ট্রেসার পদের কাজ কি এবং কি যোগ্যতা লাগে
- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
অল্প কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ট্রেসার পদের কাজ কি সে সম্পর্কে অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। যে কোন চাকরিতে আবেদন করার আগে সেই পদ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। অনেকেই এই ধরনের পদের রেস্পন্সিবিলিটি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা রাখেন না। তাই SRDI ট্রেসার পদের কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রথমে জেনে নেই আবেদন করার যোগ্যতা
পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ট্রেসার পদে যোগদান করার জন্য অবশ্যই এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়াও আগ্রহী প্রার্থীকে ট্রেসার অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোর্স করা থাকতে হবে।
বয়সীমা সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত। তবে যারা মুক্তিযোদ্ধা কিংবা অন্যান্য কোটায় আবেদন করবেন তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত বয়স শিথিল যোগ্য।
ট্রেসার পদের কাজ কি
সহজ ভাষায় বলতে গেলে SRDI Tracer পদের কা হচ্ছে মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এটি হচ্ছে মূল দায়িত্ব। তবে এর পাশাপাশি আরও কিছু কাজ এবং দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেগুলো আপনাদের জন্য নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো।
• মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে মূলত মাটির গবেষণার সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। আর গবেষণার কাজ করার একটি বড় বিষয় হচ্ছে কৃষি জমির মাটি গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী ম্যাপিং করা। ট্রেসান পদের কাজ হচ্ছে এই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় গবেষক বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সকল ধরনের সাহায্য করা।
• সরাসরি আবাদি জমি পরিদর্শন করে সেগুলো জরিপ করা এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট সম্পাদন করা। এছাড়াও আবাদি জমির উপরে ভিত্তি করে একজন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ার কাজও করে থাকে এই পদের লোকেরা।
• অনেক সময় একজন কৃষক সরাসরি জমির মাটি নিয়ে আসে মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অফিসে। তখন সেই মাটি গুলোর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে ফসলের উৎপাদন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করার দায়িত্বও পালন করতে হয়।
• তারপর সে জমিতে ঠিক কি কি পরিমানে এবং কোন কোন ধরনের সার লাগবে সেটির একটি চার্ট প্রদান করা।
বর্তমানে এসআরডিআই হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সারের ব্যবহার এবং মাটির ফসল উৎপাদন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে থাকে। এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সকল ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বমোট ১০ ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। একটি সুসজ্জিত ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মাটির টেস্টিং এর কাজ করা হয়। এসকল ভ্রাম্যমান টেস্টিং সেন্টারে রয়েছে অত্যন্ত আধুনিক সরঞ্জাম যেগুলো দিয়ে কৃষকদের মাটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করা হয়। বছরে মূলত ২ মৌসুম অর্থাৎ রবি মৌসুম এবং খড়ি মৌসুমে এসকল ভ্রাম্যমান গাড়ির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের দোর গোড়ায় পৌঁছে সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে মাত্র ২৫ টাকায় এধরনের টেস্টিং সার্ভিস প্রদান করে থাকে মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।
একজন এসআরডিআই ট্রেসার পদ এর কাজ হচ্ছে এই ধরনের ভ্রাম্যমান গাড়ির সাথে কৃষকদের মৃত্তিকা পরীক্ষার কাজ গুলো সম্পাদন করা।
চিনা বাদামের অপকারিতা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।