ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুনরায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘদিন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শহর এবং মফস্বল এলাকা গুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি বা সিলিন্ডার গ্যাস। নতুন নতুন বিল্ডিং গুলোতে অনেকেই বৈদ্যুতিক চুলাও ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাসা বাড়িতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ চালু করার জন্য দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবিটি উপস্থাপন করেছে রিহ্যাব। উক্ত সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় বাসাবাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রয়েছে প্রায় ১২ বছর সময় ধরে। যার কারণে নাগরিকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকম বৈষম্য।

কারণ কোন কোন বাসা বাড়িতে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট বিলের বিনিময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সুবিধা পাওয়া যায়। আবার যে সকল বাসা বাড়িতে এর সংযোগ নেই সেখানে এলপিজি কিংবা সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয় করতে বেশ অর্থ খরচ করতে হয়। বর্তমান বাজারে গড়ে একটি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম প্রায় ১৫০০ টাকা।

আবার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বাসা বাড়িতে এই সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আবাসিক গ্যাস সংযোগের পরিমাণ সর্বমোট ১২ শতাংশ। ১২ পার্সেন্ট ব্যবহার করা হয় বাসা বাড়িতে। বাকি গুলো শিল্প এবং অন্যান্য খাতে প্রদান করা হয়।

পুনরায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি ২০২৪

উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের একটিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করা হয়, সেই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে বাসা বাড়িতে প্রায় ২ থেকে ৪ লক্ষ গ্রাহকের কয়েক মাসের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

আবার কিছু এলাকার মানুষ এই গ্যাস সুবিধা পাবে আবার অন্যান্য এলাকার মানুষ পাবে না এতে করে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি পাড়া মহল্লায় এটি নিয়ে সিন্ডিকেটও তৈরি হয়েছে। অবৈধ সংযোগ প্রদান করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এতে করে নাগরিক এবং সরকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০০৯ সালের তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে বাসা বাড়িতে সংযোগ দেওয়া বন্ধ করা হয়। পুনরায় ২০১৩ সালে চালু করা হলেও ২০১৪ সালের পর থেকে আবার নতুন করে সংযোগ স্থগিত করা হয়। তারপর আবাসিক গ্যাস সংযোগ লিখিতভাবে স্থগিত করা হয় ২০১৯ সালে।

প্রতিনিয়ত এই ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে জন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বড় বড় কলকারখানা পাশাপাশি গড়ে উঠছে বড় বড় বিল্ডিং। যেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বিল্ডিং গুলোতে লাকড়িতে রান্না করা সম্ভব হয় না তাই কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা বৈদ্যুতিক চুলা বেছে নিয়েছেন।

ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মীর পরিচয় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুনরায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘদিন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শহর এবং মফস্বল এলাকা গুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি বা সিলিন্ডার গ্যাস। নতুন নতুন বিল্ডিং গুলোতে অনেকেই বৈদ্যুতিক চুলাও ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাসা বাড়িতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ চালু করার জন্য দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবিটি উপস্থাপন করেছে রিহ্যাব। উক্ত সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় বাসাবাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রয়েছে প্রায় ১২ বছর সময় ধরে। যার কারণে নাগরিকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকম বৈষম্য।

কারণ কোন কোন বাসা বাড়িতে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট বিলের বিনিময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সুবিধা পাওয়া যায়। আবার যে সকল বাসা বাড়িতে এর সংযোগ নেই সেখানে এলপিজি কিংবা সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয় করতে বেশ অর্থ খরচ করতে হয়। বর্তমান বাজারে গড়ে একটি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম প্রায় ১৫০০ টাকা।

আবার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বাসা বাড়িতে এই সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আবাসিক গ্যাস সংযোগের পরিমাণ সর্বমোট ১২ শতাংশ। ১২ পার্সেন্ট ব্যবহার করা হয় বাসা বাড়িতে। বাকি গুলো শিল্প এবং অন্যান্য খাতে প্রদান করা হয়।

পুনরায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি ২০২৪

উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের একটিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করা হয়, সেই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে বাসা বাড়িতে প্রায় ২ থেকে ৪ লক্ষ গ্রাহকের কয়েক মাসের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

আবার কিছু এলাকার মানুষ এই গ্যাস সুবিধা পাবে আবার অন্যান্য এলাকার মানুষ পাবে না এতে করে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি পাড়া মহল্লায় এটি নিয়ে সিন্ডিকেটও তৈরি হয়েছে। অবৈধ সংযোগ প্রদান করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এতে করে নাগরিক এবং সরকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০০৯ সালের তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে বাসা বাড়িতে সংযোগ দেওয়া বন্ধ করা হয়। পুনরায় ২০১৩ সালে চালু করা হলেও ২০১৪ সালের পর থেকে আবার নতুন করে সংযোগ স্থগিত করা হয়। তারপর আবাসিক গ্যাস সংযোগ লিখিতভাবে স্থগিত করা হয় ২০১৯ সালে।

প্রতিনিয়ত এই ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে জন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বড় বড় কলকারখানা পাশাপাশি গড়ে উঠছে বড় বড় বিল্ডিং। যেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বিল্ডিং গুলোতে লাকড়িতে রান্না করা সম্ভব হয় না তাই কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা বৈদ্যুতিক চুলা বেছে নিয়েছেন।

ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মীর পরিচয় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।