ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপনি কি জানেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ ৪ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যেও পার্থক্য থাকলেও আমর শব্দ দুটিকে পাশাপাশি ব্যবহার করি। বর্তমান যুগের সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত শব্দ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আবার অনেকেই দুটি শব্দের মধ্যকার পার্থক্য আলাদাভাবে না বোঝে একটিকে অপরটির জায়গায় ব্যবহার করে। যদিও এই দুটোর মধ্যে রয়েছে বিশাল ফারাক। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আসলে এক জিনিস নয়। একই সাথে রাখ হলেও এদের মধ্যে সম্পর্কের পাশাপাশি বেশ কিছু বিপরীত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধুমাত্র একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার কিছু বিষয় থাকার কারনেই যেকোনো জায়গায় একসাথে ব্যবহার করা হয় শব্দ দুটিকে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কি এবং এদের মধ্যেও পার্থক্য গুলো নিয়ে ধারণা দিতেই আজকে আমাদের এই পোস্টটি করা। এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা জানবো এই দুটি বিষয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোথায়, কি কি বিষয়ে মিল রয়েছে এবং কোনটিকে বিজ্ঞান বলবেন বা কোনটিকে প্রযুক্তি করবেন। তো চলুন প্রথমে বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।

বিজ্ঞান কাকে বলে

আমরা ছোটবেলায় পড়েছি বিশেষ জ্ঞানকেই মূলত বিজ্ঞান বলা হয়। কিন্তু এই বিশেষ জ্ঞান কিভাবে লাভ করে? আপনি কি তা জানেন?

মানুষের কৌতূহলের কারণে সৃষ্ট তথ্য গুলোর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান। অজানাকে জানতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। যার কারণে প্রশ্ন করাকে বলা হয় বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি। প্রকৃতির কোন একটি ঘটনা কেন ঘটছে, কিভাবে ঘটছে ইত্যাদি সকল বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। আর বিজ্ঞানও পরিবেশের বিভিন্ন রহস্যের ব্যাখ্যা করে থাকে।

আমরা জানি পৃথিবীর সকল ঘটনাই কোন না কোন কারনে ঘটে চলেছে। এমনকি কি কোন কিছুই এলোমেলোভাবে হয় না। সকল কিছুরই রয়েছে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা। বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই ধারা গুলোকে খুঁজে বের করা এবং তার ব্যাখ্যা প্রদান করা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পৃথিবীতে কোন বস্তুই ভেসে থাকে না। যে সকল বস্তুর ভর আছে সেগুলো মাটির সাথে লেপ্টে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার উড়োজাহাজ আবার আকাশের উপরে ভাসানো সম্ভব। এই প্রকৃতির এই বিস্ময়কর ঘটনার মধ্যে রয়েছে অভিকর্ষ বল। যেটি আবিষ্কার করা হয়েছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে। আশা করি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য জানার আগে আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতি এবং মানুষের আশে পাশে যা কিছু রয়েছে সবকিছু সম্পর্কে জানাই বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য। এমনকি মানবজাতির বিভিন্ন সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা সম্পর্কেও আলোচনা করে বিজ্ঞান।

প্রযুক্তি কাকে বলে

যখন বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে কোন টুলস কিংবা যন্ত্র ব্যবহার করে মানুষের জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয় তখন তাকে বলা হয় প্রযুক্তি। তবে এটা যে সব সময় বড় কিংবা ছোট বস্তু হতে হবে বিষয়টি তা নয়। হতে পারে এটি ধরা বা ছোঁয়া যায় না কিন্তু প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এটি সরাসরি মানুষের জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।

কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান থেকে আলাদা কিছু নয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণা গুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়াই প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। যদিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তারপরেও এই দুটি সবসময়ই একে অপরের সাথে জড়িত।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অভিকর্ষ বল আবিষ্কারের ঘটনাটি একটি বিজ্ঞান। আগুনের আবিষ্কার একটি বিজ্ঞান। বিদ্যুতের আবিষ্কার একটি বিজ্ঞানের ঘটনা। কিন্তু যখন এই থিওরি গুলো কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক আবিষ্কার করা হয়, উড়োজাহাজ চালানো হয়, বৈদ্যুতিক মোটর তৈরি করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় প্রযুক্তি।

সোজা বাংলায় বলতে গেলে যখন বিজ্ঞানের তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে সেটি মানুষের জীবনের কাজে ব্যবহার করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় প্রযুক্তি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি

আপনারা এতক্ষণ দুটি আলাদা বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এদের একটি অপরদিকে ছাড়া একেবারে অচল। যদি বিজ্ঞান না থাকে তাহলে প্রযুক্তিও থাকবে না। চলুন এই দুটির মধ্যেও বেশ কিছু পার্থক্য এখন জেনে নেই।

