ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থায়ীভাবে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি জেনে নিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীবনের একটি অসহনীয় যন্ত্রণা এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এই ছোট একটি কারণে মানুষের জীবনে যে কত ঝামেলা পোহাতে হয় তার কোন শেষ নেই। সেই কথা একমাত্র ভুক্তভূগিরাই জানেন। মজার মজার সব আইটেম সামনে রেখেও সেগুলো স্পর্শ করার সাহস হয় না যাদের এই সমস্যা রয়েছে। আবার অনেক সময় নানা রকম খাবার বাদ দেওয়ার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়।

সামান্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে সারা জীবনের জন্য দূর করতে পারবেন এই সমস্যাটি। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সর্বপ্রথম এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জানুন

একেকজনের এলার্জির ধরন একেকরকম। আমাদের দেশে সবচাইতে বেশি এলার্জির টাইপ হচ্ছে শরীরে ফোসকা পড়ে যাওয়া এবং চুলকানি হওয়া।

এছাড়াও এলার্জির কারণে অনেকের গলন শক্ত হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, চোখ এবং ঠোট ফুলে যায়, প্রেসার কমে যায়, মাথা ঘোরায় এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আমাদের শরীরের রক্তেও কণিকা গুলো রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। কিন্তু কোন কারণে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটলে তখন অ্যালার্জি হিসেবে সেটি দেখা যায়।

এলার্জি হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যখন শরীরের এই রক্তকণিকা গুলোকে জীবাণু ছাড়াও প্রয়োজনীয় দেহের উপাদান গুলোকেও শত্রু মনে করে। তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। অনেকটা যান্ত্রিক ত্রুটির মতো। তখন আমাদের শরীরে সেটি এলার্জি হিসেবে প্রকাশ পায়।

বেশিরভাগ মানুষের এই ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, মুরগির গোস্ত, বেগুন ইত্যাদিতে এলার্জি থাকে।

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আসলে চিরতরে এটি দূর করার কোন পদ্ধতি নেই। কারণ আপনি যদি সঠিক উপায়ে জীবনকে চালিত করতে পারেন তাহলে স্থায়ীভাবে অর্থাৎ সারা জীবন এটা থেকে ভালো থাকতে পারবেন। আর যদি আপনার খাদ্যাভ্যাস কিংবা জীবনযাপনে অনিয়ম থাকে তাহলে কখনোই এটি আপনাকে ছেড়ে যাবে না।

সঠিক উপায় গুলি অবলম্বন করে ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি দূর করা যায় শতভাগ।

শুধুমাত্র খাবারেই নয়, কারো কারো বিভিন্ন রকমের কাপড়ে, ধুলাবালিতে, এমনকি সুগন্ধিতে এলার্জি হয়ে থাকে।

তাই প্রথমে আপনার এধরনের বিষয় গুলি এবং খাবার খুঁজে বের করতে হবে যেগুলোর কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। তারপর চেষ্টা করতে হবে শতভাগ এসকল বস্তু এবং খাবার থেকে দূরে থাকা। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি দূর করবেন কিভাবে

অন্যান্য সমস্যা গুলোর মধ্যে ত্বকের ফোসকা পড়ে যাওয়া কিংবা চুলকানির সমস্যাটি বেশি ঝামেলার সৃষ্টি করে। এতে করে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্মতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই আপনারা যাতে ঘরে বসে এই রোগটি দূর করতে পারেন তার জন্য কিছু পদ্ধতি উপস্থাপন করা হলো।

টি-ট্রি অয়েলের ব্যবহার

টি-ট্রব অয়েলে এক ধরনের এন্টি মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো আপনার শরীর কে এই সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করতে পারে। আপনি বাজারে অল্প দামে এই তেলটি পেয়ে যাবেন। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন।

বহুল প্রচলিত অ্যাপল সিডার ভিনেগার

বিভিন্ন সুস্বাদু রান্নাবান্নার কাজে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। এমনকি রূপচর্চার সহ খাবার সংরক্ষণের কাজেও অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের এলার্জি সমস্যা সমাধানের এটি বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখবেন এটাতে আপনার এলার্জির সমস্যা হয়েছে কিনা।

