ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশেপাশের শব্দদূষণে আপনার যে ক্ষতি হচ্ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

শব্দদূষণের প্রভাব

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এই শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা শব্দদূষণের প্রভাব এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। গ্রাম এলাকার চাইতে শহরের মানুষ এই সমস্যাটির সবচাইতে বেশি ভুক্তভোগী। কারণ সেখানে প্রতিনিয়ত এই বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদির প্রচুর সাউন্ড কানে আসে।

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক সিস্টেম, মাইকিং, বাজি ফোটানো ইত্যাদি। এ সকল শব্দদূষণের কারণে আমাদের নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন রয়েছে।

আমাদের দেহে শব্দদূষণের প্রভাব

আমরা অনেকেই আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যার কারণ খুঁজে পাই না। সারাদিন অফিস করেছেন কিংবা কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন, বাসায় এসে শুরু হয়েছে মাথা ব্যথা। অথচ আপনি সেরকম কিছু করেননি না অথবা শারীরিক রোগ নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, সারাদিনে আপনার কানে যে অতিরিক্ত শব্দ প্রকাশ করেছে সেগুলোর কারণেই মাথাব্যথা হচ্ছে।। চলুন এরকম আরো কিছু প্রভাব জেনে নেই।

শুনতে সমস্যা হওয়া

মানুষের পাঁচ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্রবণ শক্তি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যদি কোন কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে জীবনে চলাফেরা অনেকটাই মুশকিল হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত উচ্চ শব্দে গান শোনা কিংবা অতিরিক্ত সাউন্ডের মধ্যে থাকলে আস্তে আস্তে শ্রবণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। গবেষকদের মতে ৮৫ ডেসিবেলের অতিরিক্ত শব্দকে সাধারণত ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়।

কান ঝালাপালা করা

শহরের লোকজন প্রতিনিয়ত এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এবং আমরা মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশ করে থাকি। কারণ বিভিন্ন ধরনের হাবিজাবি শব্দ আমাদের কানের ভেতরটাকে আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে।

বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের কানের ভিতরে প্রায় ১৬ হাজার কোষ আছে। এই কোষ গুলো যে কোন শব্দ তরঙ্গ কে মস্তিষ্কে শোনার অনুভুতি যোগায়। প্রতিনিয়তা অতিরিক্ত শব্দের কারণে কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের প্রভাব গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।

রাতের বেলা ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া

সারাদিন যদি আপনি অতিরিক্ত সাউন্ডে কাজ করেন তাহলে রাতের বেলা ঘুমাতে বেশ সমস্যা হয়। এমনকি ঘুমের সময় যদি আশেপাশে আওয়াজ হয় তাহলে তো সেটি অনেক বড় বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি আস্তে আস্তে মনের অস্থিরতা বাড়তে থাকে এবং রক্তচাপের উপর প্রভাব পড়ে।

শব্দদূষণের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়

আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তার মধ্য কানের সাথে মস্তিষ্কের সাথে রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণার মতে, কানে জোরে আঘাত পেলে কিংবা অত্যাধিক শব্দের কারণে কমে যেতে পারে আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা। এমনকি জরিপে দেখা গিয়েছে যে সকল লোকজন কোলাহলপূর্ণ জায়গায় বসবাস করে তাদের চাইতে নিরিবিলি স্থানে বসবাস করা মানুষদের জ্ঞানীয় শক্তি অনেক বেশি থাকে।

শব্দদূষণের প্রভাবে আচরণগত পরিবর্তন হওয়া

মানুষ তখনই বেশি রেগে যায় যখন কোন কিছুর উপর বিরক্ত হয়। একটানা এবং বিরক্তিকর শব্দ একজন মানুষের মেজাজকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য দায়ী। এমনকি মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়ার কারণে অযথা অনেকেই খারাপ আচরণ করে থাকে।

সন্তান জন্মদানে সমস্যা

এটি শুনতে অনেকটা অবাক লাগলেও অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে প্রজননের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারী এবং পুরুষদের ক্ষেত্রেই এটি বড় আকারের বাধা। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা যদি অতিরিক্ত শব্দ বা সাউন্ডের মধ্যে থাকেন তাহলে তাদের গর্ভের সন্তানের ওজনও আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই আপনার পরিবারের সদস্যদের এ থেকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন।

