ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেদি যেভাবে আপনার মাথার ত্বক এবং চুলের ক্ষতি করে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চুলের যত্নে কিংবা সাজগোজে মেহেদির ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই। এটি ছাড়ক বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান, ঈদের অনুষ্ঠান ইত্যাদি যেন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু আপনি কি মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে জানেন? কি বিশ্বাস হচ্ছে না?

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাকৃতিকভাবে চুলকে শক্ত এবং মজবুত করার জন্য মেহেদি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এমনকি যাদের চুল পেকে গেছে তাদের জন্য ন্যাচারালি চুলের রং করার ক্ষেত্রে মেহেদীর সর্বাপেক্ষা বেস্ট। বর্তমান বাজারে আমরা অর্গানিক মেহেদী পাতার পরিবর্তে বিভিন্ন রকম প্যাকেটজাত পণ্য কিনে থাকি। যেগুলো ব্যবহারে উপকার তো হয়ই না বরং উল্টো শরীরের ক্ষতি হতে থাকে। কারণ এটাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।

চলুন মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলি সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেই।

শুকনো চুলের ক্ষেত্রে

বিভিন্ন প্যাকেটজাত মেহেদি ব্যবহারের ফলে চুল আস্তে আস্তে এর শক্তি হারাতে শুরু করে। যার কারণে চুলের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক

আমাদের সবার চুলের একটি প্রাকৃতিক রং এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি যদি বাজার থেকে কেনা যত্রতত্র রাসায়নিক মেহেদী ব্যবহার করেন তাহলে চুলের আসল কালো রং নষ্ট হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে এটি ধূসর কিংবা মেরুন কালারের পরিণত হতে থাকবে। বাইরে থেকে দেখতে দেখতে দৃষ্টিকটু মনে হবে।

চুল দুর্বল হয়ে যাওয়া

আমরা সাধারণত মেহেদী ব্যবহার করার পর চুলের শ্যাম্পু কিং বা কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি এই ধরনের প্যাকেটজাত দ্রব্য চুলে ব্যবহার করেন তাহলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে দেখবেন কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পু করার পর চুল আঁচড়াতে গিয়ে বেশিরভাগই চলে যাচ্ছে। প্যাকেটেজাত মেহেদির ক্ষতিকারক দিক গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

মাথার ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা হওয়া

মানুষের ত্বক বিশেষ করে মাথার স্কিন খুবই সেনসিটিভ প্রকৃতির। বাজারে বেশিরভাগ নকল প্যাকেটজাত মেহেদীতে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তাই মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে এটি আমাদের ত্বকের স্ক্যাল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা থেকে ভবিষ্যতে এলার্জি, ফুসকড়ি এমনকি চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

প্রাকৃতিক কিংবা অর্গানিক মেহেদী রূপচর্চায় কিংবা চুলের যত্নে খুবই উপকারী। কিন্তু প্যাকেটেজাত মেহেদির ক্ষতিকারক দিক গুলো বিবেচনা করে তারপর ব্যবহার করা উচিত। কারণ চুলের ভারসাম্য একবার নষ্ট হয়ে গেলে সেটি ফিরে আনা অনেক কঠিন।

২৩৮টি পদে ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেহেদি যেভাবে আপনার মাথার ত্বক এবং চুলের ক্ষতি করে

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

চুলের যত্নে কিংবা সাজগোজে মেহেদির ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই। এটি ছাড়ক বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান, ঈদের অনুষ্ঠান ইত্যাদি যেন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু আপনি কি মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে জানেন? কি বিশ্বাস হচ্ছে না?

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাকৃতিকভাবে চুলকে শক্ত এবং মজবুত করার জন্য মেহেদি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এমনকি যাদের চুল পেকে গেছে তাদের জন্য ন্যাচারালি চুলের রং করার ক্ষেত্রে মেহেদীর সর্বাপেক্ষা বেস্ট। বর্তমান বাজারে আমরা অর্গানিক মেহেদী পাতার পরিবর্তে বিভিন্ন রকম প্যাকেটজাত পণ্য কিনে থাকি। যেগুলো ব্যবহারে উপকার তো হয়ই না বরং উল্টো শরীরের ক্ষতি হতে থাকে। কারণ এটাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।

চলুন মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলি সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেই।

শুকনো চুলের ক্ষেত্রে

বিভিন্ন প্যাকেটজাত মেহেদি ব্যবহারের ফলে চুল আস্তে আস্তে এর শক্তি হারাতে শুরু করে। যার কারণে চুলের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

মেহেদি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক

আমাদের সবার চুলের একটি প্রাকৃতিক রং এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি যদি বাজার থেকে কেনা যত্রতত্র রাসায়নিক মেহেদী ব্যবহার করেন তাহলে চুলের আসল কালো রং নষ্ট হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে এটি ধূসর কিংবা মেরুন কালারের পরিণত হতে থাকবে। বাইরে থেকে দেখতে দেখতে দৃষ্টিকটু মনে হবে।

চুল দুর্বল হয়ে যাওয়া

আমরা সাধারণত মেহেদী ব্যবহার করার পর চুলের শ্যাম্পু কিং বা কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি এই ধরনের প্যাকেটজাত দ্রব্য চুলে ব্যবহার করেন তাহলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে দেখবেন কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পু করার পর চুল আঁচড়াতে গিয়ে বেশিরভাগই চলে যাচ্ছে। প্যাকেটেজাত মেহেদির ক্ষতিকারক দিক গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

মাথার ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা হওয়া

মানুষের ত্বক বিশেষ করে মাথার স্কিন খুবই সেনসিটিভ প্রকৃতির। বাজারে বেশিরভাগ নকল প্যাকেটজাত মেহেদীতে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তাই মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে এটি আমাদের ত্বকের স্ক্যাল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা থেকে ভবিষ্যতে এলার্জি, ফুসকড়ি এমনকি চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

প্রাকৃতিক কিংবা অর্গানিক মেহেদী রূপচর্চায় কিংবা চুলের যত্নে খুবই উপকারী। কিন্তু প্যাকেটেজাত মেহেদির ক্ষতিকারক দিক গুলো বিবেচনা করে তারপর ব্যবহার করা উচিত। কারণ চুলের ভারসাম্য একবার নষ্ট হয়ে গেলে সেটি ফিরে আনা অনেক কঠিন।

২৩৮টি পদে ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।