান্না করা খাবার হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ দিন রাখা যেতে পারে। আর যদি কাঁচা মাছ-মাংস রাখেন তাহলে সেগুলো ২০ দিনের অধিক সময়ও সংরক্ষণ করা যায়। খাবার যেমনি হোক ফ্রিজে রাখার জন্য নিম্নোক্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করুন।

১। ফ্রিজে কখনোই মাছ-মাংস একত্রিত করে রাখবেন না। বাজার থেকে কিনে আসার সাথে সাথে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে আলাদা আলাদা ভাবে পলিথিনে অথবা বাটিতে রাখুন।

২। পলিথিন এবং বাটি এমনভাবে প্যাকেট করুন যাদের ভিতরে বাতাস না থাকে। এতে করে খাবারের পুষ্টিগুণ ভালো থাকে।

৩। মাছ অথবা মাংসের টুকরা বড় করে কেটে রাখুন। এতে করে পরবর্তীতে যখন রান্না করবেন তখন স্বাদ ভালো থাকবে। আবার মাছ যদি ভাল করে পরিষ্কার করা না হয় তাহলে এর গায়ে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। যেগুলি মাছের স্বাদ কে নষ্ট করে এবং খাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪। ফ্রিজে খাবার রাখার জন্য বাজার থেকে বায়ুরোধী বক্স কিংবা প্যাকেট কিনতে পারেন। এভাবে সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত মাছ ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন।

৫। তবে প্যাকেট কিংবা বাটিতে মাছ-মাংস একসাথে মিশিয়ে রাখবেন না।

৬। ফ্রিজে মাছ মাংস রাখার নিয়ম গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে একবার বের করে বরফ গলিয়ে পুনরায় সেগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

অন্যান্য সতর্কতা

যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কিংবা অপরিষ্কার খাবার ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে সেটি খেয়ে নানা ধরনের ফুড পয়জনিং এবং ইনফেকশনও হতে পারে। অনেক সময় হতে পারে বমি, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিকের, সমস্যা ইত্যাদি। আবার নিয়মিত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা খাবারও খাওয়া উচিত নয়। যখন সময় পাবেন তখনই চেষ্টা করবেন বাজার থেকে তাজা সবজি এবং অন্যান্য খাবার কিনে এনে খাওয়ার জন্য। আশা করি ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার নিয়ম গুলি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে।

ঘরে বসে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কি কি লাগে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।