নারিকেল তেলের ব্যবহার

আপনার ঘরে নিশ্চয়ই নারিকেল তেল রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এক বাটিতে কিছু পরিমাণে নারিকেল তেল ঢেলে নিয়ে অল্পতাপে গরম করুন। ত্বকের জন্য সহনীয় পর্যায়ে এলে শরীরে লাগান। এভাবে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। প্রতিদিন অন্তত ২ বার ব্যবহার করলেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।

এলোভেরা জেলের ব্যবহার

রূপচর্চায় এলোভেরা জেল প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হয়। আপনি সরাসরি এলোভেরা কিংবা প্যাকেটজাত প্রোডাক্টও কিনতে পারবেন। ত্বকের বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সরাসরি এটি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি এলোভেরা জেল দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে সেটাও ব্যবহার করা যায়।

ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা

যদি আপনার তাৎক্ষণিকভাবে চুলকানি কিংবা এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তির প্রয়োজন হয় তাহলে ১ বালতি ঠান্ডা পানিতে কিছু পরিমাণে আইস মিশিয়ে নিন। এতে করে দ্রুত চুলকানি কিংবা ত্বকের ফোসকা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। বড় বড় খেলোয়াড় এবং মডেলরা মাঝে মাঝে আই বাথ করে অর্থাৎ বরফের মধ্য নিজের শরীরকে কিছুক্ষণের জন্য ডুবিয়ে রাখে।

গোলাপজল ব্যবহার করুন

চোখের এলার্জি দূর করার জন্য গোলাপজল বেশ কার্যকর একটি উপায়। অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায় এবং এর ভেতরে চুলকাতে থাকে। এই ধরনের সিচুয়েশনে ২ থেকে ৩ ফোটা গোলাপ জল দিতে পারেন চোখে। তবে চোখে জল দেওয়ার পর কিছুক্ষণ সেটি অবশ্যই বন্ধ রাখবেন। খোলা রাখলে পুরোপুরি কার্যকর হবে না।

লবণের সাথে পানি

দ্রুত চোখের জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমানোর জন্য খানিকটা পানির মধ্যে ৩ চামচ পরিমাণ লবণ মিশ্রিত করুন। তারপরে সেটি চুলায় দিয়ে ভালো মতন ফুটিয়ে নিন। সেই পানির ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখের উপরিভাগে আস্তে আস্তে মুছতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।

ঠান্ডা পানির ঝাপটা নেন

পানির অপর নাম জীবন। যেকোনো ধরনের এলার্জি জাতীয় সমস্যায় পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের চোখের চুলকানি কিংবা লাল হয়ে ফুলে গেলে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা নিন। এতে করে কিছুটা হলেও যন্ত্রণার উপশম হবে।

চোখের এলার্জি দূর করার জন্য আমলকি এবং মধু

সকল রোগের মহা ঔষধ হচ্ছে মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কিছু পরিমাণে মধু আমলকির পাউডারের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং দূর হবে এলার্জি।

আমাদের শেষ কথা

উপরিক্ত পদ্ধতি গুলো ছাড়াও সব সময় বাইরে যাওয়ার আগে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। অনেকের রোদে চোখের এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। যথাসম্ভব নিজেকে ধূলা বালি থেকে দূরে রাখুন। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা, মুখের মাস্ক ব্যবহার করুন।

ধুলাবালির পাশাপাশি ঘরের ময়লা থেকেও এসমস্যা হতে পারে। এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে শোবার ঘর বিছানা ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন রাখুন। আশেপাশে যেন ধুলাবালি না উড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কোন কারণে এলার্জি উঠে গেলে বেশি বেশি চুলকানোর চেষ্টা করবেন না। আর সমস্যার সমাধান কোনভাবে না হলে দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটা সম্পর্কে অজানা তথ্য জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্থায়ীভাবে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৩:৪২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

