স্টারলিংক ইন্টারনেট সার্ভিস নিতে কত টাকা খরচ হবে
- আপডেট সময় : ১১:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসতে চলেছে ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেট সার্ভিস। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশন এব্যাপারে ইতিমধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি চূড়ান্তর সিদ্ধান্তের জন্য জনগণের মতামত চেয়েছে বিটিআরসি।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের অধীনে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সুবিধা হল স্টারলিংক। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করল ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম এটি ২ স্যাটেলাইট পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করে। যার পর থেকেই এর সাথে যুক্ত হচ্ছ আরো স্যাটেলাইট। মূলত সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মানুষকে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান ষ্টারলিংক।
স্টারলিংক ইন্টারনেটের সুবিধা কি কি
আমরা বাসাবাড়িতে যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বা ওয়াইফাই ব্যবহার করি সেগুলোতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্রাম কিংবা মফস্বল এলাকায় এই ধরনের সার্ভিস নেই। আর তারের সংযোগ দিতে হয় বিধায় নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। ঝড় বৃষ্টিতে অনেক সময় তার নষ্ট হয়ে যায় কিংবা ছিঁড়ে যায়। এমনকি সার্ভিস প্রোভাইডারা যখন সংযোগ এবং মেরামতের কাজ করে তখনও কিছুক্ষণের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা।
কিন্তু স্টারলিংক ইন্টারনেট যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রদান করা হয় তাই এই ধরনের কোন ঝামেলা নেই। এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি গ্রামে মফস্বলে শহরে পাহাড়ি এলাকায় যে কোন স্থানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন ইন্টারনেটের সাথে।
স্টারলিংক ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ও খরচ কত
এজন্য আপনাকে স্টারলিংক কোম্পানির একটি রাউটার বা ডিভাইস কিনতে হবে। যেটিকে মূলত বলা হয় রিসিভার। ইতিমধ্যে রাজধানীর বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে এই রিসিভারটি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এটি খুব আগ্রহ সহকারে দেখছে। মেলাটি চলবে ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত।
স্টারলিংক বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যক্তি ইন্টারনেট সেবা। এটা রিসিভারের দাম পড়বে ৩৪৯ ডলার। বাংলাদেশের টাকায় যেটির পরিমাণ প্রায় ৪১ হাজার টাকা। এটি একবারে কিনতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য প্রতি পরবর্তীতে শুধুমাত্র প্রতি মাসে ফি প্রদান করতে হবে ১২০ ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার টাকা। খরচ কিছুটা বাড়তে কিংবা কমতেও পারে।
সব মিলিয়ে প্রথম মাসে আপনার খরচ হতে পারে ৫৩ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। ইন্টারনেটের গতি হবে ২৫ থেকে ১০০ মেগাবাইট পর্যন্ত। বিদ্যুৎ খরচ হবে ৭৫ থেকে ১০০ ওয়াট। স্টারলিংক ইন্টারনেট ওয়াইফাইয়ের সাথে আপনি একসাথে ২৪৫টি ডিভাইস যুক্ত করতে পারবেন। বুঝতে পারছেন এটি বেশ শক্তিশালী ইন্টারনেট সেবা।
বাংলাদেশের কবে আসছে স্টারলিংক ইন্টারনেট (Starlink Internet)
বিটিআরসি ইতিমধ্য স্যাটেলাইট পরিষেবা অপারেটরদের জন্য চূড়ান্ত নির্দেশিকা তৈরি করতে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে মতামত চেয়েছে। স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ষ্টারলিংককে বাংলাদেশের সকল ফোন অপারেটররা এবং অন্যান্য স্টক হোল্ডাররা ইতিমধ্যেও স্বাগত জানিয়েছে। বিভাজন দূর করে ডিজিটাল সেবায় সবার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করতে পারে এই নতুন সার্ভিস। এমনকি মানুষের সামাজিক অর্থনীতি এবং সামগ্রিকভাবে দেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এই কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যক্তি ইন্টারনেট সার্ভিস।
আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় অনেক মেধাবীদের অন্তরীরা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ অনলাইন ভিত্তিক যে কোন কাজ করার জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট সেবা প্রয়োজন। প্রত্যন্ত দুর্গম এবং নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে ইচ্ছার সত্ত্বেও ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ আপনি পাহাড়ি এলাকা, চর এলাকা, নদীর আশেপাশের এলাকা গুলোর কথা চিন্তা করতে পারেন। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড পৌঁছানো এ সকল এলাকায় খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়।
তবে এখানে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, বাংলাদেশের প্রায় সকল সিম অপারেটররাই বর্তমানে আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজের সুবিধা প্রদান করছে। এতে করে গ্রাহকরা আরো নির্বংশ ভাবে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকতে পারছে। নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। খুব শীঘ্রই স্টারলিংক ইন্টারনেট বাংলাদেশ মানুষের কাছে এসে পৌঁছালে জীবনযাত্রা এবং প্রযুক্তি নির্ভর বিষয় গুলি আরো উন্নত হবে।
ওমানের ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয় এবং বেতন কত? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।