প্রতিদিন ভিনেগার খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে
- আপডেট সময় : ১০:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন রান্নার কাজে আমরা নিত্যনৈমিত্তিকভাবে ভিনেগার ব্যবহার করে থাকি। টক এবং নোনতা স্বাদের এই তরলটিতে আছে অনেক উপকারী উপাদান। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, খনিজ লবণ ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি।
মূলত বিভিন্ন ধরনের ফল থেকে গাজন বা ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় ভিনেগার। নিয়মিত পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ আমাদের দেহের কিছু উপকার হয়। যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
দেহে চর্বি জমতে বাধা প্রদান করেন
আপনি যদি খাওয়ার আগে কিংবা খাওয়ার সময় সামান্য পরিমাণে ভিনেগার পান করেন তাহলে আপনার দেহের কোলেস্টেরলের মাত্র কমে যাবে। এটি আমাদের শরীরে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জমতে বাধা প্রদান করে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা কমায়
ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি ইন্সুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিনেগার বেশ কার্যকরী।
আমাদের খাবারের ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়
যদিও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই এর তবুও দেখা গিয়েছে ভিনেগারের সাথে ওজন কমানোর একটি সম্পর্ক রয়েছে। এটি আমাদের রুচি কমিয়ে দেয় এবং হজমেও সহায়তা কর। যার ফলে দৈনিক ১ থেকে ২ চামচ ভিনেগার খাওয়ার কারণে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
মেয়েদের স্বাভাবিক পিরিয়ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
বর্তমানে অনেক মেয়েদেরই অনিয়মিত পিরিয়ড একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটিও একটি যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ধরনের জীবাণু প্রতিরোধ করে
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সব সময়ের গুরুত্বপূর্ণ। ভিনেগার খেলে এর উপাদান গুলি আমাদের দেহের জীবানুর সাথে লড়াই করতে থাকে। এটা যেহেতু কিছু পরিমাণ অম্লও রয়েছে তাই পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া কার্যকলাপও অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাইতো ভিনেগার খেলে আমাদের পেটের স্বাস্থ্য খুবই ভালো থাকে।
ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম কি কি
আমি আগে একবার বলেছি এটিতে অন্যের পরিমাণ অনেক টাই বেশি। যার পিএইচ মাত্রা ২ থেকে ৩। তাই সরাসরি এটি খাওয়া উচিত নয় বরং পানি সালাদ কিংবা অন্য কোন কিছুর সাথে মিশে খাওয়া ভালো।
আপনি বাজারে গেলে ২ ধরনের ভিনেগার কিনতে পারবেন। যার মধ্যে একটি হচ্ছে সাদা এবং আরেকটি হচ্ছে গাঢ় লালচে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার গাঢ় লালচে রঙের হয়। এটির অম্লীয় মাত্রা সাদা ভিনেগারের চাইতে অনেকটাই কম। দৈনিক ১ থেকে ২ চামচ এটি খেলে বেশি উপকার মিলবে।
আবার সাদা ভিনেগার আপনি পানি ফল কিংবা অন্য কোন জুসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। সবচাইতে ভালো হয় রাতের বেলা ঘুমানোর আগে এটি খেলে।
ভিনেগার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা
যারা ইতিমধ্যে কোন শারীরিক রোগ কিংবা আলসারে ভুগছেন তাদের জন্য এটি না খাওয়াই উচিত। আর খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আগে নিতে হবে। আবার যাদের বুক জ্বালাপোড়া কিংবা বমি ভাব হয় তাদের ক্ষেত্রেও এটি খেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আমাদের অনেকের দেহে আবার এলার্জি সমস্যা আছে। এলার্জি হচ্ছে এমন একটি শারীরিক সমস্যা যার কারণে আমাদের শরীরে ফোসকা বা দাগ পড়ে যায় ফুলে যায় এবং চুলকাতে থাকে। একেকজনের এলার্জির সমস্যা এক এক ধরনের হয়। কারো ধুলাবালিতে আবার কারো বিভিন্ন ধরনের খাবারে। আপনি যদি ভিনেগার করে পান করার পরে এই ধরনের কোন লক্ষণ দেখতে পান তাহলে একদমই বাদ দিয়ে দিন। কারণ এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে পরবর্তীতে গুরুতর কিছু হতে পারে।
যেহেতু এটিতে এসিড রয়েছে তাই দাঁতের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। তাই গ্লাসে নিয়ে আপনি স্ট্রং দিয়ে পান করতে পারেন। আবার পান করার পর পানি দিয়ে কুলি করুন যাতে মুখের ভেতরে লেগে না থাকে। আশা করি ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা গুলি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
স্টারলিংক ইন্টারনেট সার্ভিস নিতে কত টাকা খরচ হবে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।