ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পুলিশে এসআই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন সাবমিট করা যাবে। যোগ্যতা এবং যথাযথ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নারী এবং পুরুষ উভয় প্রার্থীগণই উক্ত পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তীর্ণ হতে হয়। অনেকের কাছে এই ধাপ গুলো অজানা। তাই আপনাদেরকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করব।

সকল প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ শেষে একজন নির্বাচিত প্রার্থীকে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ বা ক্যাডেট এসআই হিসেবে পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ টি মূলত হয়ে থাকে ১ বছর মেয়াদে। সফলভাবে ট্রেনিং শেষ করার পর প্রবেশনারী এসআই হিসেবে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট মেয়াদের শিক্ষানবিশ কাল শেষে স্থায়ীভাবে তাকে নিযুক্ত করা হয়।

পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা কি

পরীক্ষা এবং নিয়োগ ধাপ গুলো জানার আগে আপনাকে যোগ্যতার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। প্রথমত নূন্যতম ডিগ্রী অথবা স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৯ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৭ বছর পর্যন্ত। কম্পিউটারের বেসিক দক্ষতা থাকতে হবে।

জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। এক্ষেত্রে ডিভোর্স গ্রহণযোগ্য নয়।

পুলিশের এসআই হওয়ার শারীরিক যোগ্যতাও রয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। এছাড়াও বুকের মাপ এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন, দৃষ্টি শক্তি ৬/৬ থাকতে হবে।

উপরে সকল যোগ্যতার সাপেক্ষে আপনি পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন।

পুলিশের এসআই হওয়ার প্রস্তুতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া

প্রাথমিক প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

যে সকল প্রার্থীগণ বাংলাদেশ পুলিশে এসআই হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে তাদের পরীক্ষার ফলাফল এবং শারীরিক যোগ্যতার উপরে ভিত্তি করে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং করা হয়। এই পরীক্ষার সময় প্রার্থীর ওজন, শারীরিক সক্ষমতা, কাগজপত্র ইত্যাদি যাচাই করার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশ কেন্দ্রে ডাকা হয়।

শারীরিক বা ফিটনেস পরীক্ষা

প্রাথমিক প্রিলিমিনারি স্ত্রিনিং পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় তাদেরকে পুনরায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। এই পরীক্ষা সাধারণত ৭টি ধাপ রয়েছে। যার প্রথম ধাপে হচ্ছে দৌড়, দ্বিতীয় ধাপে হচ্ছে লং জাম্প, হাই জাম্প, পুশআপ দেওয়া, সিট আপ করা, ড্রাগিং।

সর্বশেষ ধাপে রয়েছে রোপ ক্লাইমিং অথবা দড়ি ধরে উপরের দিকে ওঠার পরীক্ষা। পুলিশের এসআই হতে গেলে অবশ্যই এই পরীক্ষা গুলোতে সফলতার সহিত উত্তীর্ণ হতে হবে।

শিক্ষাগত বা লিখিত এবং মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে লিখিত এবং মানসিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের লিখিত অংশে ইংরেজি, বাংলা ১০০ মার্কের পরীক্ষা হয় এবং সময় থাকে ৩ ঘন্টা।

তারপর সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা হয় যেটির নম্বর বরাদ্দ থাকে ১০০ নম্বর। তারপর ১ ঘন্টা সময়ের ভিতরে ৫০ নম্বরের মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়।

আপনি যদি এই সকল ধাপে উত্তীর্ণ হতে চান তাহলে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিগত সালের প্রশ্ন গুলো ভালোভাবে পড়তে পারেন। এথেকে আপনি বুঝতে পারবেন কোথা থেকে কোশ্চেন করা হয় এবং কি কি পড়তে হবে। আপনি যদি এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারেন তাহলে কখনোই সাব ইন্সপেক্টর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না।

ইংরেজি এবং বাংলার প্রিপারেশন

এই দুই বিষয়ে সাধারণত রচনা শূন্যস্থান পূরণ, বাক্য তৈরি, চিঠি লেখা এবং অনুবাদ এসে থাকে। রচনার উত্তর করার জন্য আপনি সাম্প্রতিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন।

আপনি যদি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন এবং সাম্প্রতিক ঘটনা প্রভাহ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে আশা করা যায় লিখতে পারবেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে আলাদা করে নোট করে সেগুলো পড়ালেখা শুরু করে দিন।

অনুবাদ অংশে ভালো করার জন্য আপনাকে প্রচুর লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে। ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি প্র্যাকটিস করার জন্য দৈনিক পত্রিকা গুলো পড়তে পারেন। তবে ট্রান্সলেশনের ক্ষেত্রে অবশ্যই শব্দের গঠন উন্নত মানের হতে হবে।

