ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৪ সালে বসতবাড়ির খাজনা কত টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

বসতবাড়ির খাজনা কত টাকা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বসতবাড়ির খাজনা কিংবা কর নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্নের অভাব নেই। কত টাকা কর দিতে হবে এবং কিভাবে দিতে হবে চলুন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ আয়ের উৎস গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ট্যাক্স বা কর।

প্রতিবছর এই বিভাগ হতে যে টাকা উপার্জন হয় সেগুলো আবার দেশের উন্নয়নের কাজেই ব্যয় করা হয়। তাই আমাদের উচিত নির্ধারিত সময়ে এবং যথাযথভাবে এই বসতবাড়ির খাজনা পরিশোধ করা।

বসতবাড়ির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর ২০২৪

বাংলাদেশ সরকারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতক জমির জন্য ১০ টাকা করে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ ২০ শতক জমির জন্য মোট দিতে হবে ২০০ টাকা। তবে কোন ব্যাক্তির যদি মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২৫ বিঘা বা তার কম হয় তাহলে এই ট্যাক্স প্রদান করতে হবে না।

এছাড়াও কৃষকের যে সকল জমিতে চা, কফি, রাবার, ফুলের বাগান, চিংড়ি, হাঁস – মুরগি, গবাদি পশু ইত্যাদি পালন করা হয়ে থাকে সে সকল জমির ভূমি কর প্রদান করতে হবে প্রতি শতকে ২ টাকা করে।

কিভাবে বসতবাড়ির ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করবেন

এর জন্য জমির মালিক ভূমি অফিসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন। সেই আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই জমির খাজনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে। তারপর যথাযথ কর্তৃপক্ষ সেই কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষ করার পরে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ট্যাক্স পরিশোধ করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিবে।

কোন ব্যক্তি ব্যাংক চেক, পে অর্ডার, ক্যাশ কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই কর পরিশোধ করতে পারেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য গুলি আপনারা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আর অনলাইনে সম্ভব না হলে সরাসরি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

আবার কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বসতবাড়ির খাজনা পরিশোধ না করতে পারে তাহলে ভূমির মালিককে অবশ্যই জরিমানা প্রদান করতে হবে। ঠিক কত টাকা জরিমানা নির্ধারিত হবে সেটিও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যাবে।

আমাদের সকল সম্পদের যথাযথ ট্যাক্স পরিশোধ করা আবশ্যক দায়িত্ব। বসতবাড়ির খাজনা প্রদান করার পাশাপাশি যাদের ট্যাক্সযোগ্য ইনকাম রয়েছে তাদেরও বছরের শেষে এটি পরিশোধ করতে হয়। বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ঘরে বসেই টিন সার্টিফিকেট ওপেন করা যায় এবং এর মাধ্যমে ট্যাক্স পরিষদের সুবিধা রয়েছে। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমে আবার রিটার্নের কাগজপত্র উত্তোলন করা যায়।

জমি বন্ধক রাখার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২০২৪ সালে বসতবাড়ির খাজনা কত টাকা

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

বসতবাড়ির খাজনা কিংবা কর নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্নের অভাব নেই। কত টাকা কর দিতে হবে এবং কিভাবে দিতে হবে চলুন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ আয়ের উৎস গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ট্যাক্স বা কর।

প্রতিবছর এই বিভাগ হতে যে টাকা উপার্জন হয় সেগুলো আবার দেশের উন্নয়নের কাজেই ব্যয় করা হয়। তাই আমাদের উচিত নির্ধারিত সময়ে এবং যথাযথভাবে এই বসতবাড়ির খাজনা পরিশোধ করা।

বসতবাড়ির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর ২০২৪

বাংলাদেশ সরকারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতক জমির জন্য ১০ টাকা করে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ ২০ শতক জমির জন্য মোট দিতে হবে ২০০ টাকা। তবে কোন ব্যাক্তির যদি মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২৫ বিঘা বা তার কম হয় তাহলে এই ট্যাক্স প্রদান করতে হবে না।

এছাড়াও কৃষকের যে সকল জমিতে চা, কফি, রাবার, ফুলের বাগান, চিংড়ি, হাঁস – মুরগি, গবাদি পশু ইত্যাদি পালন করা হয়ে থাকে সে সকল জমির ভূমি কর প্রদান করতে হবে প্রতি শতকে ২ টাকা করে।

কিভাবে বসতবাড়ির ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করবেন

এর জন্য জমির মালিক ভূমি অফিসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন। সেই আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই জমির খাজনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে। তারপর যথাযথ কর্তৃপক্ষ সেই কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষ করার পরে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ট্যাক্স পরিশোধ করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিবে।

কোন ব্যক্তি ব্যাংক চেক, পে অর্ডার, ক্যাশ কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই কর পরিশোধ করতে পারেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য গুলি আপনারা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আর অনলাইনে সম্ভব না হলে সরাসরি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

আবার কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বসতবাড়ির খাজনা পরিশোধ না করতে পারে তাহলে ভূমির মালিককে অবশ্যই জরিমানা প্রদান করতে হবে। ঠিক কত টাকা জরিমানা নির্ধারিত হবে সেটিও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যাবে।

আমাদের সকল সম্পদের যথাযথ ট্যাক্স পরিশোধ করা আবশ্যক দায়িত্ব। বসতবাড়ির খাজনা প্রদান করার পাশাপাশি যাদের ট্যাক্সযোগ্য ইনকাম রয়েছে তাদেরও বছরের শেষে এটি পরিশোধ করতে হয়। বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ঘরে বসেই টিন সার্টিফিকেট ওপেন করা যায় এবং এর মাধ্যমে ট্যাক্স পরিষদের সুবিধা রয়েছে। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমে আবার রিটার্নের কাগজপত্র উত্তোলন করা যায়।

জমি বন্ধক রাখার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।