ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে বন্যার পানি তীব্রতা। অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ের ঢলের পরিমাণ কিছুটা কমলেও নদী ভাঙ্গনে পানি প্রবেশ করছে গ্রামাঞ্চল এবং বসতবাড়ির ভেতরে। নতুন নতুন এলাকা গুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এভাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে। ইতিমধ্যে উক্ত জেলা সদরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পানি প্রবেশ করে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটজনের মৃ ত্যু ঘটেছে।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, গত দুইদিন আগে টানা বৃষ্টির বর্ষণে শুক্রবার থেকে ব্রহ্মপুত্র, ভোগাইসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ব্যাপকভাবে প্রবেশ করে। যার কারণে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্ততপক্ষে ১২ টি ইউনিয়নের লোকজন নতুন করে বন্যার শিকার হন।

সর্বশেষ ৬ অক্টোবর রবিবার ২০২৪ তারিখে খবর অনুযায়ী কমপক্ষে ২৫ টি ইউনিয়নের মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন গৃহপালিত পশু পাখি, গরু ছাগল সহ খামারের মাছ পানিতে ভেসে গিয়েছে। সেই সাথে কাঁচা পাকা বিভিন্ন রকমের রাস্তাঘাট, বাড়ি, ব্রিজ, কালভার্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ভোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে অসহায় পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় নৌকায় একমাত্র ভরসা এই এলাকার মানুষদের।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে

এলাকা গুলো পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন সাহায্যের। বানভাসী মানুষদের সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজেপি, জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছা সেবীরর ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেটিও অপ্রতুল। পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকার অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি এবং পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবারেরও সংকট দেখা দিচ্ছে।

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে নালিতাবাড়ী উপজেলার এক কৃষকের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, গত ৮৮ এর বন্যার চাইতেও এবারের পানির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। একই এলাকার এক গৃহবধুর সাথে কথা বললে তিনি জানান বিগত কয়েকদিন ধরে সব সময় ভিজা কাপড়ে রয়েছেন তিনি। ঘরের ভিতরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েল পানির নিচে তুলে যাওয়া খাবার পানীয় সংকট দেখা দিয়েছে। সম্ভব হচ্ছে না কোন রান্নাবান্না করার।

টাকায় শেখ মুজিবের ছবি থাকছে না, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে

আপডেট সময় : ০৪:০০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে বন্যার পানি তীব্রতা। অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ের ঢলের পরিমাণ কিছুটা কমলেও নদী ভাঙ্গনে পানি প্রবেশ করছে গ্রামাঞ্চল এবং বসতবাড়ির ভেতরে। নতুন নতুন এলাকা গুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এভাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে। ইতিমধ্যে উক্ত জেলা সদরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পানি প্রবেশ করে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটজনের মৃ ত্যু ঘটেছে।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, গত দুইদিন আগে টানা বৃষ্টির বর্ষণে শুক্রবার থেকে ব্রহ্মপুত্র, ভোগাইসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ব্যাপকভাবে প্রবেশ করে। যার কারণে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্ততপক্ষে ১২ টি ইউনিয়নের লোকজন নতুন করে বন্যার শিকার হন।

সর্বশেষ ৬ অক্টোবর রবিবার ২০২৪ তারিখে খবর অনুযায়ী কমপক্ষে ২৫ টি ইউনিয়নের মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন গৃহপালিত পশু পাখি, গরু ছাগল সহ খামারের মাছ পানিতে ভেসে গিয়েছে। সেই সাথে কাঁচা পাকা বিভিন্ন রকমের রাস্তাঘাট, বাড়ি, ব্রিজ, কালভার্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ভোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে অসহায় পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় নৌকায় একমাত্র ভরসা এই এলাকার মানুষদের।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে

এলাকা গুলো পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন সাহায্যের। বানভাসী মানুষদের সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজেপি, জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছা সেবীরর ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেটিও অপ্রতুল। পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকার অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি এবং পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবারেরও সংকট দেখা দিচ্ছে।

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে নালিতাবাড়ী উপজেলার এক কৃষকের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, গত ৮৮ এর বন্যার চাইতেও এবারের পানির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। একই এলাকার এক গৃহবধুর সাথে কথা বললে তিনি জানান বিগত কয়েকদিন ধরে সব সময় ভিজা কাপড়ে রয়েছেন তিনি। ঘরের ভিতরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েল পানির নিচে তুলে যাওয়া খাবার পানীয় সংকট দেখা দিয়েছে। সম্ভব হচ্ছে না কোন রান্নাবান্না করার।

টাকায় শেখ মুজিবের ছবি থাকছে না, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।