দ্রুত সময়ে পড়া মনে রাখার উপায় গুলো জেনে নিন
- আপডেট সময় : ১০:২০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
পড়া মনে রাখার কৌশল গুলি আমার সবাই কমবেশি অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দুর্বোধ্য ভাষা এবং কঠিন বিষয়ের কারণে পড়া ভালোভাবে বুঝে ওঠা হয় না। ছাত্র জীবনে এটিকে জাতীয় সমস্যা বলতে পারেন। কারণ কম বেশি সবাই এই অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকি।
অনেক সময় পড়া ভালোভাবে না বোঝার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেসিক নিয়ে সমস্যা। আবার বেসিকের সমস্যা থাকার কারণে পড়া মনে রাখা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বলতে পারেন গোড়ায় গলদ। তবে ভালো রেজাল্ট করতে গেলে অবশ্যই এই সমস্যা গুলোকে কাটিয়ে উঠতে হবে।
দ্রুত পড়া মনে রাখার উপায় গুলি কি কি চলুন জেনে নেই
নিচে আমি এমন কিছু পদ্ধতির কথা আলোচনা করছি যেগুলো অবলম্বন করে আপনি তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে যেকোন পড়া মুখস্ত করতে পারবেন। তবে আমি আগেই বলে নিচ্ছি বোর্ড বই কিংবা খুঁটিনাটি বেসিক গুলো আপনাকে নিয়মিত চর্চা করতেই হবে। তারপর বাকি পদ্ধতি গুলো অনুসরন করুন।
১। নিজে নিজে প্রশ্ন তৈরি করুন
আমরা একটি কথা অনেকে শুনেছি যে, কারো বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করার জন্য তার উত্তর নয় বরং সে কি ধরনের প্রশ্ন করে সেটি বিবেচনা করুন। আপনি যখন কোন সাবজেক্টের উপর প্রিপারেশন নিবেন তখন সেখান থেকে কি কি সম্ভাব্য প্রশ্ন হতে পারে সেটা নিয়ে ভাবুন। আর যখনই আপনি প্রশ্ন তৈরি করতে পারবেন তখনই আপনার মাথার মধ্যে উত্তরও তৈরি হয়ে যাবে।
২। স্মার্ট ভাবে পরিশ্রম করুন
অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার টেবিলে বসে মুখস্থ করার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে ফলাফল খুবই সামান্য হয়। কারণ পড়াটা গোছানো থাকে না।। তাই কোন কোন টপিকস থেকে পড়তে হবে, কোন প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে আগে ভালোভাবে এনালাইসিস করুন। দ্রুত পড়া মনে রাখার উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
৩। শব্দ করে পড়ার চেষ্টা করুন
যদিও অনেকের আস্তে আস্তে কিংবা নীরবে পড়াশোনা করার অভ্যাস আছে তবুও শব্দ করে বলে সেটি অত্যন্ত দ্রুত মাথায় গেছে যায়। তাই চেষ্টা করুন কিছুটা উচ্চস্বরে পড়ার জন্য।
৪। গল্প গঠন করে পড়াশোনা করা
বাংলা, সমাজ, বিজ্ঞান ইত্যাদি বইয়ে কিছু পড়া রয়েছে যেগুলো অনেকটা গল্পের মতই। বাংলা কিংবা অন্যান্য বইয়ের এ সকল গল্প গুলিকে ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। একবার পড়ে না বুঝলে বারবার পড়ুন।। আর বারবার পড়েও না বুঝলে সেটাকে লেখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার মনোযোগ এবং গবেষণা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
৫। পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে নোট করা
এখানে শুধুমাত্র খাতায় লিখে সেটিকে গুছিয়ে রাখার কথা বলে নেই। বরং পুরো একটি টপিকসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলিকে আলাদাভাবে মুখস্ত করুন। অনেকেই বই থেকে এ সকল অংশ গুলো খাতায় লিখে আলাদা করে রাখে। কিন্তু সেটা সে পর্যন্তই থাকে ভবিষ্যতে আর পড়া হয়না।
৬। যা শিখেছেন অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করুন
আপনি নিজে যেটা মুখস্ত করেছেন এবং বুঝেছেন সেটি আপনার বন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার মধ্যে যদি কোন গ্যাপ থাকে তাহলে সেটি সহজে ধরতে পারবেন। কারণ নিজে একা একা পড়তে বসলে ভুল গুলো খুব কমই চোখে পড়ে। অন্যকে বোঝানোর সময় খুঁটিনাটি সমস্যা গুলি ধরা পড়ে। তাই কঠিন বিষয় গুলো নিয়ে বন্ধুদের সাথে সর্বদা আলোচনা করুন।
পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে বারবার রিভিশন দিন
একজন ভালো শিক্ষার্থীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বারবার রিভিশন দেওয়া। শুধুমাত্র একবার পড়েই কোন পড়া মনে রাখা সম্ভব নয়। আপনি যত বেশি রিভিশন দিবেন সম্পর্কে তত ভাল ধারণা অর্জিত হবে। এমনকি পরীক্ষার হলেও ভুলে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটবে না। যারা কিনা একবার মুখস্থ করে মনে করে এটি এর পরবর্তীতে পড়তে হবে না, তাদের পরীক্ষার হলে গিয়ে ঠিক মতো সেটি মনে পড়ে না।
লিখার অভ্যাস করা
আপনি যখন কোন একটি পড়া মুখস্ত করবেন তখন সেটির বানান, দাড়ি, কমা ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় গুলো খুব বেশি নজরে আসবে না। পড়া শেষে আপনি সেটি না দেখে লিখতে চেষ্টা করুন, দেখবেন বেশ কিছু ভুল আপনার চোখে ধরা পড়েছে। তাই যখন যেটা করবেন সেটি সাথে সাথে না দেখে লিখার চেষ্টা করুন। ভালো রেজাল্ট করার জন্য এতটুকু পরিশ্রম তো করতেই হবে।
সারমর্ম
পড়া মনে রাখার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুঝে মুখস্থ করা, রিভিশন দেওয়া এবং লিখতে থাকা। এই ৩ টি অভ্যাস আপনি যত বেশি গড়ে তুলবেন আপনি পরীক্ষায় তত ভালো করতে পারবেন। একটি কথাই বলতে চাই কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের চেয়ে বড় কোনো চাবিকাঠি নেই সফলতার জন্য। তাই হতাশ না হয়ে বারবার চেষ্টা করতে থাকুন।
সার্টিফিকেটের নাম বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করার নিয়ম জানতে এখানে প্রবেশ করুন।