ইউটিউবে ১ হাজার ভিউ হলে কত টাকা ইনকাম হয়
- আপডেট সময় : ০৫:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বের সবচাইতে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউবে। অনেকেই ইউটিউবে কত ভিউয়ে কত টাকা ইনকাম হয় সে ব্যাপারে জানতে চান। কারণ কোন একটি প্লাটফর্মে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই অর্থ উপার্জন সম্পর্কিত সকল বিষয় গুলি জানা প্রয়োজন। পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ কন্ঠের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আছে যারা ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আজকে চলুন জেনে নেই ইউটিউব থেকে থেকে ১ হাজার ভিউতে কক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং অন্যান্য বিষয়াদি।
আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউয়ের উপর ইনকাম জানতে পারেন তাহলে সামগ্রিক বিষয়ের উপরে আপনার একটি সুস্পষ্ট ধারণা হবে।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
মনিটাইজেশন অর্থাৎ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি এই প্লাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি চ্যানেল ওপেন করতে হবে। সে চ্যানেলে যদি সর্বনিম্ন ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও ওয়াচ টাইম থেকে তাহলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনাকে এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দিবে। যেটাকে বলা হয়ে থাকে মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া।
এর জন্য অবশ্যই সকল ভিডিও কপিরাইট ফ্রি হতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি অন্য কারো ভিডিও কপি করেন কিংবা কোন পলিসি ভাঙেন তাহলে কখনোই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।
সঠিকভাবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউবে ১ হাজার ভিউ হলে কত টাকা ইনকাম করা যায়
মূলত অর্থ উপার্জনের পরিমাণ নির্ভর করে সিপিএম অথবা কস্ট পার মিনিটের উপর। অর্থাৎ আপনি বাংলা কন্টেন্ট বানিয়ে যে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ইংলিশ কন্টেন্ট বানিয়ে তার চাইতে অনেক বেশি আবেদন করতে পারবেন।
এর কারণ হচ্ছে ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে ভিডিওর মাঝখানে যে বিজ্ঞাপন গুলি প্রদর্শিত হয় সেগুলোর সিপিসি বা কষ্ট পার ক্লিক অনেক বেশি।
মনে করুন আপনি স্থানীয় একটি ছোট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। কিন্তু আপনি যদি এই পৃথিবীর স্বনামধন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের কাজ নেন তাহলে অবশ্যই অনেক বেশি ফি নিতে পারবেন।
এছাড়াও ভিডিওর কোয়ালিটি, টপিকসের উপর অর্থ উপার্জন নির্ভর করে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১ হাজার ভিউতে আপনি ১০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে কোয়ালিটি এবং বিষয়বস্তু ভেদে এটি বাড়তে পারে অথবা কমতে পারে।
ইউটিউবে ইনকামের পরিমাণ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
আপনার অবস্থান
বিভিন্ন দেশ থেকে এই প্ল্যাটফর্মের ইনকাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনি যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশে বসে বাঙ্গালীদের জন্য ভিডিও তৈরি করেন তাহলে ইনকাম একরকম হবে।
কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে
যদি আপনার ভিডিও কোয়ালিটি গুলো খুবই উন্নত মানের হয় তাহলে ভালো ভালো কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে এবং আপনার অর্থ উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দর্শকরা যত বেশি বিজ্ঞাপনে চাপ দিবে বা প্রবেশ করবে আপনার একাউন্টে ডলারও তত বেশি জমা হবে।
আপনার ভিডিওর টপিক
আপনি শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে যে ধরনের ইনকাম করতে পারবেন প্রযুক্তি কিংবা বিজনেস রিলেটেড ভিডিও বানিয়ে তার চাইতে অনেকটাই বেশি ইনকাম করতে পারবেন। অর্থনৈতিক বিষয়ের ভিডিও গুলো সাধারণত বেশি টাকা এনে দেয়।
ইউটিউব স্পন্সরের মাধ্যমে টাকা ইনকাম
ধরুন কর্তৃপক্ষ কোন কারনে আপনাকে মনিটাইজেশন প্রদান করেননি কিংবা আপনি এই পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন না। তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর নিতে পারেন।
অর্থাৎ সে সকল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন সরাসরি আপনার ভিডিওতে অন্তর্ভুক্ত করে দিবেন। বিনিময়ে তাদের সাথে আপনি নির্দিষ্ট একটি টাকার চুক্তি করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম
ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়। এতে করে চুক্তি অনুযায়ী ইউটিউব থেকে ১ হাজার ভিউয়ে আপনি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকাও আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন করে সেটির বিক্রি অনুযায়ী কমিশন গ্রহণ করা। আপনার ভিডিওটি ১ হাজার মানুষ দেখে যদি ১০০ জন মান পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে প্রতি পণ্য বিক্রির জন্য ৫ টাকা করে পেলেও ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
মার্কেটিং করে ইনকাম করা খুব একটা সহজ বিষয় নয়। এজন্য প্রয়োজন উন্নত মানের ভিডিও প্রচুর পরিশ্রম এবং ধৈর্য।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি ইউটিউব থেকে কত ভিউয়ে কত টাকা ইনকাম হয় সে সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। তবে এর কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। ভিডিও কোয়ালিটি, অবস্থান, ভাষা, বিষয়বস্তু ইত্যাদি এর সাথে সম্পর্কিত।
স্থায়ীভাবে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি জেনে নিন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।