জীবনের একটি অসহনীয় যন্ত্রণা এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এই ছোট একটি কারণে মানুষের জীবনে যে কত ঝামেলা পোহাতে হয় তার কোন শেষ নেই। সেই কথা একমাত্র ভুক্তভূগিরাই জানেন। মজার মজার সব আইটেম সামনে রেখেও সেগুলো স্পর্শ করার সাহস হয় না যাদের এই সমস্যা রয়েছে। আবার অনেক সময় নানা রকম খাবার বাদ দেওয়ার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়।

সামান্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে সারা জীবনের জন্য দূর করতে পারবেন এই সমস্যাটি। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সর্বপ্রথম এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জানুন

একেকজনের এলার্জির ধরন একেকরকম। আমাদের দেশে সবচাইতে বেশি এলার্জির টাইপ হচ্ছে শরীরে ফোসকা পড়ে যাওয়া এবং চুলকানি হওয়া।

এছাড়াও এলার্জির কারণে অনেকের গলন শক্ত হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, চোখ এবং ঠোট ফুলে যায়, প্রেসার কমে যায়, মাথা ঘোরায় এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আমাদের শরীরের রক্তেও কণিকা গুলো রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। কিন্তু কোন কারণে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটলে তখন অ্যালার্জি হিসেবে সেটি দেখা যায়।

এলার্জি হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যখন শরীরের এই রক্তকণিকা গুলোকে জীবাণু ছাড়াও প্রয়োজনীয় দেহের উপাদান গুলোকেও শত্রু মনে করে। তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। অনেকটা যান্ত্রিক ত্রুটির মতো। তখন আমাদের শরীরে সেটি এলার্জি হিসেবে প্রকাশ পায়।

বেশিরভাগ মানুষের এই ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, মুরগির গোস্ত, বেগুন ইত্যাদিতে এলার্জি থাকে।

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আসলে চিরতরে এটি দূর করার কোন পদ্ধতি নেই। কারণ আপনি যদি সঠিক উপায়ে জীবনকে চালিত করতে পারেন তাহলে স্থায়ীভাবে অর্থাৎ সারা জীবন এটা থেকে ভালো থাকতে পারবেন। আর যদি আপনার খাদ্যাভ্যাস কিংবা জীবনযাপনে অনিয়ম থাকে তাহলে কখনোই এটি আপনাকে ছেড়ে যাবে না।

সঠিক উপায় গুলি অবলম্বন করে ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি দূর করা যায় শতভাগ।

শুধুমাত্র খাবারেই নয়, কারো কারো বিভিন্ন রকমের কাপড়ে, ধুলাবালিতে, এমনকি সুগন্ধিতে এলার্জি হয়ে থাকে।

তাই প্রথমে আপনার এধরনের বিষয় গুলি এবং খাবার খুঁজে বের করতে হবে যেগুলোর কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। তারপর চেষ্টা করতে হবে শতভাগ এসকল বস্তু এবং খাবার থেকে দূরে থাকা। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি দূর করবেন কিভাবে

অন্যান্য সমস্যা গুলোর মধ্যে ত্বকের ফোসকা পড়ে যাওয়া কিংবা চুলকানির সমস্যাটি বেশি ঝামেলার সৃষ্টি করে। এতে করে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্মতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই আপনারা যাতে ঘরে বসে এই রোগটি দূর করতে পারেন তার জন্য কিছু পদ্ধতি উপস্থাপন করা হলো।

টি-ট্রি অয়েলের ব্যবহার

টি-ট্রব অয়েলে এক ধরনের এন্টি মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো আপনার শরীর কে এই সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করতে পারে। আপনি বাজারে অল্প দামে এই তেলটি পেয়ে যাবেন। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন।

বহুল প্রচলিত অ্যাপল সিডার ভিনেগার

বিভিন্ন সুস্বাদু রান্নাবান্নার কাজে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। এমনকি রূপচর্চার সহ খাবার সংরক্ষণের কাজেও অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের এলার্জি সমস্যা সমাধানের এটি বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখবেন এটাতে আপনার এলার্জির সমস্যা হয়েছে কিনা।

