ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইমাম খতিব উলামা পরিষদ
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ইমাম খতিব উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মূলত চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হা-ম-লা-র প্রতিবাদে নাবিস্কো মোরে সমাবেশটি হয়। সেখানে আরো দাবি জানানো হয় বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে।
সেখানে উপস্থিত বক্তারা গণমাধ্যমকে বলেন, ইসকনের সদস্যরা দেশে বসবাসরত সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উসকে দিচ্ছে। এভাবে তারা সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে একটি সম্প্রীতি বজায় আছে।
ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইমাম খতিব উলামা পরিষদ
যারা বারবার সাম্প্রদায়িকতার কথা বলে বেড়ান তারা কি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলতে চান। তারা হিন্দু ভাইদের উদ্দেশ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূর্বের মতো করেই একত্রে বসবাস করার কথা জানান। বাংলাদেশের ইসকনের কার্যক্রমের ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। সেই সাথে চট্টগ্রামের ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের হেনস্তার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। উক্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও রহিম মেটাল মসজিদের খতিব। তিনি উলামা ঐক্য পরিষদের আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসকনের কার্যক্রম কি?
অনেকেই আবার এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এটি মূলত একটি নন গভারমেন্ট অর্গানাইজেশনের মতোই একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মাঝে মাঝেই এরা বিভিন্ন ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সংস্থার সাথে জড়িত সদস্যদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পবিত্র স্থান নির্মাণ করা এবং সনাতন ধর্মের ভগবানদের প্রার্থনা করাও একটি অন্যতম কার্যক্রম। এছাড়া তারা সরল এবং স্বাভাবিক জীবনধারা সম্বন্ধে সদস্যদের কে একে অপরের কাছে টেনে নেয়। এরকম আরো অনেক কার্যক্রম আছে বলে দাবি করে ইসকনের সদস্যরা। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ, এমনকি হিন্দুদের জায়গা দখল করার মতো অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের হাজারী এলাকায় একটি ফেসবুক পোস্ট কে কেন্দ্র করে তৈরি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। যেই পোস্টে ছিল মূলত ইসকনেকে নিয়ে। উক্ত ঘটনায় ইতিমধ্য ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যৌথ বাহিনীও হা-ম লা-র শিকার হন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এমনকি এই সংগঠনের বৃহত্তম মন্দির অবস্থিত মায়াপুরে। তবে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বেশি কিছু বিতর্ক করেছে। অনেকে এই দাবি করেন ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে এর ৫০ হাজারটির অধিক মন্দিরে এবং কেন্দ্র রয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের নামে রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ। যার কারণেই খতিব উলামা পরিষদ বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে দাবি জানিয়েছে।
সৌদি আরবের মরুভূমিতে এবার দেখা গেলো তুষারপাত। পুরো খবর জানতে এখানে প্রবেশ করুন।