ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অল্প খরচে সবচাইতে পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডাল। একসময় মাছে বাঙালি বলা হলেও দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্ব গতিতে বলা হয় ডালে ভাতে বাঙালি। কিন্তু এনিয়ে একটি বিতর্ক আমাদের সমাজে রয়েছে। ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য সবচাইতে বেশি উপকারী? বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে নিত্যদিনের খাবারে এই এটি যেন থাকেই।

এছাড়াও মাংসের পরিপূরক হিসেবে আমিষের চাহিদা মেটাতে ডালের জুড়ি মেলা ভার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন কিভাবে ডাল রান্না করলে সবচাইতে বেশি পুষ্টি গুণ পাওয়া যাবে? চলুন এর সম্পর্কে বিভিন্ন নিউট্রিশনিস্টদের মতামত গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল, কিভাবে খাবেন?

আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ পেতে চান তাহলে এটি সামান্য পরিমাণে ঘন করে রান্না করাই ভালো। একেবারে পাতলা করে রান্না করলে সেটাতে আমিষের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। কেউ কেউ এটা সামান্য ঘন করে খেতে পছন্দ করে আবার কেউ কেউ পাতলা করে খেতে পছন্দ করে। তবে যাই হোক যদি এটি পাতলা করে রান্না করা হয় তাহলে খেতে কোন ধরনের অসুবিধা নেই। কিন্তু নিচের কোন অংশটি সবারই খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকা উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। এতে করে এসিডিটির সহ কিছু সমস্যা হতে পারে।

ডাল খাওয়ার উপকারিতা

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা কিংবা ধর্মীয় বিধি নিষেধের কারণে অনেকেই আমিষ অর্থাৎ মাছ-মাংস খান না। এটির দোষের কিছু নয় কিন্তু আপনার প্রয়োজনের পুষ্টি গুণ মেটাতে কিছু না কিছু তো আমিষ দেহে প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন ঘন ডাল। আর এর জন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে মুগ ডাল। আবার বেশ কয়েক রকমের ডালের উপাদান গুলো একসাথে মিশেও রান্না করতে পারেন। এতে করে আপনার দেহের অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা মিটবে।

আবার শুধুমাত্র রান্না করে খেতে যদি বিরক্ত লাগে তাহলে খিচুড়ি কিংবা হালিমের রেসিপি করতে পারেন। কারণ মাছ-মাংস না খেলে ও ডিম দুধ কিংবা ডালের মাধ্যমে সে চাহিদা গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

ডাল খাওয়ার নিয়ম-কানুন

আবার সকল খাদ্য সবার শরীরের জন্য ভালো নয়। যেমন খেসারি ডাল আপনার নিয়মিত খাওয়া কখনই উচিত নয়। এতে করে আমাদের দেখে ল্যাথারাইজিয়মের ঝুঁকি থাকে। তবে মাঝে মাঝে এটি খেলে কোন সমস্যা নেই। পাতলা ডাল সবার জন্য উপকারী হলেও ঘন করে রান্না করলে সেটি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। বিশেষ করে যারা কিডনি কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের জন্য কোনভাবেই ডাল ঘন করে রান্না করা উচিত নয়। এব্যাপারে আরো জানতে চাইলে যে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডাল রান্না সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী

• সবচাইতে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে এটিকে খুব বেশি পাতলা আবার খুব বেশি ঘন না করে মাঝারি উপায় রান্না করা।

• স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে আপনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন শাক কিংবা সবজি দিয়েও এটি রান্না করতে পারবেন। এমনকি তৈরি করতে পারেন ডালের বড়া, এটি খেতে বেশ মজাদার।

• আপনি যদি এই উপাদানটি পানিতে ২৪ ঘন্টার বেশি ভিজিয়ে রাখেন তাহলে সেটা থেকে অংকুর বের হবে। এই অঙ্কুর গুলো আপনি কাচাই খেতে পারবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।

• ডালে কারো কারো এসিডিটি হয়। তাই আপনি যদি রান্না করার আগে কমপক্ষে ২ ঘন্টায় ভিজিয়ে রাখেন এবং পরবর্তীতে ধরে রান্না করেন তাহলে এসিডিটির প্রবণতা কমে যায়।

আমাদের শেষ কথা

আমাদের দেহে নানা ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিন উপাদানের প্রয়োজন হয়। বাজারের অন্যান্য দ্রব্যের তুলনায় সহজলভ্য একটি খাবার পণ্য হচ্ছে ডাউল। পুষ্টিবিদদের মতে আপনি ঘন নাকি পাতলা ডাল কোনটি খাবেন সে সম্পর্কে হয়তো কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। সংক্ষেপে বললে এটি বেশি পানি দিয়ে পাতলা করে রান্না করলে খেতে কোন অসুবিধা নেই। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন বিশেষ করে রোগীদের ক্ষেত্রে। আপনার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এই খাবারটি মাঝে মাঝেই তালিকায় রাখতে পারেন।

ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয় কি? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী

আপডেট সময় : ০১:২৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

অল্প খরচে সবচাইতে পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডাল। একসময় মাছে বাঙালি বলা হলেও দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্ব গতিতে বলা হয় ডালে ভাতে বাঙালি। কিন্তু এনিয়ে একটি বিতর্ক আমাদের সমাজে রয়েছে। ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য সবচাইতে বেশি উপকারী? বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে নিত্যদিনের খাবারে এই এটি যেন থাকেই।

এছাড়াও মাংসের পরিপূরক হিসেবে আমিষের চাহিদা মেটাতে ডালের জুড়ি মেলা ভার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন কিভাবে ডাল রান্না করলে সবচাইতে বেশি পুষ্টি গুণ পাওয়া যাবে? চলুন এর সম্পর্কে বিভিন্ন নিউট্রিশনিস্টদের মতামত গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ঘন ডাল নাকি পাতলা ডাল, কিভাবে খাবেন?

আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ পেতে চান তাহলে এটি সামান্য পরিমাণে ঘন করে রান্না করাই ভালো। একেবারে পাতলা করে রান্না করলে সেটাতে আমিষের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। কেউ কেউ এটা সামান্য ঘন করে খেতে পছন্দ করে আবার কেউ কেউ পাতলা করে খেতে পছন্দ করে। তবে যাই হোক যদি এটি পাতলা করে রান্না করা হয় তাহলে খেতে কোন ধরনের অসুবিধা নেই। কিন্তু নিচের কোন অংশটি সবারই খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকা উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। এতে করে এসিডিটির সহ কিছু সমস্যা হতে পারে।

ডাল খাওয়ার উপকারিতা

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা কিংবা ধর্মীয় বিধি নিষেধের কারণে অনেকেই আমিষ অর্থাৎ মাছ-মাংস খান না। এটির দোষের কিছু নয় কিন্তু আপনার প্রয়োজনের পুষ্টি গুণ মেটাতে কিছু না কিছু তো আমিষ দেহে প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন ঘন ডাল। আর এর জন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে মুগ ডাল। আবার বেশ কয়েক রকমের ডালের উপাদান গুলো একসাথে মিশেও রান্না করতে পারেন। এতে করে আপনার দেহের অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা মিটবে।

আবার শুধুমাত্র রান্না করে খেতে যদি বিরক্ত লাগে তাহলে খিচুড়ি কিংবা হালিমের রেসিপি করতে পারেন। কারণ মাছ-মাংস না খেলে ও ডিম দুধ কিংবা ডালের মাধ্যমে সে চাহিদা গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

ডাল খাওয়ার নিয়ম-কানুন

আবার সকল খাদ্য সবার শরীরের জন্য ভালো নয়। যেমন খেসারি ডাল আপনার নিয়মিত খাওয়া কখনই উচিত নয়। এতে করে আমাদের দেখে ল্যাথারাইজিয়মের ঝুঁকি থাকে। তবে মাঝে মাঝে এটি খেলে কোন সমস্যা নেই। পাতলা ডাল সবার জন্য উপকারী হলেও ঘন করে রান্না করলে সেটি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। বিশেষ করে যারা কিডনি কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের জন্য কোনভাবেই ডাল ঘন করে রান্না করা উচিত নয়। এব্যাপারে আরো জানতে চাইলে যে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডাল রান্না সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী

• সবচাইতে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে এটিকে খুব বেশি পাতলা আবার খুব বেশি ঘন না করে মাঝারি উপায় রান্না করা।

• স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে আপনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন শাক কিংবা সবজি দিয়েও এটি রান্না করতে পারবেন। এমনকি তৈরি করতে পারেন ডালের বড়া, এটি খেতে বেশ মজাদার।

• আপনি যদি এই উপাদানটি পানিতে ২৪ ঘন্টার বেশি ভিজিয়ে রাখেন তাহলে সেটা থেকে অংকুর বের হবে। এই অঙ্কুর গুলো আপনি কাচাই খেতে পারবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।

• ডালে কারো কারো এসিডিটি হয়। তাই আপনি যদি রান্না করার আগে কমপক্ষে ২ ঘন্টায় ভিজিয়ে রাখেন এবং পরবর্তীতে ধরে রান্না করেন তাহলে এসিডিটির প্রবণতা কমে যায়।

আমাদের শেষ কথা

আমাদের দেহে নানা ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিন উপাদানের প্রয়োজন হয়। বাজারের অন্যান্য দ্রব্যের তুলনায় সহজলভ্য একটি খাবার পণ্য হচ্ছে ডাউল। পুষ্টিবিদদের মতে আপনি ঘন নাকি পাতলা ডাল কোনটি খাবেন সে সম্পর্কে হয়তো কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। সংক্ষেপে বললে এটি বেশি পানি দিয়ে পাতলা করে রান্না করলে খেতে কোন অসুবিধা নেই। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন বিশেষ করে রোগীদের ক্ষেত্রে। আপনার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এই খাবারটি মাঝে মাঝেই তালিকায় রাখতে পারেন।

ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা লরেন্স বিষ্ণোই এর পরিচয় কি? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।