ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও কত টাকা খরচ হয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। আর পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটিও জানা আবশ্যক। আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা থাকে তাহলে খুব সহজেই পাসপোর্টের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এছাড়াও আরও কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি প্রয়োজন। সম্পূর্ণ বিষয় গুলি জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আমরা নির্ভুলভাবে একটি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারি না। এখনকার দিনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে (E Passport)

আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড হাতে পাননি তারা অনলাইনের নিবন্ধন সনদটি দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে ই পাসপোর্ট করতে অবশ্যই GO অথবা NO প্রয়োজন হয়। এর সাথেও আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যেমন চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, এমপ্লয়মেন্টের কাগজ ইত্যাদি।

আবার আপনার পাসপোর্টে যদি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে যে কাগজপত্র গুলো রয়েছে সেগুলোতে নিকটস্থ থানায় অবশ্যই জিডি করতে হবে।

আবার পাসপোর্ট করার একটি গুরুত্ব পূর্ণ ধাপ হচ্ছে সরকারি ফি পরিশোধ করা। যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে এই অর্থটি পরিশোধ করা যায়। একবার আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি পেমেন্টের স্লিপ দেয়া হবে এবং এর সাথে অন্যান্য ডকুমেন্টস গুলো সংযুক্ত করেই সাবমিট করতে হবে।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা অনলাইনে জন্ম সনদ। এক্ষেত্রে অনলাইনের সঙ্গে অবশ্যই ইংরেজি ভার্সনে হতে হবে।

• যাদের বয়স ১৮ বছর কম তাদের পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।

• আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড সাবমিট করতে হবে

• যারা টেকনিক্যাল কাজের জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র করতে হবে। যেমন কেউ যদি বিদেশে ড্রাইভারের চাকরি করার জন্য আবেদন করতে চায় তাহলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংযুক্ত করতে হবে।

• এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অতিরিক্ত কাগজ হিসেবে GO এবং NOC পেপার সাবমিট করতে হবে।

শিশুদের কি পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়

প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সাবমিট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ধরণ কিছুটা ভিন্ন। নিচে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেয়া হলো;

• অনলাইনে জন্ম সনদ নিবন্ধনের কপি

• পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি

• পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন সামারি

• টাকা পরিশোধের কাগজপত্র

• ল্যাব প্রিন্ট করা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি তিন কপি। ক্ষেত্রবিশেষ আরো বেশি প্রয়োজন হতে পারে।

সরকারি চাকরিজীবের ক্ষেত্রে কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় (passport korte ki ki lage)

সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং সরকারি চাকরিজীবীদের কাগজপত্র গুলো মোটামুটি একই ধরনের। শুধুমাত্র অতিরিক্ত ডকুমেন্টস হিসেবে নো অবজেকশন (No Objection) সার্টিফিকেট অথবা গভর্নমেন্ট পেপার প্রয়োজন হবে।

যদি প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্তৃপক্ষ কোন অবজেকশন দেয় তাহলে তার পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্যই একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অবশ্যই সাবমিট করতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের ধাপ গুলো কি

সাধারণত প্রতিটি পাসপোর্ট প্রদান করার আগে একটি পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়। তবে যাদের জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করার প্রয়োজন তাদের জন্য প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যায়। অর্থাৎ যাদের ইমারজেন্সি এটি প্রয়োজন তাদের তাদের ক্ষেত্রে আগেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করতে হয়। যার ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।

যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে কি করবেন

যে কোন এধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র হারিয়ে গেলে সবার আগে হারানো এলাকার থানাতে একটি জিডি করতে হয়। জিডি করার সময় সেই কাগজের কোন কপি এবং প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন প্রদান করতে হয়।

এক্ষেত্রে আপনার একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে যেটি সবসময়ই খোলা থাকে।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াবলী

• অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার সময় নাম ঠিকানা ইত্যাদির বানান গুলো ভালোভাবে বারবার যাচাই করে নেবেন। কারণ সামান্য ভুল হলেই আপনার ভবিষ্যতে পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলায় করতে পারেন।

• পাসপোর্টের ধরন সময়, পৃষ্ঠা, মেয়াদ অনুযায়ী এর সরকারি ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।। তাই আবেদন করার আগে ভালোভাবে জেনে নিন।

• কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এপয়েন্টমেন্ট লেটার কিংবা আইডি কার্ড প্রয়োজন হতে পারে।

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পাশাপাশি নির্ধারিত ফি সম্পর্কেও ধারণা রাখা উচিত। নিম্নে আপনাদেরকে বিভিন্ন রকমের পাসপোর্টের জন্য বিভিন্ন রকমের নির্ধারিত টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হলো।

• একটি ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট যদি আপনি ২ দিনে ডেলিভারি নিতে চান তাহলে খরচ হবে ৮,৬২৫ টাকা। আর যদি সাধারণভাবে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ডেলিভারিতে চান তাহলে খরচ হবে ৪,০২৫ টাকা।

• ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট যদি আপনি ইমার্জেন্সি ভাবে ২ দিনে নিতে চান তাহলে খরচ হবে ১২,০৭৫ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারিতে খরচ হবে ৬,২২৪ টাকা।

• ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট সম্পন্ন করার জন্য ইমারজেন্সি খরচ ১০,৩৪০ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারির খরচ ৬,৩২৫ টাকা।

• ৬৪ পৃষ্ঠার একটি ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে ইমার্জেন্সিতে খরচ করতে হবে ১৩,৮০০ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারিতে খরচ করা হবে ৮,০৫০ টাকা।

এছাড়াও আপনি আর্জেন্ট ডেলিভারি ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই ডেলিভারি নিতে পারবেন। এর জন্য খরচের পরিমাণ কিছুটা ভিন্ন। তবে বেশিরভাগই মানুষ ইমারজেন্সি এবং সাধারণ অর্থ দিয়েই এটি সংগ্রহ করে থাকে। বিভিন্ন মেয়াদের কিংবা বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি একই রকম। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য বাসার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। তাই সকল ধরনের প্রস্তুতি আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।

আমাদের শেষ কথা

যারা ভ্রমণ, লেখাপড়া কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বাইরে যেতে চান তাদের জন্য অবশ্যই একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে সহায়তা করে থাকি। তাই এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম পায় কেন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও কত টাকা খরচ হয়

আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। আর পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটিও জানা আবশ্যক। আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা থাকে তাহলে খুব সহজেই পাসপোর্টের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এছাড়াও আরও কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি প্রয়োজন। সম্পূর্ণ বিষয় গুলি জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আমরা নির্ভুলভাবে একটি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারি না। এখনকার দিনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে (E Passport)

আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড হাতে পাননি তারা অনলাইনের নিবন্ধন সনদটি দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে ই পাসপোর্ট করতে অবশ্যই GO অথবা NO প্রয়োজন হয়। এর সাথেও আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যেমন চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, এমপ্লয়মেন্টের কাগজ ইত্যাদি।

আবার আপনার পাসপোর্টে যদি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে যে কাগজপত্র গুলো রয়েছে সেগুলোতে নিকটস্থ থানায় অবশ্যই জিডি করতে হবে।

আবার পাসপোর্ট করার একটি গুরুত্ব পূর্ণ ধাপ হচ্ছে সরকারি ফি পরিশোধ করা। যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে এই অর্থটি পরিশোধ করা যায়। একবার আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি পেমেন্টের স্লিপ দেয়া হবে এবং এর সাথে অন্যান্য ডকুমেন্টস গুলো সংযুক্ত করেই সাবমিট করতে হবে।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা অনলাইনে জন্ম সনদ। এক্ষেত্রে অনলাইনের সঙ্গে অবশ্যই ইংরেজি ভার্সনে হতে হবে।

• যাদের বয়স ১৮ বছর কম তাদের পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।

• আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড সাবমিট করতে হবে

• যারা টেকনিক্যাল কাজের জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র করতে হবে। যেমন কেউ যদি বিদেশে ড্রাইভারের চাকরি করার জন্য আবেদন করতে চায় তাহলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংযুক্ত করতে হবে।

• এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অতিরিক্ত কাগজ হিসেবে GO এবং NOC পেপার সাবমিট করতে হবে।

শিশুদের কি পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়

প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সাবমিট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ধরণ কিছুটা ভিন্ন। নিচে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেয়া হলো;

