ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত ২০২৪ | ট্যাক্স টোকেন খরচ কত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

রেজিস্ট্রেশন ফি কত ২০২৪

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমানে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হতে পারে? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আমি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রদান করব। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন সিসির দেশী বিদেশি মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে। আপনি হয়তোবা ইতিমধ্যেও পছন্দের মোটরসাইকেল ক্রয় করেছেন কিংবা সামনে ক্রয় করবেন।

আর প্রিয় বাইকটি স্বাধীনভাবে চালানোর জন্য আপনার অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যার জন্য এই বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এসকল বিষয়াদি জানা অত্যন্ত জরুরী।

প্রত্যেকটা ছেলেরই স্বপ্ন থাকে একটি বাইক কেনার। আধুনিক যুগের মেয়েদেরও বাইক অত্যন্ত অপছন্দ। কিন্তু সেটা কিনা শুধুমাত্র স্বপ্ন পূরণ করলেই হয় না। প্রিয় গাড়িটিকে নিয়ে রাস্তাঘাট এবং সারা দেশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রয়োজন বৈধ এবং আপডেট কাগজপত্র। চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

আমরা অনেকেই জানি যে ১০ বছরের জন্য মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ হাজার ৯৬৪ টাকা। কিন্তু আপনি জানেন কি এই টাকা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? কিংবা আপনার এই টাকা থেকে কোন খাতে কি পরিমান ব্যয় হলো সেটির চলুন জেনে নেই।

আপনি যখন মোটরসাইকেল কিনবেন তখন সেটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। একটি গাড়ির জন্য একবারই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। যদিও এর আগে এই ফি এর পরিমান অনেক বেশি ছিল কিন্তু বর্তমানে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র ২ বছরের জন্যই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল ১১,৭৬৪ টাকা। রেজিস্ট্রেশন করার পাশাপাশি বাইকটিকে নিয়ে রাস্তায় চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ট্যাক্স টোকেন করতে হবে।

আপনি চাইলে পছন্দের গাড়ির জন্য ২ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেন করতে পারেন। আপনার গাড়ির ওজন যদি ৯০ কেজির কম হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের ট্যাক্স টোকেনের জন্য খরচ হবে ১১৫০ টাকা। আর যদি আপনার বাইকের ওজন ৯০ কেজির বেশি হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের জন্য ট্যাক্স টোকেনের খরচ হবে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। আর আপনি যদি ১০ বছরের জন্য একটি ট্যাক্স টোকেন রেজিস্ট্রেশন করেন তাহলে আপনি আজীবনের জন্য ট্যাক্স রিসিট পেয়ে যাবেন।

বাইক রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা অনেকেই হয়তো বা জানেন না যে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। আপনাদের জানার এবং বুঝার সুবিধার্থে আমি একটি তালিকা তৈরি করেছি। কাগজপত্র গুলো আগে থেকে রেডি করে রাখুন। তাহলে পরে ঝামেলা কম হবে।

• গাড়ির মালিক এবং আমদানিকারক অথবা ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণকৃত স্বাক্ষর সক নির্ধারিত আবেদন পত্র।

• আপনি যেই শোরুম অথবা ডিলার হতে মোটরসাইকেল কিনবেন সেই টাকা পরিশোধের মানি রিসিপ্ট এবং ডেলিভারির একটি চালান কাগজ।

• শোরুম বা ডিলার কর্তৃক প্রদত্ত বাইকের আমদানির সকল ধরনের কাগজপত্র।

Bike registration fee | motorcycle registration fee

• ডিলার বা শোরুম কর্তৃক মোটরসাইকেলের ব্যাটারি চালান কপি।

• যে কর্তৃপক্ষ গাড়িটি আমদানি করেছেন তার ভ্যাট এবং ট্যাক্স পরিষদের সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি চালান কপি। অর্থাৎ গাড়িটির সঠিকভাবে ভ্যাট দিয়ে আমদানি করা হয়েছে কিনা।

• কাস্টমস কর্তৃক প্রদত্ত শুল্ক রস এবং রেজিস্ট্রেশনের পেমেন্ট রসিদ।

• আপনার ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

• আপনার স্থায়ী ঠিকানার বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিলের কাগজ।

• আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে অবশ্যই লার্নার কপির প্রয়োজন হবে।

বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম

কিছুদিন আগেও বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার জন্য লম্বা একটি লাইনে দাঁড়ানো হত। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। আপনি চাইলে ঘরে বসেই স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করতে পারবেন। এর জন্য আপনি মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে বিএসপি এর পোর্টালে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ কিংবা ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করবেন।

পরবর্তীতে এই টোকেনটি আপনার বাসায় হোম ডেলিভারি করে পাঠানো হবে। তাই বাসার ঠিকানা যেন নির্ভুল হয় সে দেখে লক্ষ্য রাখবেন।

২,০০০ টাকা বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ছাড়াও ৩০০ টাকা ভ্যাট দিয়ে টোটাল ২৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত অনলাইনে টাকা পরিশোধের ৭ দিনের মধ্যেই বাসায় ট্যাক্স টোকেন পৌঁছে দেওয়া হয়।

৮০ থেকে ৮৯ সিসি বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি

যারা অফিসের কাজে কিংবা ছোট বিজনেসের কাজে ৮০ থেকে ৮৯ এর কম সিসি এই মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন তাদের অনেকে মনে করেন রেজিস্ট্রেশন না করলেও হবে। এই ধরনের মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে সাধারণত ২ বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি ৯২৯১ টাকা। ১০ বছরের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ১৩,৮৯১ টাকা।

৯০ সিসিন বেশি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি

আপনার গাড়িটা যদি ৯৯ সিস কিংবা ৯০ সিসির উর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি খরচ হবে ১০ হাজার ৪১ টাকা। আর ১০ বছরের জন্য খরচ হবে ১৯ হাজার ৪৪১ টাকা।

১০০ সিসির উপরে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি

সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ সিসি বাইকের ২ বছরের ট্যাক্স টোকেনসহ রেজিস্ট্রেশন ফি হয় ১১৭৬৪ টাকা। আর ১০ বছরের জন্য এই খরচটি হয় ২০৯৬৪ টাকা। আপনি ইন্টারনেট ঘেটে বিআরটিসি’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলর রেজিস্ট্রেশন ফি দেখতে পারেন।

অন্যান্য সতর্কতা

মোটরসাইকেল আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি বাহন। কারণ এটা দিয়ে খুব সহজেই যানজট কিংবা যেকোনো ধরনের রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়। আমরা যারা গ্রামে কিংবা মফস্বল এলাকায় বসবাস করি তারা অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা।

তাই আপনার আশেপাশের লোকজন আপনাকে এ ব্যাপারে যতই অনুৎসাহিত করুন না কেন আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে বাইকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ফেলুন। কারণ বর্তমান সময়ে খুব সহজে এ ধরনের কাজ গুলো সম্পন্ন করা যায়।

আপনার এখনকার এই অসাবধানতার কারণে ভবিষ্যতে বড় কোন আইনি ঝামেলা কিংবা বড় অর্থদণ্ড মধ্যে পড়তে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে থাকতে হবে। আবার শুধুমাত্র যে বাইকের কাগজপত্র থাকলে হবে বিষয়টি তা নয়। আপনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সও থাকতে হবে।

Bike registration fee | motorcycle registration fee

আপনি যদি সুন্দর ভাবে গাড়ি চালাতে পারেন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া আপনার জন্য খুবই সহজ। অনলাইনে আবেদন করে আপনি খুব সহজে প্রথমে একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারেন।

তারপরে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করে এবং পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া খুবই সহজ। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনাকে গাড়ি চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আগে থেকেই গাড়ি চালানোর প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। আর এর জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদির প্রয়োজন হবে।

আমাদের শেষ কথা

সাধারণত এই সকল কাজকর্ম করতে গিয়ে অনেকে দালালদের খপ্পরে পড়ে। কিন্তু আপনি যদি নিজে জানেন বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত এবং বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তাহলে প্রতারিত হতে হবে না। বর্তমান ইন্টারনেট যুগে আপনি ঘরে বসেই এ ধরনের সকল তথ্য গুলি খুঁজে বের করতে পারবেন। এই ধরনের প্রয়োজনীয় আরো তথ্য এবং টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

