ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কনস্টেবলের বেতন কত এবং সুযোগ-সুবিধা কি কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন কত

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে পুলিশ কনস্টেবলের বেতন কত এবং অন্যান্য কি কি সুবিধা প্রদান করা হয় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো। সরকারি এই চাকরিতে সবাই যোগদান করতে পারে না। নির্ধারিত শিক্ষাগত, শারীরিক ইত্যাদি যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই নিয়োগ পাওয়া যায়। তরুণ সমাজের কাছে এই পেশাটি খুবই জনপ্রিয়।

তবে চাকরিতে যোগদান করার পর একজন পুলিশ কনস্টেবল কত টাকা বেতন পেয়ে থাকেন সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। তাই চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

পুলিশ কনস্টেবল মাসে কত টাকা বেতন পেয়ে থাকে (Police Constable Salary)

সাফল্যের সহিত ১ বছর প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগদান করলে বেতন ভাতা প্রদান করা হবে ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ২০১৫ সালের জাতীয় স্কেল অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে এই বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই পদে ৩ বছর চাকরি করলে নায়েক পদে প্রমোশন পাওয়া যায়। তবে তবে মূল বেতনের সাথে আরো রয়েছে চিকিৎসা ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, টিফিন ভাতা এবং বিবাহিতদের ক্ষেত্রে মূল বেতনের ৪০% ভাতা। এগুলো ছাড়াও বাৎসরিক বোনাস ও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা কি কি

বাংলাদেশ পুলিশর কনস্টেবল পদে আবেদন করার জন্য অবশ্যই এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। তবে তালাক বা ডিভোর্স গ্রহণযোগ্য নয়।

উপরোক্ত যোগ্যতা গুলি ছাড়াও শারীরিক যোগ্যতাও রয়েছে। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হবে সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজনও থাকতে হবে।

পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রমোশন পেয়ে কি হওয়া যায়?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কনস্টেবল পদে যোগদান করে সর্বোচ্চ ইন্সপেক্টর অথবা ওসি পদে প্রমোশন পেতে পারেন। একজন কনস্টেবল সফলতার সহিত ৩ বছর চাকরি করার পরে নায়ক পদে পদোন্নিত হয়।

আর ৬ বছর হলে যথাযথ পরীক্ষা ও যোগ্যতার সাপেক্ষে এএসআই পদে প্রমোশন পেতে পারে। তবে অফিসার হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইন বিষয়ে দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করা হয়ে থাকে।

সাধারণভাবে কনস্টেবল পদ থেকে ইন্সপেক্টর বা ওসি হওয়া গেলেও বিশেষ ক্ষেত্রে এএসপি অর্থাৎ সহকারী পুলিশ সুপার পদেও প্রমোশন পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সাধারণত যারা খুবই চৌকস, দক্ষ এবং মেধাবী তারাই এই পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকে।

কিভাবে কনস্টেবল পদে যোগদান করবেন

প্রতিবছরই লোকবল নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যথাযথ যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেই সাথে টেলিটক সিমের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। কনস্টেবল এর বেতন কত সেটি আপনি বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ পাবেন।

অন্যান্য অতিথি সুযোগ-সুবিধা

অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পুলিশ বাহিনীতেও পেনশন সুবিধা, জাতিসংঘম মিশনে অংশগ্রহণ করে আর্থিক সচ্ছলতা আনয়নের সুবিধা ইত্যাদি রয়েছে। এমনকি শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে বিভিন্ন জেলায় এবং ইউনিটে যোগদান করার নিয়ম আছে। আবার স্পেশাল কিছু ইউনিট আছে যেগুলোতে ডিউটি করলে বাড়তি ভাতা পাওয়া যায়।

কনস্টেবল পদে নিয়োগের অন্যান্য সাধারণ শর্ত

• যদি কোন প্রার্থী চাকরিতে যোগদানের জন্য কোন মিথ্যা তথ্য অথবা প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাহলে পরবর্তীতে বরখাস্ত সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

• যারা বিভিন্ন কোটায় আবেদন করে থাকেন তাদেরকে যথাযথ সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।

• বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তাদেরকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ শেষ করার আগ পর্যন্ত অবিবাহিত থাকতে হবে।

• যদি কোন প্রার্থী ইতিমধ্যে সরকারি চাকুরী হতে বরখাস্ত হয়ে থাকেন অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকে তাহলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কনস্টেবলরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি এবং সময় তারা খুবই দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

শুধুমাত্র পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন কত সেটি মুখ্য বিষয় নয় বরং এর মাধ্যমে জনগণের সরাসরি সেবা প্রদান করার যায়। তাইতো প্রতিবছরই অসংখ্য তরুণ তরুণী এই পদে যোগদানের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।

গরুর মাংস এবং আলু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৬০ টাকায় শুধুমাত্র স্বপ্নতে। পুরো খবর জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ কনস্টেবলের বেতন কত এবং সুযোগ-সুবিধা কি কি