শব্দদূষণ প্রতিকারের করণীয়

বাসার ভেতরের পরিবেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাড়ির পরিবেশকে আমরা ইচ্ছে মত চালাতে পারি না। তারপরেও এমন কিছু সতর্কতা এবং সচেতনতা রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে অনেকটাই ভালো থাকতে পারবেন। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। উচ্চস্বরে হেডফোনে গান শোনা থেকে বিরত থাকুন। দীর্ঘদিন যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে একসময় আপনার শ্রবণশক্তি অবশ্যই হ্রাস পাবে।

২। শব্দ দূষণ প্রতিকারের উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এয়ার প্লাগ ব্যবহার করা। এম এটি বাইরের অতিরিক্ত আজ থেকে আপনার কানকে রক্ষা করে। যাদের নিয়মিত বাইরে কাজ করতে হয় কিংবা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় থাকতে হয় তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য।

৩। এমন জায়গায় বাসা নেওয়ার চেষ্টা করুন যেখানে অতিরিক্ত কোন সাউন্ড আসে না। যদিও শহর এলাকা গুলোতে এরকম স্থান পাওয়া মুশকিল তবেও শহর থেকে একটু দূরে নিরিবিলি স্থানে বাসায় নেই। এতে করে ছুটি এবং রাতের বেলায় অন্তত শান্তি মতন ঘুমাতে পারবেন।

৪। আবার আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে স্টেডিয়ামে গিয়ে হইচই করা, গান শোনা ইত্যাদি। বিনোদনের তো অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে সেটা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়।

৫। শব্দ দূষণ প্রতিকারের জন্য বাসায় বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড প্রুফ ফোম ব্যবহার করতে পারেন। ই-কমার্স সাইট গুলোতে এমন কিছু কম পাবেন যেগুলো জানালা কিংবা দরজায় লাগালে বাইরের শব্দ গুলি ঘরে একদমই প্রবেশ করতে পারবে না।

আমাদের শেষ কথা

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, যদি একবার বধির হয়ে যান তাহলে আর কখনোই ঠিক মতো শুনতে পারবেন না। তাই শব্দদূষণের প্রভাব সম্পর্কে জানুন এবং এর প্রতিকার করার চেষ্টা করুন। গান শুনতে ইচ্ছে হলে খুবই অল্প শব্দে সেটি বাজান। সেই সাথে চেষ্টা করুন আপনার বিনোদন যেন অন্য কারো বিরক্তির কারণ না হয়।

আপনার বাসার জন্য কোন টিভি সবচাইতে ভালো হবে? খুঁটিনাটি জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আশেপাশের শব্দদূষণে আপনার যে ক্ষতি হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

এই শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা শব্দদূষণের প্রভাব এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। গ্রাম এলাকার চাইতে শহরের মানুষ এই সমস্যাটির সবচাইতে বেশি ভুক্তভোগী। কারণ সেখানে প্রতিনিয়ত এই বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদির প্রচুর সাউন্ড কানে আসে।

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক সিস্টেম, মাইকিং, বাজি ফোটানো ইত্যাদি। এ সকল শব্দদূষণের কারণে আমাদের নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন রয়েছে।

আমাদের দেহে শব্দদূষণের প্রভাব

আমরা অনেকেই আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যার কারণ খুঁজে পাই না। সারাদিন অফিস করেছেন কিংবা কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন, বাসায় এসে শুরু হয়েছে মাথা ব্যথা। অথচ আপনি সেরকম কিছু করেননি না অথবা শারীরিক রোগ নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, সারাদিনে আপনার কানে যে অতিরিক্ত শব্দ প্রকাশ করেছে সেগুলোর কারণেই মাথাব্যথা হচ্ছে।। চলুন এরকম আরো কিছু প্রভাব জেনে নেই।

শুনতে সমস্যা হওয়া

মানুষের পাঁচ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্রবণ শক্তি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যদি কোন কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে জীবনে চলাফেরা অনেকটাই মুশকিল হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত উচ্চ শব্দে গান শোনা কিংবা অতিরিক্ত সাউন্ডের মধ্যে থাকলে আস্তে আস্তে শ্রবণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। গবেষকদের মতে ৮৫ ডেসিবেলের অতিরিক্ত শব্দকে সাধারণত ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়।

কান ঝালাপালা করা

শহরের লোকজন প্রতিনিয়ত এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এবং আমরা মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশ করে থাকি। কারণ বিভিন্ন ধরনের হাবিজাবি শব্দ আমাদের কানের ভেতরটাকে আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে।

বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের কানের ভিতরে প্রায় ১৬ হাজার কোষ আছে। এই কোষ গুলো যে কোন শব্দ তরঙ্গ কে মস্তিষ্কে শোনার অনুভুতি যোগায়। প্রতিনিয়তা অতিরিক্ত শব্দের কারণে কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের প্রভাব গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।

