প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি কি
- আপডেট সময় : ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। সাধারণভাবে বাচ্চা গর্ভধারণের প্রথম ১ মাস উপসর্গ দেখে বোঝার উপায় নেই। তবে নারীরা যে বিষয়টি সর্বপ্রথম খেয়াল করেন সেটি হচ্ছে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটির মাধ্যমেই অনুমান করা হয়েছে যে আপনি বাচ্চা ধারণ করেছেন।
আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা কিভাবে বুঝবেন
আমি আগেই একবার উল্লেখ করেছি যে বাচ্চা গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবচাইতে অন্যতম হচ্ছে পিরিয়ড। যদিও সব গুলো লক্ষণ দিয়ে পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় তবুও নিচে কিছু সাধারণ উপসর্গ গুলি সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম।
১। প্রেগন্যান্ট হলে কিছু কিছু সময় মাথা ঘুরাতে পারে। সাময়িক সময়ের জন্য মাথায় ব্যাথাও হতে পারে।
২। কোনো কারণ ছাড়াই বমি বমি ভাব হতে পারে।
৩। অল্প কিছুক্ষণ কাজ করলেই হাপিয়ে যেতে পারেন।
৪। মাঝে মাঝে তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা করতে।
৫। গর্ভধারণের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। এটি যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তাহলে অনুমান করতে পারেন যে আপনি বাচ্চা ধারণ করেছেন।
৬। হঠাৎ করেই কোন খাবার খাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা অথবা প্রিয় কোন খাবারের প্রতি অরুচি ভাব আসা।
উপরিক্ত এই লক্ষণ গুলির মাধ্যমে আপনি সুনিশ্চিত হতে পারবেন না যে প্রেগন্যান্ট হয়েছেন কিনা। কেননা মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের আগে কিংবা অন্য যেকোনো সময় এই ধরনের লক্ষণ হতে পারে। আবার অনেক সময় গর্ভধারণ করলেও কোন লক্ষণই বা উপসর্গ দেখা যায় না। অনেক সময় নারী গর্ভধারণের ৩/৪ মাস অতিবাহিত করলেও বুঝতে পারেন না।
তাই একবারে সুনিশ্চিত হওয়ার উপায় হলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টেস্ট করানো।
সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
আপনি যদি কোন মাসের পিরিয়ড মিস করেন এবং অনিরাপদ সহবাস করে থাকেন তাহলে আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারবেন। এটি সাধারণত গর্ভধারণের ২৫ থেকে ৩০ দিন পর করলেই বোঝা যায়। এমনকি বাজারে অনেক ধরনের কিট পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে ঘরে বসে আপনি এই পরীক্ষাটি করতে পারবেন। যেকোনো ওষুধের দোকান কিংবা সুপার শপে গিয়েই এটি কিনতে পারবেন। একেকটি কিট ব্যবহারের নিয়মও বিভিন্ন রকম। তাই ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে নিয়মাবলী ভালো ভাবে পড়ে নিবেন।
যদি তাতে করেও সুনিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করেন।
তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে বাচ্চা গর্ভধারণের ৯ দিন পরেই ফলাফল পাওয়া যায়।
বাচ্চা গর্ভধারণ হলে করণীয় কি
যদি আপনি নিশ্চিত হন যে প্রেগন্যান্ট হয়েছেন তাহলে অবশ্যই কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে সর্বপ্রথম হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় চেকআপ গুলো করে নেওয়া। তারপর তিনি যে সকল নিয়মকানুন এবং মেডিসিন সাজেস্ট করবেন সেগুলো যথাযথভাবে মেনে চলুন। তবু কিছু সাধারণ সচেতনতা নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই নানা ধরনের ভারী কাজকর্ম এবং যত্রতত্র খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
২। যথাসম্ভব সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, পুষ্টিকর মাছ ইত্যাদি খেতে হবে।
৩। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কোন ধরনের ধূমপান, অতিরিক্ত চা, কফি ইত্যাদি পান করা যাবে না।
অন্যান্য সচেতনতা
আমাদের দেশে এখন চিকিৎসা সেবা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। মফস্বল এবং গ্রাম এলাকাতেও সব সময় ভালো ডাক্তার পাওয়া যায়। তাই আপনার উচিত নিয়মিত একজন গাইনি ডাক্তারের অধীনে পরামর্শ নিয়ে জীবন যাপন করা। আপনি যখন থেকেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো বুঝতে পারবেন ঠিক তখন থেকেই পুরোপুরি ভাবে নিজের জীবনধারা পাল্টে ফেলুন।
ভালো মশা মারার ব্যাটের দাম কত? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।