• অনলাইনে জন্ম সনদ নিবন্ধনের কপি

• পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি

• পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন সামারি

• টাকা পরিশোধের কাগজপত্র

• ল্যাব প্রিন্ট করা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি তিন কপি। ক্ষেত্রবিশেষ আরো বেশি প্রয়োজন হতে পারে।

সরকারি চাকরিজীবের ক্ষেত্রে কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় (passport korte ki ki lage)

সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং সরকারি চাকরিজীবীদের কাগজপত্র গুলো মোটামুটি একই ধরনের। শুধুমাত্র অতিরিক্ত ডকুমেন্টস হিসেবে নো অবজেকশন (No Objection) সার্টিফিকেট অথবা গভর্নমেন্ট পেপার প্রয়োজন হবে।

যদি প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্তৃপক্ষ কোন অবজেকশন দেয় তাহলে তার পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্যই একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অবশ্যই সাবমিট করতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের ধাপ গুলো কি

সাধারণত প্রতিটি পাসপোর্ট প্রদান করার আগে একটি পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়। তবে যাদের জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করার প্রয়োজন তাদের জন্য প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যায়। অর্থাৎ যাদের ইমারজেন্সি এটি প্রয়োজন তাদের তাদের ক্ষেত্রে আগেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করতে হয়। যার ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।

যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে কি করবেন

যে কোন এধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র হারিয়ে গেলে সবার আগে হারানো এলাকার থানাতে একটি জিডি করতে হয়। জিডি করার সময় সেই কাগজের কোন কপি এবং প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন প্রদান করতে হয়।

এক্ষেত্রে আপনার একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে যেটি সবসময়ই খোলা থাকে।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াবলী

• অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার সময় নাম ঠিকানা ইত্যাদির বানান গুলো ভালোভাবে বারবার যাচাই করে নেবেন। কারণ সামান্য ভুল হলেই আপনার ভবিষ্যতে পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলায় করতে পারেন।

• পাসপোর্টের ধরন সময়, পৃষ্ঠা, মেয়াদ অনুযায়ী এর সরকারি ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।। তাই আবেদন করার আগে ভালোভাবে জেনে নিন।

• কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এপয়েন্টমেন্ট লেটার কিংবা আইডি কার্ড প্রয়োজন হতে পারে।

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পাশাপাশি নির্ধারিত ফি সম্পর্কেও ধারণা রাখা উচিত। নিম্নে আপনাদেরকে বিভিন্ন রকমের পাসপোর্টের জন্য বিভিন্ন রকমের নির্ধারিত টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হলো।

• একটি ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট যদি আপনি ২ দিনে ডেলিভারি নিতে চান তাহলে খরচ হবে ৮,৬২৫ টাকা। আর যদি সাধারণভাবে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ডেলিভারিতে চান তাহলে খরচ হবে ৪,০২৫ টাকা।

• ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট যদি আপনি ইমার্জেন্সি ভাবে ২ দিনে নিতে চান তাহলে খরচ হবে ১২,০৭৫ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারিতে খরচ হবে ৬,২২৪ টাকা।

• ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট সম্পন্ন করার জন্য ইমারজেন্সি খরচ ১০,৩৪০ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারির খরচ ৬,৩২৫ টাকা।

• ৬৪ পৃষ্ঠার একটি ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে ইমার্জেন্সিতে খরচ করতে হবে ১৩,৮০০ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারিতে খরচ করা হবে ৮,০৫০ টাকা।

এছাড়াও আপনি আর্জেন্ট ডেলিভারি ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই ডেলিভারি নিতে পারবেন। এর জন্য খরচের পরিমাণ কিছুটা ভিন্ন। তবে বেশিরভাগই মানুষ ইমারজেন্সি এবং সাধারণ অর্থ দিয়েই এটি সংগ্রহ করে থাকে। বিভিন্ন মেয়াদের কিংবা বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি একই রকম। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য বাসার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। তাই সকল ধরনের প্রস্তুতি আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।

আমাদের শেষ কথা

যারা ভ্রমণ, লেখাপড়া কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বাইরে যেতে চান তাদের জন্য অবশ্যই একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে সহায়তা করে থাকি। তাই এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম পায় কেন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।