উদ্দেশ্য গত

আপনাকে যে কোন বস্তু সম্পর্কে জানতে হলে সেটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে। বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনা গুলিকে বোঝা এবং সেটির ব্যাখ্যা করা।

অন্যদিকে প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞান কে ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের জীবনকে আরো বেশি আরামদায়ক এবং সহজ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা।

পদ্ধতিগত পার্থক্য

যখন কোন বিজ্ঞানী কোন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন তখন বারবার পরীক্ষা করেন, তথ্য প্রদান করেন এবং ফলাফল বের করেন। এভাবে বারবার ব্যর্থ হয়ে এক বার না একবার সফল হন এবং নতুন কিছু মানুষের সামনে নিয়ে হাজির হন।

অন্যদিকে বিজ্ঞানের সফলতার তথ্য গুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি তৈরি করে নানা ধরনের বস্তু।

ফলাফল

বিজ্ঞান যখন কোন একটি আবিষ্কার করে সেটির ফলাফল মানুষের জ্ঞান এবং বৃদ্ধি করে। আর ইঞ্জিনিয়াররা সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম বিজ্ঞানের আবিষ্কার কিন্তু সেটাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরি করেছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা, মোবাইল নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ভরশীলতা

সাধারণত বিজ্ঞান সবসময় আগে আসে এবং এটিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি আসে পরে। কারণ কোন থিওরি আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সেটাকে তার কাজে লাগানো সম্ভব নয়।

জ্ঞানের বৃদ্ধি

সাইন্স আমাদের জগৎ সম্পর্কে বোঝার জন্য নানা রকম ব্যাখ্যা প্রদান করে। আর প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করে।

আমাদের শেষ কথা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্য পার্থক্য থাকলেও একটি ছাড়া আরেকটি প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞান সরাসরি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল না হলেও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের উপরে পুরোপুরি ভাবে নির্ভরশীল। মানব সভ্যতা এগিয়ে চলছে আর আবিষ্কার হচ্ছেনা না ধরনের জিনিস। পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছুই মানুষের এখনো অজানা। হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে সেগুলো মানুষ জানতে পারবে।

মহাকাশে নভোচারীরা কিভাবে চলাফেরা করেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আপনি কি জানেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যেও পার্থক্য থাকলেও আমর শব্দ দুটিকে পাশাপাশি ব্যবহার করি। বর্তমান যুগের সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত শব্দ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আবার অনেকেই দুটি শব্দের মধ্যকার পার্থক্য আলাদাভাবে না বোঝে একটিকে অপরটির জায়গায় ব্যবহার করে। যদিও এই দুটোর মধ্যে রয়েছে বিশাল ফারাক। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আসলে এক জিনিস নয়। একই সাথে রাখ হলেও এদের মধ্যে সম্পর্কের পাশাপাশি বেশ কিছু বিপরীত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধুমাত্র একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার কিছু বিষয় থাকার কারনেই যেকোনো জায়গায় একসাথে ব্যবহার করা হয় শব্দ দুটিকে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কি এবং এদের মধ্যেও পার্থক্য গুলো নিয়ে ধারণা দিতেই আজকে আমাদের এই পোস্টটি করা। এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা জানবো এই দুটি বিষয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোথায়, কি কি বিষয়ে মিল রয়েছে এবং কোনটিকে বিজ্ঞান বলবেন বা কোনটিকে প্রযুক্তি করবেন। তো চলুন প্রথমে বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।

বিজ্ঞান কাকে বলে

আমরা ছোটবেলায় পড়েছি বিশেষ জ্ঞানকেই মূলত বিজ্ঞান বলা হয়। কিন্তু এই বিশেষ জ্ঞান কিভাবে লাভ করে? আপনি কি তা জানেন?

মানুষের কৌতূহলের কারণে সৃষ্ট তথ্য গুলোর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান। অজানাকে জানতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। যার কারণে প্রশ্ন করাকে বলা হয় বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি। প্রকৃতির কোন একটি ঘটনা কেন ঘটছে, কিভাবে ঘটছে ইত্যাদি সকল বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। আর বিজ্ঞানও পরিবেশের বিভিন্ন রহস্যের ব্যাখ্যা করে থাকে।

