ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বই বাতিল

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবেন। সেই বই গুলো হবে ২০২২ সালের কালিকুলামের আলোকে। তবে কিছুটা সংশোধন এবং পরিমার্জনও থাকবে।

মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর বইতেও আনা হয়েছে কিছু পরিবর্তন। মূলত প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে যুক্ত করা হয়েছে প্রশ্ন এবং অনুশীলনী। তবে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর বইগুলো যেহেতু এখন পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়নি কিংবা নতুন কারিকুলামে যায়নি তাই এগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত সরকার ২০২২ সাল থেকে সকল শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম পর্যায়ক্রমে চালু করার কাজ শুরু করে। যার আলোকে ইতিমধ্য কয়েকটি শ্রেণীতে পরিবর্তিত হয়েছে পরীক্ষা এবং পাঠ পদ্ধতি। সর্বপ্রথম ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে নবম এবং দশম শ্রেণীতে বিভাগ বিভাজন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয় এবং পাঠক্রমেও আনা হয় বেশ কিছু সংযোজন। তারপরে ধীরে ধীরে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বেশ কিছু পরিমার্জন করা হয়।

বিগত ৫ এ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এসরকার আসার পর থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের সংস্কারের। যারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষনা

সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের নতুন বই হাতে দেওয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যম শুরু করেছে এনসিটিবি। আগে যাদেরকে বই ছাপার টেন্ডার দেয়া হতো সেগুলোতেও করা হচ্ছে নানা ধরনের পরিবর্তন। এমনকি দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে গত শুক্রবারও অফিস করেছেন এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

কারণ নতুন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এনসিটিবি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বই বাতিল করার ব্যাপারে এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিকদের কে জানান, আগের সংস্করণ গুলোতে রয়েছে অসংখ্য ভুল। তথ্য এবং বানান গুলোতেও নানা ধরনের ভুল রয়েছে। এমনকি সেগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠের উপযোগী ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা করছেন খুব দ্রুত এই বইয়ের সফট কপি তারা প্রেসে পাঠাতে পারবেন। তার লক্ষ্যে নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ রবিবার প্রাইমারি পর্যায়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর বই প্রিন্টিং এর জন্য পাঠানো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি আগামী ১/২ দিনের ভিতরে তৃতীয় শ্রেণীর বইয়ের কপিও প্রদান করা হবে।

এর আগে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক বই গুলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তার মধ্যেও কিছু কিছু পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম এবং অভিভাবকদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনাও তৈরি হয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। সেই সাথে এসএসসি বা পাবলিক পরীক্ষায়ও নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছিল।

কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর নানা সংস্কারের মধ্য ঘোষণা আসলো মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিলের।

গার্মেন্টস জিএম পদে বেতন কত এবং কি কি যোগ্যতা লাগে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষনা

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবেন। সেই বই গুলো হবে ২০২২ সালের কালিকুলামের আলোকে। তবে কিছুটা সংশোধন এবং পরিমার্জনও থাকবে।

মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর বইতেও আনা হয়েছে কিছু পরিবর্তন। মূলত প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে যুক্ত করা হয়েছে প্রশ্ন এবং অনুশীলনী। তবে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর বইগুলো যেহেতু এখন পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়নি কিংবা নতুন কারিকুলামে যায়নি তাই এগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত সরকার ২০২২ সাল থেকে সকল শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম পর্যায়ক্রমে চালু করার কাজ শুরু করে। যার আলোকে ইতিমধ্য কয়েকটি শ্রেণীতে পরিবর্তিত হয়েছে পরীক্ষা এবং পাঠ পদ্ধতি। সর্বপ্রথম ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে নবম এবং দশম শ্রেণীতে বিভাগ বিভাজন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয় এবং পাঠক্রমেও আনা হয় বেশ কিছু সংযোজন। তারপরে ধীরে ধীরে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বেশ কিছু পরিমার্জন করা হয়।

বিগত ৫ এ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এসরকার আসার পর থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের সংস্কারের। যারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিল ঘোষনা

সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের নতুন বই হাতে দেওয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যম শুরু করেছে এনসিটিবি। আগে যাদেরকে বই ছাপার টেন্ডার দেয়া হতো সেগুলোতেও করা হচ্ছে নানা ধরনের পরিবর্তন। এমনকি দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে গত শুক্রবারও অফিস করেছেন এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

কারণ নতুন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এনসিটিবি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বই বাতিল করার ব্যাপারে এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিকদের কে জানান, আগের সংস্করণ গুলোতে রয়েছে অসংখ্য ভুল। তথ্য এবং বানান গুলোতেও নানা ধরনের ভুল রয়েছে। এমনকি সেগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠের উপযোগী ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা করছেন খুব দ্রুত এই বইয়ের সফট কপি তারা প্রেসে পাঠাতে পারবেন। তার লক্ষ্যে নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ রবিবার প্রাইমারি পর্যায়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর বই প্রিন্টিং এর জন্য পাঠানো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি আগামী ১/২ দিনের ভিতরে তৃতীয় শ্রেণীর বইয়ের কপিও প্রদান করা হবে।

এর আগে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক বই গুলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তার মধ্যেও কিছু কিছু পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম এবং অভিভাবকদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনাও তৈরি হয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। সেই সাথে এসএসসি বা পাবলিক পরীক্ষায়ও নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছিল।

কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর নানা সংস্কারের মধ্য ঘোষণা আসলো মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বই বাতিলের।

গার্মেন্টস জিএম পদে বেতন কত এবং কি কি যোগ্যতা লাগে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।