রাতের বেলা ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া

সারাদিন যদি আপনি অতিরিক্ত সাউন্ডে কাজ করেন তাহলে রাতের বেলা ঘুমাতে বেশ সমস্যা হয়। এমনকি ঘুমের সময় যদি আশেপাশে আওয়াজ হয় তাহলে তো সেটি অনেক বড় বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি আস্তে আস্তে মনের অস্থিরতা বাড়তে থাকে এবং রক্তচাপের উপর প্রভাব পড়ে।

শব্দদূষণের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়

আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তার মধ্য কানের সাথে মস্তিষ্কের সাথে রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণার মতে, কানে জোরে আঘাত পেলে কিংবা অত্যাধিক শব্দের কারণে কমে যেতে পারে আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা। এমনকি জরিপে দেখা গিয়েছে যে সকল লোকজন কোলাহলপূর্ণ জায়গায় বসবাস করে তাদের চাইতে নিরিবিলি স্থানে বসবাস করা মানুষদের জ্ঞানীয় শক্তি অনেক বেশি থাকে।

শব্দদূষণের প্রভাবে আচরণগত পরিবর্তন হওয়া

মানুষ তখনই বেশি রেগে যায় যখন কোন কিছুর উপর বিরক্ত হয়। একটানা এবং বিরক্তিকর শব্দ একজন মানুষের মেজাজকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য দায়ী। এমনকি মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়ার কারণে অযথা অনেকেই খারাপ আচরণ করে থাকে।

সন্তান জন্মদানে সমস্যা

এটি শুনতে অনেকটা অবাক লাগলেও অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে প্রজননের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারী এবং পুরুষদের ক্ষেত্রেই এটি বড় আকারের বাধা। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা যদি অতিরিক্ত শব্দ বা সাউন্ডের মধ্যে থাকেন তাহলে তাদের গর্ভের সন্তানের ওজনও আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই আপনার পরিবারের সদস্যদের এ থেকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন।

শব্দদূষণ প্রতিকারের করণীয়

বাসার ভেতরের পরিবেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাড়ির পরিবেশকে আমরা ইচ্ছে মত চালাতে পারি না। তারপরেও এমন কিছু সতর্কতা এবং সচেতনতা রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে অনেকটাই ভালো থাকতে পারবেন। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। উচ্চস্বরে হেডফোনে গান শোনা থেকে বিরত থাকুন। দীর্ঘদিন যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে একসময় আপনার শ্রবণশক্তি অবশ্যই হ্রাস পাবে।

২। শব্দ দূষণ প্রতিকারের উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এয়ার প্লাগ ব্যবহার করা। এম এটি বাইরের অতিরিক্ত আজ থেকে আপনার কানকে রক্ষা করে। যাদের নিয়মিত বাইরে কাজ করতে হয় কিংবা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় থাকতে হয় তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য।

৩। এমন জায়গায় বাসা নেওয়ার চেষ্টা করুন যেখানে অতিরিক্ত কোন সাউন্ড আসে না। যদিও শহর এলাকা গুলোতে এরকম স্থান পাওয়া মুশকিল তবেও শহর থেকে একটু দূরে নিরিবিলি স্থানে বাসায় নেই। এতে করে ছুটি এবং রাতের বেলায় অন্তত শান্তি মতন ঘুমাতে পারবেন।

৪। আবার আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে স্টেডিয়ামে গিয়ে হইচই করা, গান শোনা ইত্যাদি। বিনোদনের তো অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে সেটা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়।

৫। শব্দ দূষণ প্রতিকারের জন্য বাসায় বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড প্রুফ ফোম ব্যবহার করতে পারেন। ই-কমার্স সাইট গুলোতে এমন কিছু কম পাবেন যেগুলো জানালা কিংবা দরজায় লাগালে বাইরের শব্দ গুলি ঘরে একদমই প্রবেশ করতে পারবে না।

আমাদের শেষ কথা

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, যদি একবার বধির হয়ে যান তাহলে আর কখনোই ঠিক মতো শুনতে পারবেন না। তাই শব্দদূষণের প্রভাব সম্পর্কে জানুন এবং এর প্রতিকার করার চেষ্টা করুন। গান শুনতে ইচ্ছে হলে খুবই অল্প শব্দে সেটি বাজান। সেই সাথে চেষ্টা করুন আপনার বিনোদন যেন অন্য কারো বিরক্তির কারণ না হয়।

আপনার বাসার জন্য কোন টিভি সবচাইতে ভালো হবে? খুঁটিনাটি জানতে এখানে প্রবেশ করুন।