ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবদান এবং ব্যবহার গুলো কি কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিনিয়তই আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন নানা জিনিস। এতে করে মানুষের জীবন যাপন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি এগিয়ে গিয়েছে সভ্যতা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমি আলোচনা করব শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিয়ে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন পরীক্ষায় আইসিটি বিষয়ে এই প্রশ্নটি মাঝে মাঝে এসে থাকে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলো

১। অনলাইন ক্লাস

আমরা করোনাকালীন সময় থেকে দেখেছি স্বশরীরে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াতে পারার কারণে অনলাইনে ক্লাস গুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম একটি অবদান বলতে পারেন। এমনকি আপনি বাসায় বসে সারা পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

২। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন স্কুল

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহারের মধ্যে এটি অন্যতম। বাংলাদেশের অনেক প্রত্যন্ত এলাকা আছে যেখানে যথেষ্ট টিউশন সুবিধা নেই। কিন্তু বর্তমানে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে পারবেন। এতে করে মানুষ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সকল কিছু আয়ত্ত করতে পারছে।

৩। বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ

লেখাপড়ার যে কোন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন পড়ে। আগেকার দিনে এর জন্য পেপার পত্রিকা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হত। কিন্তু এখন আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে যেকোনো ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবদান গুলোর মধ্যে এটিও অনেক উল্লেখযোগ্য।

৪। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরন

আমরা ছোটবেলায় স্কুলে ক্লাসের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ছবি টানিয়ে রাখতে দেখেছি। বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেয়ার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানের অ্যানিমেশন প্রযুক্তির কারণে এগুলো আরো অনেক বেশি সহজবোধ্য হয়ে উঠেছে। যাতে লেখাপড়া হয়ে উঠেছে অনেক আনন্দময়।

৫। একে অপরের সহযোগিতা বৃদ্ধি

স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষক কিংবা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে। আগেকার দিনে এটি করা বেশ কঠিন ছিল। কারণ তখন মোবাইল কিনবা ইন্টারনেট ছিল না যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা করার সুযোগ পায়। এটিও তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহারের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৬। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অবদান

স্কুলের টিচারদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, রিসোর্স ইত্যাদি প্রদান সহজ হয়েছে শুধুমাত্র এই তথ্য প্রযুক্তির অবদানের জন্য।

৭। বিভিন্ন ধরনের ই-বুক

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে ইন্টারনেট হতে ই-বুক পড়তে পারে। এমনকি বাংলাদেশের সকল বোর্ড বইগুলোর ই-বুক একদম বিনামূল্যে পড়া যায়।

৮। বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়ন পরীক্ষা

পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বারবার টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে প্রয়োজন অ্যাসাইনমেন্ট। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ঘরে বসেই এ ধরনের টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং এসাইনমেন্টও সম্পন্ন করা যায়।

৯। বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান

পরীক্ষা, রেজাল্ট ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্যগুলি এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। অনলাইনে রেজাল্ট দেখা, পরীক্ষার রুটিন দেখা ইত্যাদি খবর যেন মুহূর্তের সবাই জানতে পারে।

১০। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ

শুধুমাত্র দেশেই নয় বরং পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসেই সারা বিশ্বের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে করে পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই সম্পর্কে জানা যায়। একটা সময় আমার শুধুমাত্র আশেপাশের পরিবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতাম কিন্তু এখন পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কারো সাথেই প্রতিযোগিতা করা যায়।

আমাদের শেষ কথা

উপরোক্ত সুবিধা গুলো ছাড়াও এর আরো নানারকম ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইতিমধ্য ইন্টারনেট সংযোগ, ল্যাপটপ ইত্যাদি উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেক বেশি জানতে পারছে। অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার এছাড়াও আরো নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

অনার্স পাশে ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। আবেদন করতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবদান এবং ব্যবহার গুলো কি কি

আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিনিয়তই আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন নানা জিনিস। এতে করে মানুষের জীবন যাপন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি এগিয়ে গিয়েছে সভ্যতা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমি আলোচনা করব শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিয়ে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন পরীক্ষায় আইসিটি বিষয়ে এই প্রশ্নটি মাঝে মাঝে এসে থাকে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলো

১। অনলাইন ক্লাস

আমরা করোনাকালীন সময় থেকে দেখেছি স্বশরীরে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াতে পারার কারণে অনলাইনে ক্লাস গুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম একটি অবদান বলতে পারেন। এমনকি আপনি বাসায় বসে সারা পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

২। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন স্কুল

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহারের মধ্যে এটি অন্যতম। বাংলাদেশের অনেক প্রত্যন্ত এলাকা আছে যেখানে যথেষ্ট টিউশন সুবিধা নেই। কিন্তু বর্তমানে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে পারবেন। এতে করে মানুষ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সকল কিছু আয়ত্ত করতে পারছে।

৩। বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ

লেখাপড়ার যে কোন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন পড়ে। আগেকার দিনে এর জন্য পেপার পত্রিকা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হত। কিন্তু এখন আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে যেকোনো ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবদান গুলোর মধ্যে এটিও অনেক উল্লেখযোগ্য।

৪। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরন

আমরা ছোটবেলায় স্কুলে ক্লাসের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ছবি টানিয়ে রাখতে দেখেছি। বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেয়ার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানের অ্যানিমেশন প্রযুক্তির কারণে এগুলো আরো অনেক বেশি সহজবোধ্য হয়ে উঠেছে। যাতে লেখাপড়া হয়ে উঠেছে অনেক আনন্দময়।

৫। একে অপরের সহযোগিতা বৃদ্ধি

স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষক কিংবা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে। আগেকার দিনে এটি করা বেশ কঠিন ছিল। কারণ তখন মোবাইল কিনবা ইন্টারনেট ছিল না যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা করার সুযোগ পায়। এটিও তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহারের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৬। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অবদান

স্কুলের টিচারদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, রিসোর্স ইত্যাদি প্রদান সহজ হয়েছে শুধুমাত্র এই তথ্য প্রযুক্তির অবদানের জন্য।

৭। বিভিন্ন ধরনের ই-বুক

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে ইন্টারনেট হতে ই-বুক পড়তে পারে। এমনকি বাংলাদেশের সকল বোর্ড বইগুলোর ই-বুক একদম বিনামূল্যে পড়া যায়।

৮। বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়ন পরীক্ষা

পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বারবার টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে প্রয়োজন অ্যাসাইনমেন্ট। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ঘরে বসেই এ ধরনের টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং এসাইনমেন্টও সম্পন্ন করা যায়।

৯। বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান

পরীক্ষা, রেজাল্ট ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্যগুলি এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। অনলাইনে রেজাল্ট দেখা, পরীক্ষার রুটিন দেখা ইত্যাদি খবর যেন মুহূর্তের সবাই জানতে পারে।

১০। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ

শুধুমাত্র দেশেই নয় বরং পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসেই সারা বিশ্বের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে করে পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই সম্পর্কে জানা যায়। একটা সময় আমার শুধুমাত্র আশেপাশের পরিবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতাম কিন্তু এখন পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কারো সাথেই প্রতিযোগিতা করা যায়।

আমাদের শেষ কথা

উপরোক্ত সুবিধা গুলো ছাড়াও এর আরো নানারকম ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইতিমধ্য ইন্টারনেট সংযোগ, ল্যাপটপ ইত্যাদি উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেক বেশি জানতে পারছে। অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার এছাড়াও আরো নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

অনার্স পাশে ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। আবেদন করতে এখানে প্রবেশ করুন।