পুষ্পা ২ সিনেমাতে ডেভিড ওয়ার্নার অভিনয় করছেন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত ২০২৪ | ট্যাক্স টোকেন খরচ কত

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমানে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হতে পারে? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আমি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রদান করব। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন সিসির দেশী বিদেশি মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে। আপনি হয়তোবা ইতিমধ্যেও পছন্দের মোটরসাইকেল ক্রয় করেছেন কিংবা সামনে ক্রয় করবেন।

আর প্রিয় বাইকটি স্বাধীনভাবে চালানোর জন্য আপনার অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যার জন্য এই বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত? বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এসকল বিষয়াদি জানা অত্যন্ত জরুরী।

প্রত্যেকটা ছেলেরই স্বপ্ন থাকে একটি বাইক কেনার। আধুনিক যুগের মেয়েদেরও বাইক অত্যন্ত অপছন্দ। কিন্তু সেটা কিনা শুধুমাত্র স্বপ্ন পূরণ করলেই হয় না। প্রিয় গাড়িটিকে নিয়ে রাস্তাঘাট এবং সারা দেশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রয়োজন বৈধ এবং আপডেট কাগজপত্র। চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

আমরা অনেকেই জানি যে ১০ বছরের জন্য মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ হাজার ৯৬৪ টাকা। কিন্তু আপনি জানেন কি এই টাকা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? কিংবা আপনার এই টাকা থেকে কোন খাতে কি পরিমান ব্যয় হলো সেটির চলুন জেনে নেই।

আপনি যখন মোটরসাইকেল কিনবেন তখন সেটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। একটি গাড়ির জন্য একবারই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। যদিও এর আগে এই ফি এর পরিমান অনেক বেশি ছিল কিন্তু বর্তমানে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র ২ বছরের জন্যই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল ১১,৭৬৪ টাকা। রেজিস্ট্রেশন করার পাশাপাশি বাইকটিকে নিয়ে রাস্তায় চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ট্যাক্স টোকেন করতে হবে।

আপনি চাইলে পছন্দের গাড়ির জন্য ২ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেন করতে পারেন। আপনার গাড়ির ওজন যদি ৯০ কেজির কম হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের ট্যাক্স টোকেনের জন্য খরচ হবে ১১৫০ টাকা। আর যদি আপনার বাইকের ওজন ৯০ কেজির বেশি হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের জন্য ট্যাক্স টোকেনের খরচ হবে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। আর আপনি যদি ১০ বছরের জন্য একটি ট্যাক্স টোকেন রেজিস্ট্রেশন করেন তাহলে আপনি আজীবনের জন্য ট্যাক্স রিসিট পেয়ে যাবেন।

বাইক রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা অনেকেই হয়তো বা জানেন না যে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। আপনাদের জানার এবং বুঝার সুবিধার্থে আমি একটি তালিকা তৈরি করেছি। কাগজপত্র গুলো আগে থেকে রেডি করে রাখুন। তাহলে পরে ঝামেলা কম হবে।

• গাড়ির মালিক এবং আমদানিকারক অথবা ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণকৃত স্বাক্ষর সক নির্ধারিত আবেদন পত্র।

• আপনি যেই শোরুম অথবা ডিলার হতে মোটরসাইকেল কিনবেন সেই টাকা পরিশোধের মানি রিসিপ্ট এবং ডেলিভারির একটি চালান কাগজ।

• শোরুম বা ডিলার কর্তৃক প্রদত্ত বাইকের আমদানির সকল ধরনের কাগজপত্র।

Bike registration fee | motorcycle registration fee

• ডিলার বা শোরুম কর্তৃক মোটরসাইকেলের ব্যাটারি চালান কপি।

• যে কর্তৃপক্ষ গাড়িটি আমদানি করেছেন তার ভ্যাট এবং ট্যাক্স পরিষদের সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি চালান কপি। অর্থাৎ গাড়িটির সঠিকভাবে ভ্যাট দিয়ে আমদানি করা হয়েছে কিনা।

• কাস্টমস কর্তৃক প্রদত্ত শুল্ক রস এবং রেজিস্ট্রেশনের পেমেন্ট রসিদ।

• আপনার ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

• আপনার স্থায়ী ঠিকানার বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিলের কাগজ।

• আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে অবশ্যই লার্নার কপির প্রয়োজন হবে।

বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম

কিছুদিন আগেও বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার জন্য লম্বা একটি লাইনে দাঁড়ানো হত। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। আপনি চাইলে ঘরে বসেই স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করতে পারবেন। এর জন্য আপনি মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে বিএসপি এর পোর্টালে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ কিংবা ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করবেন।

পরবর্তীতে এই টোকেনটি আপনার বাসায় হোম ডেলিভারি করে পাঠানো হবে। তাই বাসার ঠিকানা যেন নির্ভুল হয় সে দেখে লক্ষ্য রাখবেন।

২,০০০ টাকা বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ছাড়াও ৩০০ টাকা ভ্যাট দিয়ে টোটাল ২৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত অনলাইনে টাকা পরিশোধের ৭ দিনের মধ্যেই বাসায় ট্যাক্স টোকেন পৌঁছে দেওয়া হয়।

৮০ থেকে ৮৯ সিসি বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি

যারা অফিসের কাজে কিংবা ছোট বিজনেসের কাজে ৮০ থেকে ৮৯ এর কম সিসি এই মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন তাদের অনেকে মনে করেন রেজিস্ট্রেশন না করলেও হবে। এই ধরনের মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে সাধারণত ২ বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি ৯২৯১ টাকা। ১০ বছরের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ১৩,৮৯১ টাকা।

৯০ সিসিন বেশি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি

আপনার গাড়িটা যদি ৯৯ সিস কিংবা ৯০ সিসির উর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে ২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি খরচ হবে ১০ হাজার ৪১ টাকা। আর ১০ বছরের জন্য খরচ হবে ১৯ হাজার ৪৪১ টাকা।

১০০ সিসির উপরে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি

সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ সিসি বাইকের ২ বছরের ট্যাক্স টোকেনসহ রেজিস্ট্রেশন ফি হয় ১১৭৬৪ টাকা। আর ১০ বছরের জন্য এই খরচটি হয় ২০৯৬৪ টাকা। আপনি ইন্টারনেট ঘেটে বিআরটিসি’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলর রেজিস্ট্রেশন ফি দেখতে পারেন।

অন্যান্য সতর্কতা

মোটরসাইকেল আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি বাহন। কারণ এটা দিয়ে খুব সহজেই যানজট কিংবা যেকোনো ধরনের রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়। আমরা যারা গ্রামে কিংবা মফস্বল এলাকায় বসবাস করি তারা অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা।

তাই আপনার আশেপাশের লোকজন আপনাকে এ ব্যাপারে যতই অনুৎসাহিত করুন না কেন আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে বাইকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ফেলুন। কারণ বর্তমান সময়ে খুব সহজে এ ধরনের কাজ গুলো সম্পন্ন করা যায়।

আপনার এখনকার এই অসাবধানতার কারণে ভবিষ্যতে বড় কোন আইনি ঝামেলা কিংবা বড় অর্থদণ্ড মধ্যে পড়তে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে থাকতে হবে। আবার শুধুমাত্র যে বাইকের কাগজপত্র থাকলে হবে বিষয়টি তা নয়। আপনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সও থাকতে হবে।

Bike registration fee | motorcycle registration fee

আপনি যদি সুন্দর ভাবে গাড়ি চালাতে পারেন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া আপনার জন্য খুবই সহজ। অনলাইনে আবেদন করে আপনি খুব সহজে প্রথমে একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারেন।

তারপরে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করে এবং পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া খুবই সহজ। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনাকে গাড়ি চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আগে থেকেই গাড়ি চালানোর প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। আর এর জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদির প্রয়োজন হবে।

আমাদের শেষ কথা

সাধারণত এই সকল কাজকর্ম করতে গিয়ে অনেকে দালালদের খপ্পরে পড়ে। কিন্তু আপনি যদি নিজে জানেন বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত এবং বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তাহলে প্রতারিত হতে হবে না। বর্তমান ইন্টারনেট যুগে আপনি ঘরে বসেই এ ধরনের সকল তথ্য গুলি খুঁজে বের করতে পারবেন। এই ধরনের প্রয়োজনীয় আরো তথ্য এবং টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

পুষ্পা ২ সিনেমাতে ডেভিড ওয়ার্নার অভিনয় করছেন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।