নারিকেল তেলের ব্যবহার

আপনার ঘরে নিশ্চয়ই নারিকেল তেল রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এক বাটিতে কিছু পরিমাণে নারিকেল তেল ঢেলে নিয়ে অল্পতাপে গরম করুন। ত্বকের জন্য সহনীয় পর্যায়ে এলে শরীরে লাগান। এভাবে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। প্রতিদিন অন্তত ২ বার ব্যবহার করলেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।

এলোভেরা জেলের ব্যবহার

রূপচর্চায় এলোভেরা জেল প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হয়। আপনি সরাসরি এলোভেরা কিংবা প্যাকেটজাত প্রোডাক্টও কিনতে পারবেন। ত্বকের বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সরাসরি এটি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি এলোভেরা জেল দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে সেটাও ব্যবহার করা যায়।

ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা

যদি আপনার তাৎক্ষণিকভাবে চুলকানি কিংবা এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তির প্রয়োজন হয় তাহলে ১ বালতি ঠান্ডা পানিতে কিছু পরিমাণে আইস মিশিয়ে নিন। এতে করে দ্রুত চুলকানি কিংবা ত্বকের ফোসকা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। বড় বড় খেলোয়াড় এবং মডেলরা মাঝে মাঝে আই বাথ করে অর্থাৎ বরফের মধ্য নিজের শরীরকে কিছুক্ষণের জন্য ডুবিয়ে রাখে।

গোলাপজল ব্যবহার করুন

চোখের এলার্জি দূর করার জন্য গোলাপজল বেশ কার্যকর একটি উপায়। অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায় এবং এর ভেতরে চুলকাতে থাকে। এই ধরনের সিচুয়েশনে ২ থেকে ৩ ফোটা গোলাপ জল দিতে পারেন চোখে। তবে চোখে জল দেওয়ার পর কিছুক্ষণ সেটি অবশ্যই বন্ধ রাখবেন। খোলা রাখলে পুরোপুরি কার্যকর হবে না।

লবণের সাথে পানি

দ্রুত চোখের জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমানোর জন্য খানিকটা পানির মধ্যে ৩ চামচ পরিমাণ লবণ মিশ্রিত করুন। তারপরে সেটি চুলায় দিয়ে ভালো মতন ফুটিয়ে নিন। সেই পানির ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখের উপরিভাগে আস্তে আস্তে মুছতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।

ঠান্ডা পানির ঝাপটা নেন

পানির অপর নাম জীবন। যেকোনো ধরনের এলার্জি জাতীয় সমস্যায় পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের চোখের চুলকানি কিংবা লাল হয়ে ফুলে গেলে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা নিন। এতে করে কিছুটা হলেও যন্ত্রণার উপশম হবে।

চোখের এলার্জি দূর করার জন্য আমলকি এবং মধু

সকল রোগের মহা ঔষধ হচ্ছে মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কিছু পরিমাণে মধু আমলকির পাউডারের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং দূর হবে এলার্জি।

আমাদের শেষ কথা

উপরিক্ত পদ্ধতি গুলো ছাড়াও সব সময় বাইরে যাওয়ার আগে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। অনেকের রোদে চোখের এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। যথাসম্ভব নিজেকে ধূলা বালি থেকে দূরে রাখুন। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা, মুখের মাস্ক ব্যবহার করুন।

ধুলাবালির পাশাপাশি ঘরের ময়লা থেকেও এসমস্যা হতে পারে। এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে শোবার ঘর বিছানা ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন রাখুন। আশেপাশে যেন ধুলাবালি না উড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কোন কারণে এলার্জি উঠে গেলে বেশি বেশি চুলকানোর চেষ্টা করবেন না। আর সমস্যার সমাধান কোনভাবে না হলে দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটা সম্পর্কে অজানা তথ্য জানতে এখানে প্রবেশ করুন।