এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন নিয়ে সুখবর
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয় EFT এর মাধ্যমে। যেটাকে বলা হয় ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার। এর মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত সময়ে নিজের মোবাইলের বেতনের খবর পেয়ে যান সবাই। কিন্তু এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা হয় চেক প্রদানের মাধ্যমে। পরবর্তীতে সেটা ব্যাংক হতে উত্তোলন করতে হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের মতোই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতনও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রদান করার উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হলে সারা বাংলাদেশের প্রায় ৮,২২৯ টি এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসার কর্মরত ১,৭৯,২১৭ জন শিক্ষক এবং কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইলে বেতনের তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন। এমনকি মাসের শুরুতেই অর্থাৎ এক তারিখেই তারা এটি পেয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
এব্যাপারে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল বাশার সাংবাদিকদের কে জানান, বিগত দুই মাস ধরে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ১ তারিখেই প্রদান করা হচ্ছে। যেটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি। তিনি আরো জানান এসকল শিক্ষক এবং কর্মচারীরা যাতে মাসের শুরুতে অর্থাৎ ১ তারিখে নিয়মিত বেতন পেতে পারেন তার জন্য এই আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন নিয়ে সুখবর
মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন প্রদানের এই বিষয়টি নিয়ে সাথে ৭ অক্টোবর একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন। উক্ত সেমিনারের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাদ্রাসা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান। তিনি এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ সবার সামনে তুলে ধরবেন।
আমরা জানি বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের সরকারি অংশের বেতন চেক ছাড়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পরবর্তী সময় নিজের বেতনের অর্থ গুলি নির্দিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে উত্তোলন করতে হয়। অনেক সময় ১ কিংবা দুই তারিখে বেতন চেক ছাড় করা হলেও শুক্রবার, শনিবার কিংবা সাপ্তাহিক ছুটি কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকে। যার কারণে বেতনের অর্থ উত্তোলন করতে করতে আরো ২ থেকে ৩ দিন দেরি হয়ে যায়। স্কুল গুলোর পাশাপাশি এমপিও ভুক্ত কলেজের বেতন হয় এই পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়ে থাকে। যেটি একজন শিক্ষকের জন্য বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন প্রদানের এই নতুন উদ্যোগটি গ্রহণ করা হলে আর এই সমস্যা গুলো থাকবে না। অল্প সময়ে বেতনের অর্থ উত্তোলন করা যাবে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।