আমরা জানি পৃথিবীর সকল ঘটনাই কোন না কোন কারনে ঘটে চলেছে। এমনকি কি কোন কিছুই এলোমেলোভাবে হয় না। সকল কিছুরই রয়েছে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা। বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই ধারা গুলোকে খুঁজে বের করা এবং তার ব্যাখ্যা প্রদান করা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পৃথিবীতে কোন বস্তুই ভেসে থাকে না। যে সকল বস্তুর ভর আছে সেগুলো মাটির সাথে লেপ্টে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার উড়োজাহাজ আবার আকাশের উপরে ভাসানো সম্ভব। এই প্রকৃতির এই বিস্ময়কর ঘটনার মধ্যে রয়েছে অভিকর্ষ বল। যেটি আবিষ্কার করা হয়েছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে। আশা করি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য জানার আগে আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতি এবং মানুষের আশে পাশে যা কিছু রয়েছে সবকিছু সম্পর্কে জানাই বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য। এমনকি মানবজাতির বিভিন্ন সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা সম্পর্কেও আলোচনা করে বিজ্ঞান।

প্রযুক্তি কাকে বলে

যখন বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে কোন টুলস কিংবা যন্ত্র ব্যবহার করে মানুষের জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয় তখন তাকে বলা হয় প্রযুক্তি। তবে এটা যে সব সময় বড় কিংবা ছোট বস্তু হতে হবে বিষয়টি তা নয়। হতে পারে এটি ধরা বা ছোঁয়া যায় না কিন্তু প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এটি সরাসরি মানুষের জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।

কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান থেকে আলাদা কিছু নয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণা গুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়াই প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। যদিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তারপরেও এই দুটি সবসময়ই একে অপরের সাথে জড়িত।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অভিকর্ষ বল আবিষ্কারের ঘটনাটি একটি বিজ্ঞান। আগুনের আবিষ্কার একটি বিজ্ঞান। বিদ্যুতের আবিষ্কার একটি বিজ্ঞানের ঘটনা। কিন্তু যখন এই থিওরি গুলো কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক আবিষ্কার করা হয়, উড়োজাহাজ চালানো হয়, বৈদ্যুতিক মোটর তৈরি করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় প্রযুক্তি।

সোজা বাংলায় বলতে গেলে যখন বিজ্ঞানের তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে সেটি মানুষের জীবনের কাজে ব্যবহার করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় প্রযুক্তি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি

আপনারা এতক্ষণ দুটি আলাদা বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এদের একটি অপরদিকে ছাড়া একেবারে অচল। যদি বিজ্ঞান না থাকে তাহলে প্রযুক্তিও থাকবে না। চলুন এই দুটির মধ্যেও বেশ কিছু পার্থক্য এখন জেনে নেই।

উদ্দেশ্য গত

আপনাকে যে কোন বস্তু সম্পর্কে জানতে হলে সেটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে। বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনা গুলিকে বোঝা এবং সেটির ব্যাখ্যা করা।

অন্যদিকে প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞান কে ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের জীবনকে আরো বেশি আরামদায়ক এবং সহজ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা।

পদ্ধতিগত পার্থক্য

যখন কোন বিজ্ঞানী কোন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন তখন বারবার পরীক্ষা করেন, তথ্য প্রদান করেন এবং ফলাফল বের করেন। এভাবে বারবার ব্যর্থ হয়ে এক বার না একবার সফল হন এবং নতুন কিছু মানুষের সামনে নিয়ে হাজির হন।

অন্যদিকে বিজ্ঞানের সফলতার তথ্য গুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি তৈরি করে নানা ধরনের বস্তু।

ফলাফল

বিজ্ঞান যখন কোন একটি আবিষ্কার করে সেটির ফলাফল মানুষের জ্ঞান এবং বৃদ্ধি করে। আর ইঞ্জিনিয়াররা সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম বিজ্ঞানের আবিষ্কার কিন্তু সেটাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরি করেছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা, মোবাইল নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ভরশীলতা

সাধারণত বিজ্ঞান সবসময় আগে আসে এবং এটিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি আসে পরে। কারণ কোন থিওরি আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সেটাকে তার কাজে লাগানো সম্ভব নয়।

জ্ঞানের বৃদ্ধি

সাইন্স আমাদের জগৎ সম্পর্কে বোঝার জন্য নানা রকম ব্যাখ্যা প্রদান করে। আর প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করে।

আমাদের শেষ কথা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্য পার্থক্য থাকলেও একটি ছাড়া আরেকটি প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞান সরাসরি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল না হলেও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের উপরে পুরোপুরি ভাবে নির্ভরশীল। মানব সভ্যতা এগিয়ে চলছে আর আবিষ্কার হচ্ছেনা না ধরনের জিনিস। পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছুই মানুষের এখনো অজানা। হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে সেগুলো মানুষ জানতে পারবে।

মহাকাশে নভোচারীরা কিভাবে চলাফেরা করেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।