শিশুদের দাঁতের যত্নে কি কি উপায় অবলম্বন করবেন
- আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
শিশুদের নিয়ে চিন্তা করার বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দাঁত। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর মধ্যে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়া সেগুলো ব্যবহার করে এসিড উৎপন্ন করে। পরবর্তীতে সেই এসিড আস্তে আস্তে আমাদের এনামেলকে ক্ষয় করে দেয়। তাই কোন কোন খাবারে শিশুদের দাঁতের ক্ষতি হতে পারে সেগুলো জেনে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। তা না হলে অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
দাঁতের যত্নে চিনি যুক্ত খাবার পরিহার
দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে এমন খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিনি যুক্ত খাবার এবং জুস। আবার শিশুদের জন্য শক্ত কিছু খেতে দেওয়া উচিত নয়। এতে করে দাঁত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব এগুলো পরিহার করার চেষ্টা করুন।
যে সকল ফলে অম্ল রয়েছে সেগুলো খেলেও এনামেল ক্ষয় হতে পারে। আপনার শিশু লেবুযুক্ত খাবার পছন্দ করলেও খাওয়ানোর ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এতে করে মুখে সৃষ্টি হতে পারে ঘা এবং স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর।
চা এবং কফি জাতীয় খাবার
যদিও এটি বড়দের জন্য যতটা স্বাস্থ্যকর শিশুদের জন্য ততটা নয়। আপনার শিশুকে অতিরিক্ত চা, কফি প্রদান করা হলে দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তাই শিশুর দাঁতের যত্নে এধরনের খাবার গুলো থেকে দূরে রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের শুকনো এবং শক্ত ফল
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুকনো ফল খুবই স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। তবে সেটি খাওয়ার পরিমাণ যেন অতিরিক্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে। কারণ এগুলো শিশুর মুখে অনেকক্ষণ ধরে থাকে এবং ক্ষতি করতে পারে দাঁতের। আর যদি নিয়মিত এই ধরনের শুকনো ফল প্রদান করেন তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করাবেন।
শিশুদের দাঁতের যত্নে অন্যান্য পদক্ষেপ
১। আপনার শিশুকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শোয়ার আগে ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২। চকলেট কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করার উপদেশ দিন।
৩। অনেক সময় শিশুরা না বুঝে খেলনা বা এজাতীয় কোনো কিছু মুখে দিতে পারে এবং দাঁত দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে পারে। এই ধরনের কাজ যেন সে কখনোই না করে সে ব্যাপারে বোঝানো। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের মত বাচ্চাদের দাঁত অতটা শক্ত হয় না। তাই সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৪। বাচ্চাদের দাঁত নষ্ট হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, খেলতে গিয়ে আঘাত পাওয়া। বেশিরভাগ মানুষেরই ছোটবেলার এই ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাকে সর্বদা নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ হঠাৎ সামান্য পরিমাণে আঘাতে পড়ে যেতে পারে দাঁত।
আমাদের শেষ কথা
বাসার ছোট সদস্যদের সকল ক্ষেত্রেই অধিক যত্নের প্রয়োজন। তবে শিশুর দাঁতের জন্য যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তা। আর যদি আঘাত পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ দিন। যদিও নির্দিষ্ট সময় পরপর অবশ্যই ডেন্টিস্টের কাছ থেকে সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়া উত্তম।
যদি তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে যায় তাহলে কি করবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।