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে পুলিশ কনস্টেবলের বেতন কত এবং অন্যান্য কি কি সুবিধা প্রদান করা হয় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো। সরকারি এই চাকরিতে সবাই যোগদান করতে পারে না। নির্ধারিত শিক্ষাগত, শারীরিক ইত্যাদি যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই নিয়োগ পাওয়া যায়। তরুণ সমাজের কাছে এই পেশাটি খুবই জনপ্রিয়।

তবে চাকরিতে যোগদান করার পর একজন পুলিশ কনস্টেবল কত টাকা বেতন পেয়ে থাকেন সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। তাই চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

পুলিশ কনস্টেবল মাসে কত টাকা বেতন পেয়ে থাকে (Police Constable Salary)

সাফল্যের সহিত ১ বছর প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগদান করলে বেতন ভাতা প্রদান করা হবে ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ২০১৫ সালের জাতীয় স্কেল অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে এই বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই পদে ৩ বছর চাকরি করলে নায়েক পদে প্রমোশন পাওয়া যায়। তবে তবে মূল বেতনের সাথে আরো রয়েছে চিকিৎসা ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, টিফিন ভাতা এবং বিবাহিতদের ক্ষেত্রে মূল বেতনের ৪০% ভাতা। এগুলো ছাড়াও বাৎসরিক বোনাস ও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা কি কি

বাংলাদেশ পুলিশর কনস্টেবল পদে আবেদন করার জন্য অবশ্যই এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। তবে তালাক বা ডিভোর্স গ্রহণযোগ্য নয়।

উপরোক্ত যোগ্যতা গুলি ছাড়াও শারীরিক যোগ্যতাও রয়েছে। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হবে সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজনও থাকতে হবে।

পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রমোশন পেয়ে কি হওয়া যায়?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কনস্টেবল পদে যোগদান করে সর্বোচ্চ ইন্সপেক্টর অথবা ওসি পদে প্রমোশন পেতে পারেন। একজন কনস্টেবল সফলতার সহিত ৩ বছর চাকরি করার পরে নায়ক পদে পদোন্নিত হয়।

আর ৬ বছর হলে যথাযথ পরীক্ষা ও যোগ্যতার সাপেক্ষে এএসআই পদে প্রমোশন পেতে পারে। তবে অফিসার হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইন বিষয়ে দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করা হয়ে থাকে।

সাধারণভাবে কনস্টেবল পদ থেকে ইন্সপেক্টর বা ওসি হওয়া গেলেও বিশেষ ক্ষেত্রে এএসপি অর্থাৎ সহকারী পুলিশ সুপার পদেও প্রমোশন পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সাধারণত যারা খুবই চৌকস, দক্ষ এবং মেধাবী তারাই এই পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকে।

কিভাবে কনস্টেবল পদে যোগদান করবেন

প্রতিবছরই লোকবল নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যথাযথ যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেই সাথে টেলিটক সিমের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। কনস্টেবল এর বেতন কত সেটি আপনি বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ পাবেন।

অন্যান্য অতিথি সুযোগ-সুবিধা

অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পুলিশ বাহিনীতেও পেনশন সুবিধা, জাতিসংঘম মিশনে অংশগ্রহণ করে আর্থিক সচ্ছলতা আনয়নের সুবিধা ইত্যাদি রয়েছে। এমনকি শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে বিভিন্ন জেলায় এবং ইউনিটে যোগদান করার নিয়ম আছে। আবার স্পেশাল কিছু ইউনিট আছে যেগুলোতে ডিউটি করলে বাড়তি ভাতা পাওয়া যায়।

কনস্টেবল পদে নিয়োগের অন্যান্য সাধারণ শর্ত

• যদি কোন প্রার্থী চাকরিতে যোগদানের জন্য কোন মিথ্যা তথ্য অথবা প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাহলে পরবর্তীতে বরখাস্ত সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

• যারা বিভিন্ন কোটায় আবেদন করে থাকেন তাদেরকে যথাযথ সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।

• বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তাদেরকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ শেষ করার আগ পর্যন্ত অবিবাহিত থাকতে হবে।

• যদি কোন প্রার্থী ইতিমধ্যে সরকারি চাকুরী হতে বরখাস্ত হয়ে থাকেন অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকে তাহলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কনস্টেবলরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি এবং সময় তারা খুবই দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

শুধুমাত্র পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন কত সেটি মুখ্য বিষয় নয় বরং এর মাধ্যমে জনগণের সরাসরি সেবা প্রদান করার যায়। তাইতো প্রতিবছরই অসংখ্য তরুণ তরুণী এই পদে যোগদানের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।

গরুর মাংস এবং আলু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৬০ টাকায় শুধুমাত্র স্বপ্নতে। পুরো খবর জানতে এখানে প্রবেশ করুন।