ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ জেনে নিয়ে সচেতন থাকুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চিকিৎসা পদ্ধতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের কোনভাবে যেনো স্বস্তি মিলছে না। তাইতো নানা রোগের পাশাপাশি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ জেনে থাকা উচিত। কারণ পরিবারের কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউ এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে যাতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

আমাদের মস্তিষ্ক একটি খুলি দ্বারা আবৃত অবস্থায় আছে। খুলির ভেতরে যে সকল কোষ আছে সেগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে তৈরি হয় এই টিউমার। এর জন্য দায়ী রয়েছে জেনেটিক কিছু কারণ। বিভিন্ন ধরনের ভেজাল খাদ্য, বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল সমূহের প্রভাব ইত্যাদি।

এই রোগটি আসলে কি?

আমাদের দেহের যত গুলো অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে মস্তিষ্ক সবচাইতে জটিল এবং সংবেদনশীল। মানুষের মাথায় যে সকল অসুখ গুলো হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই টিউমার। দেহের অন্য কোথাও টিউমার হলে মানুষ এতটা বিচলিত হয় না যতটা বিচলিত হয় মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে।

সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকটাই জটিল হয়ে যায় এবং বেশ ব্যয়বহুল। শরীরে যে কোন অঙ্গের স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি হলে সেটাকে টিউমার হিসেবে ধরা হয়।

সে ঠিক একইভাবে মস্তিষ্কে নতুন কোষ সৃষ্টি হওয়ার পরেও যদি পুরাতন কোষ গুলো বিনষ্ট না হয়ে থেকে যায় এবং আস্তে আস্তে বড় আকার নির্ধারণ করে তখন সেটিকে ব্রেইন টিউমার বলা হয়।

ব্রেন টিউমারের কারণ

১। আমাদের দেহের অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো বংশগতভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের প্রবাহিত হয়ে আসছে।। এক্ষেত্রে বাবা মা, দাদা কারো অসুখ থাকলে সেগুলো প্রবাহিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্ম স্থানান্তরিত হয়ে থাকে।

২। পুরনো এবং দীর্ঘমেয়াদি অনেক রোগ আবার নতুন রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন আপনার যদি পূর্বে কোন বড় রোগের ইতিহাস থাকে কিংবা ক্যান্সারের সমস্যা থাকে তাহলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেশি।

কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শরীরের ভেতরে ক্যান্সারের কোষ গুলো সুপ্ত অবস্থায় অনেকদিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারে এবং পরবর্তীতে হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে।

৩। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমরা অনেক সময় উচ্চ রেডিয়েশনযুক্ত স্থানে কাজ করে থাকি। ব্রেন টিউমারের কারণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।। এর ফলে আমাদের দেহে ধরনের অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতে পারে।

৪। জন্মগতভাবেই আমাদের অনেকের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যার কার ঠান্ডা জ্বর, সর্দির কাশি লেগেই থাকে এবং এ থেকে দেখা দিতে পারে বড় বড় অসুখ বিসুখ।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি

মাথাব্যথা

আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে এটি মস্তিষ্কের একটি রোগ। তাই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে অবশ্যই মাথা ব্যথা দেখা দেবে। এই অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি কোন রকম নড়াচড়া করে তাহলেই মাথায় ব্যথা অনুভব হয়। এমনকি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরেও মাথা ব্যথা অনুভব হয়।

চোখের দৃষ্টি কমে আসা

যেহেতু মস্তিষ্কের সাথে চোখের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তাই চোখের দৃষ্টিতেও কিছুটা সমস্যা হয়। এমনকি আক্রান্ত রোগী চোখের ঝাপসা দেখতে শুরু করে এবং তীব্র ব্যথা করে।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ হিসেবে আচরণে পরিবর্তন

মস্তিষ্কে যদি আমাদের ভালো অনুভব না হয় তাহলে মেজাজ খুব সহজে খারাপ হয়ে যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছোট ছোট বিষয়ই রেগে যাওয়া, বিরক্তি অনুভব করা, কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ক্লান্তি কাজ করা ইত্যাদি।

মাঝে মাঝে খিচুনি হওয়া

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আমাদের বিভিন্ন স্নায়ুর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কে তথ্য স্থানান্তরিত হয়। যদি মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে স্নায়ুর মধ্য দিয়ে এই সকল কার্যকলাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় মাঝেমাঝে পিছনে দেখাতে পারে।