বাংলায় বিভিন্ন ব্যাকরণ যেমন কারক, বিভক্তি, বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ ইত্যাদি থেকে অনেক প্রশ্ন এসে থাকেন। আপনি বাজারে বিভিন্ন ধরনের বই পাবেন এগুলো পড়ার জন্য। তবে ব্যাকরণের জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে নবম দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই।

পুলিশের এসআই নিয়োগের সাধারণ জ্ঞান এবং গণিতের অংশের প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট সিলেবাস ধরে পড়তে বেশ অসুবিধা হবে। তাই আপনি পুলিশ নিয়োগের যেকোনো একটি সাধারণ জ্ঞানের বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে নিন।

অন্যান্য বিষয় থেকে এই সাবজেক্টে পড়া বেশ সহজ। বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রার নাম, স্বাধীনতা সম্পর্কিত বিষয়, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রযুক্তি, বিশ্বের নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি গুলো, বিশ্ব অর্থনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে পড়তে পারেন। সাধারণত বিগত সালের সরকারি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলি পড়লেই অনেকটাই কমন পড়ে যায়। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো সম্পর্কেও অবশ্যই জানা রাখবেন।

কম্পিউটার বিষয়ের পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কম্পিউটার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ইংরেজী টাইপিং, ওয়েব ব্রাউজিং ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার টেস্ট নিতে পারে। যদিও আধুনিক যুগে ছেলে মেয়েদের জন্য এগুলো খুবই সহজ বিষয়।

মানসিক দক্ষতা এবং ভাইভা পরীক্ষা

পরবর্তী ধাপে পুলিশে এসআই হওয়ার জন্য আপনাকে মানসিক বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিতে হবে। সাধারণত ৫০ নম্বরের এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেইসাথে রয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। একবার ভাইবা পরীক্ষার সম্পন্ন হয়ে গেলে চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুত করা হয়।

চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

উপরের সবগুলো ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটি সাধারণত নেওয়া হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। এই পরীক্ষার তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। শরীরে দুরারোগ্য দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগ ইত্যাদি থাকলে সাধারণত মেডিকেল টেস্টে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রদান

আপনি যদি পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য উপরের সব গুলো ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ট্রেনিং শেষে চূড়ান্তভাবে আপনাকে শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।। তারপর শিক্ষানবিশ কাল শেষে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টরদের সাধারণত রাজশাহীর সারদাতে পুলিশ একাডেমিতে ১ বছরের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

শাকিব খানের দরদ সিনেমা কবে মুক্তি পাবে, জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি জেনে নিন

আপডেট সময় : ০১:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পুলিশে এসআই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন সাবমিট করা যাবে। যোগ্যতা এবং যথাযথ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নারী এবং পুরুষ উভয় প্রার্থীগণই উক্ত পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তীর্ণ হতে হয়। অনেকের কাছে এই ধাপ গুলো অজানা। তাই আপনাদেরকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করব।

সকল প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ শেষে একজন নির্বাচিত প্রার্থীকে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ বা ক্যাডেট এসআই হিসেবে পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ টি মূলত হয়ে থাকে ১ বছর মেয়াদে। সফলভাবে ট্রেনিং শেষ করার পর প্রবেশনারী এসআই হিসেবে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট মেয়াদের শিক্ষানবিশ কাল শেষে স্থায়ীভাবে তাকে নিযুক্ত করা হয়।

পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা কি

পরীক্ষা এবং নিয়োগ ধাপ গুলো জানার আগে আপনাকে যোগ্যতার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। প্রথমত নূন্যতম ডিগ্রী অথবা স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৯ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৭ বছর পর্যন্ত। কম্পিউটারের বেসিক দক্ষতা থাকতে হবে।

জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। এক্ষেত্রে ডিভোর্স গ্রহণযোগ্য নয়।

পুলিশের এসআই হওয়ার শারীরিক যোগ্যতাও রয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। এছাড়াও বুকের মাপ এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন, দৃষ্টি শক্তি ৬/৬ থাকতে হবে।

উপরে সকল যোগ্যতার সাপেক্ষে আপনি পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন।

পুলিশের এসআই হওয়ার প্রস্তুতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া

প্রাথমিক প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

যে সকল প্রার্থীগণ বাংলাদেশ পুলিশে এসআই হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে তাদের পরীক্ষার ফলাফল এবং শারীরিক যোগ্যতার উপরে ভিত্তি করে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং করা হয়। এই পরীক্ষার সময় প্রার্থীর ওজন, শারীরিক সক্ষমতা, কাগজপত্র ইত্যাদি যাচাই করার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশ কেন্দ্রে ডাকা হয়।

শারীরিক বা ফিটনেস পরীক্ষা

প্রাথমিক প্রিলিমিনারি স্ত্রিনিং পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় তাদেরকে পুনরায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। এই পরীক্ষা সাধারণত ৭টি ধাপ রয়েছে। যার প্রথম ধাপে হচ্ছে দৌড়, দ্বিতীয় ধাপে হচ্ছে লং জাম্প, হাই জাম্প, পুশআপ দেওয়া, সিট আপ করা, ড্রাগিং।

