ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামাজ পড়াকালীন সময়ে অজু ভেঙ্গে গেলে কি করবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে

নামাজে অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নামাজ পড়ার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে অজু। কিন্তু বিভিন্ন কারণেই মাঝে অজু ভেঙ্গে গেলে কি করবেন? যদি সালাতে অংশগ্রহণ করার আগে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে পুনরায় অজু করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সালাত চলাকালীস সময়ে এ ধরনের ঘটনায় অনেকেই জানেন না কি করা উচিত। চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

যদি আপনি জামাতে নামাজ আদায় করতে দাঁড়িয়ে যান এবং এর মধ্যে অজু ভেঙ্গে যায় তাহলে কারো সাথে কোন কথা না বলে সরাসরি নামাজ ছেড়ে বাইরে চলে যাবেন অজু করার জন্য। তারপর অজু সম্পন্ন হলে পুনরায় এসে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং মুক্তাদির হিসেবে বাকি নামাজ আদায় করবেন। কিন্তু মাঝখানে ওযু করার জন্য যাওয়ার ফলে যেই কয় রাকাত নামাজ ছুটে গিয়েছে সেগুলো পরবর্তীতে মাসবুক হিসেবে আদায় করে নিবেন।

আবার যদি জামাতের ইমামের অজু ভেঙে যায় তাহলে তার পেছনে দাঁড়ানো মুসলিমদের মধ্য থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তি নিজেকে ইমামতি হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করবেন। তখন তিনি বাকি নামাজ টুকু চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে পূর্বের ইমাম যতটুকু পর্যন্ত নামাজ আদায় করেছেন সেটি আর আদায় করার দরকার হবে না।

নামাজে অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয় কি এই বিধান শুধুমাত্র তখনই প্রযোজ্য যখন ইচ্ছাকৃতভাবে কারো অজু ভেঙ্গে যায়। তবে এই বিষয়ে কোন কোন আলেমগণ মত প্রকাশ করেছেন যে নতুন করে ওযু সম্পন্ন করার পর পুনরায় জামাতে অংশগ্রহণ না করে নতুন করে সালাত আদায় করে সবচাইতে বেশি উত্তম।

নামাজে অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয়

আবার যদি এরকম ঘটনা ঘটে যে, কোন ব্যক্তি মনে করলেন নামাজে অজু ভেঙ্গে গিয়েছে। তারপর তিনি নামাজ থেকে বের হয়ে ওযু করতে গেলেন এবং বুঝতে পারলেন আসলে তার ওযু ভেঙে যায়নি। এ সময়ে তিনি যদি মসজিদ থেকে পুরোপুরি বের না হয়ে যান তাহলে পুনরায় জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর যদি এই মসজিদ থেকে বাইরে বের হয়ে যান তাহলে নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে। আর তিনি যদি সালাতের ইমাম হন এবং তার জায়গায় অন্যকেও স্থলাভিষিক্ত বিশুদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

এব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে যে,

কোন ব্যক্তির রুকু কিংবা সেজদায় যাওয়ার পর যদি অজু ছুটে যায় তাহলে তিনি পুনরায় অজু করে সেই রুকু বা সিজদা থেকে নামাজ শুরু করবেন। কারণ সেই সময়তে অজু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সম্পূর্ন ভাবে রুকু সিজদাহ্ আদায় হয়নি। (হিদায়া ১/১০৩-১০৮)

আবার কারো যদি নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার সময় অজু ভেঙ্গে যায় তাহলে তিনি পুনরায় অজু করে পরবর্তীতে সালাম ফিরিয়ে নিবেন। আশা করি এ বিষয়ে আপনারা স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

বিসিএস আনসার ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নামাজ পড়াকালীন সময়ে অজু ভেঙ্গে গেলে কি করবেন

আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নামাজ পড়ার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে অজু। কিন্তু বিভিন্ন কারণেই মাঝে অজু ভেঙ্গে গেলে কি করবেন? যদি সালাতে অংশগ্রহণ করার আগে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে পুনরায় অজু করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সালাত চলাকালীস সময়ে এ ধরনের ঘটনায় অনেকেই জানেন না কি করা উচিত। চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

যদি আপনি জামাতে নামাজ আদায় করতে দাঁড়িয়ে যান এবং এর মধ্যে অজু ভেঙ্গে যায় তাহলে কারো সাথে কোন কথা না বলে সরাসরি নামাজ ছেড়ে বাইরে চলে যাবেন অজু করার জন্য। তারপর অজু সম্পন্ন হলে পুনরায় এসে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং মুক্তাদির হিসেবে বাকি নামাজ আদায় করবেন। কিন্তু মাঝখানে ওযু করার জন্য যাওয়ার ফলে যেই কয় রাকাত নামাজ ছুটে গিয়েছে সেগুলো পরবর্তীতে মাসবুক হিসেবে আদায় করে নিবেন।

আবার যদি জামাতের ইমামের অজু ভেঙে যায় তাহলে তার পেছনে দাঁড়ানো মুসলিমদের মধ্য থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তি নিজেকে ইমামতি হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করবেন। তখন তিনি বাকি নামাজ টুকু চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে পূর্বের ইমাম যতটুকু পর্যন্ত নামাজ আদায় করেছেন সেটি আর আদায় করার দরকার হবে না।

নামাজে অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয় কি এই বিধান শুধুমাত্র তখনই প্রযোজ্য যখন ইচ্ছাকৃতভাবে কারো অজু ভেঙ্গে যায়। তবে এই বিষয়ে কোন কোন আলেমগণ মত প্রকাশ করেছেন যে নতুন করে ওযু সম্পন্ন করার পর পুনরায় জামাতে অংশগ্রহণ না করে নতুন করে সালাত আদায় করে সবচাইতে বেশি উত্তম।

নামাজে অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয়

আবার যদি এরকম ঘটনা ঘটে যে, কোন ব্যক্তি মনে করলেন নামাজে অজু ভেঙ্গে গিয়েছে। তারপর তিনি নামাজ থেকে বের হয়ে ওযু করতে গেলেন এবং বুঝতে পারলেন আসলে তার ওযু ভেঙে যায়নি। এ সময়ে তিনি যদি মসজিদ থেকে পুরোপুরি বের না হয়ে যান তাহলে পুনরায় জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর যদি এই মসজিদ থেকে বাইরে বের হয়ে যান তাহলে নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে। আর তিনি যদি সালাতের ইমাম হন এবং তার জায়গায় অন্যকেও স্থলাভিষিক্ত বিশুদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

এব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে যে,

কোন ব্যক্তির রুকু কিংবা সেজদায় যাওয়ার পর যদি অজু ছুটে যায় তাহলে তিনি পুনরায় অজু করে সেই রুকু বা সিজদা থেকে নামাজ শুরু করবেন। কারণ সেই সময়তে অজু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সম্পূর্ন ভাবে রুকু সিজদাহ্ আদায় হয়নি। (হিদায়া ১/১০৩-১০৮)

আবার কারো যদি নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার সময় অজু ভেঙ্গে যায় তাহলে তিনি পুনরায় অজু করে পরবর্তীতে সালাম ফিরিয়ে নিবেন। আশা করি এ বিষয়ে আপনারা স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

বিসিএস আনসার ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।