এমনকি হঠাৎ করে এই দেহের এক পাশ হয়ে যেতে পারে।

ব্রেন টিউমার হলে করণীয় কি

আপনার কিংবা পরিবারের যে কোন সদস্যদের মধ্যে যদি উপযুক্ত লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এর চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জটিল। অপারেশন এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গুলো নির্ভর করে টিউমারটের ধরন, তীব্রতা, অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ের উপর।

এর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয় সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কিছু মেডিসিন প্রদান করা হয়।

নিম্নোক্ত উপায় গুলোতে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

অপারেশন করা

যেকোনো ধরনের টিউমারই অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। এতে করে সেই টিউমারের বিস্তার আস্তে আস্তে কমে যায়। এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান

ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অন্যতম একটি কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে রেডিওথেরাপি। এই থেরাপি প্রদান করে আক্রান্ত কোষ গুলোকে বিনষ্ট করে দেয়া হয় যাতে বৃদ্ধি না পায়। ব্রেন টিউমার হলে করণীয় গুলোর মধ্যে এটি ও অন্যতম। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যেতে পারে এবং শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।

ব্রেন টিউমার হলে কেমোথেরাপি

রেডিও থেরাপির মতো এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল প্রয়োগ করে আক্রান্ত কোষ গুলোকে মেরে ফেলা হয় এবং তাদের বৃদ্ধি বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

টার্গেটেডথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান

আমাদের দেহে ওষুধ গুলো সাধারণত সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু টার্গেটেডথেরাপির মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে সেখানকার আক্রান্ত দোষ গুলোকে বিনাশ করা হয়।

ব্রেন টিউমার হলে চিকিৎসা খরচ কেমন

এটি আসলে স্পষ্ট করে বলা যায় না। ডাক্তার, হাসপাতাল, আপনার টিউমারের অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করে সাধারণত অপারেশন করতে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেও আপনি চিকিৎসা সম্পন্ন করতে পারবেন। আশা করি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

আমাদের এই ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি সম্পর্কে অবহিত করা। এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়তে অন্যান্য কনটেন্ট গুলি ভিজিট করুন।

হঠাৎ করে কম্পিউটার অন না হলে কি করবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ জেনে নিয়ে সচেতন থাকুন

আপডেট সময় : ০৯:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

চিকিৎসা পদ্ধতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের কোনভাবে যেনো স্বস্তি মিলছে না। তাইতো নানা রোগের পাশাপাশি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ জেনে থাকা উচিত। কারণ পরিবারের কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউ এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে যাতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

আমাদের মস্তিষ্ক একটি খুলি দ্বারা আবৃত অবস্থায় আছে। খুলির ভেতরে যে সকল কোষ আছে সেগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে তৈরি হয় এই টিউমার। এর জন্য দায়ী রয়েছে জেনেটিক কিছু কারণ। বিভিন্ন ধরনের ভেজাল খাদ্য, বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল সমূহের প্রভাব ইত্যাদি।

এই রোগটি আসলে কি?

আমাদের দেহের যত গুলো অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে মস্তিষ্ক সবচাইতে জটিল এবং সংবেদনশীল। মানুষের মাথায় যে সকল অসুখ গুলো হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই টিউমার। দেহের অন্য কোথাও টিউমার হলে মানুষ এতটা বিচলিত হয় না যতটা বিচলিত হয় মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে।

সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকটাই জটিল হয়ে যায় এবং বেশ ব্যয়বহুল। শরীরে যে কোন অঙ্গের স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি হলে সেটাকে টিউমার হিসেবে ধরা হয়।

সে ঠিক একইভাবে মস্তিষ্কে নতুন কোষ সৃষ্টি হওয়ার পরেও যদি পুরাতন কোষ গুলো বিনষ্ট না হয়ে থেকে যায় এবং আস্তে আস্তে বড় আকার নির্ধারণ করে তখন সেটিকে ব্রেইন টিউমার বলা হয়।

ব্রেন টিউমারের কারণ

১। আমাদের দেহের অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো বংশগতভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের প্রবাহিত হয়ে আসছে।। এক্ষেত্রে বাবা মা, দাদা কারো অসুখ থাকলে সেগুলো প্রবাহিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্ম স্থানান্তরিত হয়ে থাকে।

২। পুরনো এবং দীর্ঘমেয়াদি অনেক রোগ আবার নতুন রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন আপনার যদি পূর্বে কোন বড় রোগের ইতিহাস থাকে কিংবা ক্যান্সারের সমস্যা থাকে তাহলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেশি।

কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শরীরের ভেতরে ক্যান্সারের কোষ গুলো সুপ্ত অবস্থায় অনেকদিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারে এবং পরবর্তীতে হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে।

৩। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমরা অনেক সময় উচ্চ রেডিয়েশনযুক্ত স্থানে কাজ করে থাকি। ব্রেন টিউমারের কারণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।। এর ফলে আমাদের দেহে ধরনের অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতে পারে।

৪। জন্মগতভাবেই আমাদের অনেকের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যার কার ঠান্ডা জ্বর, সর্দির কাশি লেগেই থাকে এবং এ থেকে দেখা দিতে পারে বড় বড় অসুখ বিসুখ।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি

মাথাব্যথা

আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে এটি মস্তিষ্কের একটি রোগ। তাই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে অবশ্যই মাথা ব্যথা দেখা দেবে। এই অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি কোন রকম নড়াচড়া করে তাহলেই মাথায় ব্যথা অনুভব হয়। এমনকি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরেও মাথা ব্যথা অনুভব হয়।

চোখের দৃষ্টি কমে আসা

যেহেতু মস্তিষ্কের সাথে চোখের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তাই চোখের দৃষ্টিতেও কিছুটা সমস্যা হয়। এমনকি আক্রান্ত রোগী চোখের ঝাপসা দেখতে শুরু করে এবং তীব্র ব্যথা করে।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ হিসেবে আচরণে পরিবর্তন

মস্তিষ্কে যদি আমাদের ভালো অনুভব না হয় তাহলে মেজাজ খুব সহজে খারাপ হয়ে যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছোট ছোট বিষয়ই রেগে যাওয়া, বিরক্তি অনুভব করা, কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ক্লান্তি কাজ করা ইত্যাদি।

মাঝে মাঝে খিচুনি হওয়া

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আমাদের বিভিন্ন স্নায়ুর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কে তথ্য স্থানান্তরিত হয়। যদি মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে স্নায়ুর মধ্য দিয়ে এই সকল কার্যকলাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় মাঝেমাঝে পিছনে দেখাতে পারে।

এমনকি হঠাৎ করে এই দেহের এক পাশ হয়ে যেতে পারে।

ব্রেন টিউমার হলে করণীয় কি

আপনার কিংবা পরিবারের যে কোন সদস্যদের মধ্যে যদি উপযুক্ত লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এর চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জটিল। অপারেশন এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গুলো নির্ভর করে টিউমারটের ধরন, তীব্রতা, অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ের উপর।

এর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয় সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কিছু মেডিসিন প্রদান করা হয়।

নিম্নোক্ত উপায় গুলোতে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

অপারেশন করা

যেকোনো ধরনের টিউমারই অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। এতে করে সেই টিউমারের বিস্তার আস্তে আস্তে কমে যায়। এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান

ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অন্যতম একটি কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে রেডিওথেরাপি। এই থেরাপি প্রদান করে আক্রান্ত কোষ গুলোকে বিনষ্ট করে দেয়া হয় যাতে বৃদ্ধি না পায়। ব্রেন টিউমার হলে করণীয় গুলোর মধ্যে এটি ও অন্যতম। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যেতে পারে এবং শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।

ব্রেন টিউমার হলে কেমোথেরাপি

রেডিও থেরাপির মতো এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল প্রয়োগ করে আক্রান্ত কোষ গুলোকে মেরে ফেলা হয় এবং তাদের বৃদ্ধি বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

টার্গেটেডথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান

আমাদের দেহে ওষুধ গুলো সাধারণত সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু টার্গেটেডথেরাপির মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে সেখানকার আক্রান্ত দোষ গুলোকে বিনাশ করা হয়।

ব্রেন টিউমার হলে চিকিৎসা খরচ কেমন

এটি আসলে স্পষ্ট করে বলা যায় না। ডাক্তার, হাসপাতাল, আপনার টিউমারের অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করে সাধারণত অপারেশন করতে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেও আপনি চিকিৎসা সম্পন্ন করতে পারবেন। আশা করি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

আমাদের এই ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি সম্পর্কে অবহিত করা। এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়তে অন্যান্য কনটেন্ট গুলি ভিজিট করুন।

হঠাৎ করে কম্পিউটার অন না হলে কি করবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।