সর্বশেষ ধাপে রয়েছে রোপ ক্লাইমিং অথবা দড়ি ধরে উপরের দিকে ওঠার পরীক্ষা। পুলিশের এসআই হতে গেলে অবশ্যই এই পরীক্ষা গুলোতে সফলতার সহিত উত্তীর্ণ হতে হবে।

শিক্ষাগত বা লিখিত এবং মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে লিখিত এবং মানসিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের লিখিত অংশে ইংরেজি, বাংলা ১০০ মার্কের পরীক্ষা হয় এবং সময় থাকে ৩ ঘন্টা।

তারপর সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা হয় যেটির নম্বর বরাদ্দ থাকে ১০০ নম্বর। তারপর ১ ঘন্টা সময়ের ভিতরে ৫০ নম্বরের মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়।

আপনি যদি এই সকল ধাপে উত্তীর্ণ হতে চান তাহলে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিগত সালের প্রশ্ন গুলো ভালোভাবে পড়তে পারেন। এথেকে আপনি বুঝতে পারবেন কোথা থেকে কোশ্চেন করা হয় এবং কি কি পড়তে হবে। আপনি যদি এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারেন তাহলে কখনোই সাব ইন্সপেক্টর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না।

ইংরেজি এবং বাংলার প্রিপারেশন

এই দুই বিষয়ে সাধারণত রচনা শূন্যস্থান পূরণ, বাক্য তৈরি, চিঠি লেখা এবং অনুবাদ এসে থাকে। রচনার উত্তর করার জন্য আপনি সাম্প্রতিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন।

আপনি যদি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন এবং সাম্প্রতিক ঘটনা প্রভাহ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে আশা করা যায় লিখতে পারবেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে আলাদা করে নোট করে সেগুলো পড়ালেখা শুরু করে দিন।

অনুবাদ অংশে ভালো করার জন্য আপনাকে প্রচুর লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে। ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি প্র্যাকটিস করার জন্য দৈনিক পত্রিকা গুলো পড়তে পারেন। তবে ট্রান্সলেশনের ক্ষেত্রে অবশ্যই শব্দের গঠন উন্নত মানের হতে হবে।

বাংলায় বিভিন্ন ব্যাকরণ যেমন কারক, বিভক্তি, বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ ইত্যাদি থেকে অনেক প্রশ্ন এসে থাকেন। আপনি বাজারে বিভিন্ন ধরনের বই পাবেন এগুলো পড়ার জন্য। তবে ব্যাকরণের জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে নবম দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই।

পুলিশের এসআই নিয়োগের সাধারণ জ্ঞান এবং গণিতের অংশের প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট সিলেবাস ধরে পড়তে বেশ অসুবিধা হবে। তাই আপনি পুলিশ নিয়োগের যেকোনো একটি সাধারণ জ্ঞানের বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে নিন।

অন্যান্য বিষয় থেকে এই সাবজেক্টে পড়া বেশ সহজ। বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রার নাম, স্বাধীনতা সম্পর্কিত বিষয়, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রযুক্তি, বিশ্বের নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি গুলো, বিশ্ব অর্থনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে পড়তে পারেন। সাধারণত বিগত সালের সরকারি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলি পড়লেই অনেকটাই কমন পড়ে যায়। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো সম্পর্কেও অবশ্যই জানা রাখবেন।

কম্পিউটার বিষয়ের পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কম্পিউটার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ইংরেজী টাইপিং, ওয়েব ব্রাউজিং ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার টেস্ট নিতে পারে। যদিও আধুনিক যুগে ছেলে মেয়েদের জন্য এগুলো খুবই সহজ বিষয়।

মানসিক দক্ষতা এবং ভাইভা পরীক্ষা

পরবর্তী ধাপে পুলিশে এসআই হওয়ার জন্য আপনাকে মানসিক বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিতে হবে। সাধারণত ৫০ নম্বরের এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেইসাথে রয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। একবার ভাইবা পরীক্ষার সম্পন্ন হয়ে গেলে চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুত করা হয়।

চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

উপরের সবগুলো ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটি সাধারণত নেওয়া হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। এই পরীক্ষার তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। শরীরে দুরারোগ্য দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগ ইত্যাদি থাকলে সাধারণত মেডিকেল টেস্টে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রদান

আপনি যদি পুলিশের এসআই হওয়ার জন্য উপরের সব গুলো ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ট্রেনিং শেষে চূড়ান্তভাবে আপনাকে শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।। তারপর শিক্ষানবিশ কাল শেষে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টরদের সাধারণত রাজশাহীর সারদাতে পুলিশ একাডেমিতে ১ বছরের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

শাকিব খানের দরদ সিনেমা কবে মুক্তি পাবে, জানতে এখানে প্রবেশ করুন।